তিন জীবন পাওয়া গুরবাজের কাছেই হারল বাংলাদেশ

এক গুরবাজের কাছেই হারল বাংলাদেশছবি: শামসুল হক

স্কোরবোর্ডে মাত্র ১৯২ রান। এমন ছোট পুঁজি নিয়ে জিততে হলে নতুন বলে উইকেট নিতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশ আজ সেটিই করতে পারেনি। সেই সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে আফগানিস্তান দলের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। উদ্বোধনে নেমে রিয়াজ আহমেদকে নিয়ে ৭৯ রানের জুটি গড়েন রহমানউল্লাহ গুরবাজ।

দারুণ এক শুরুর পর আফগানরাও পেয়ে যায় সহজ জয়ের ভিত। গুরবাজ তিনে নামা রহমত শাহকে নিয়ে আরও ১০০ রান যোগ করলে বাংলাদেশের ছোট্ট লক্ষ্যের অনেক কাছে পৌঁছে যায় আফগানরা। এরপর অপরাজিত শতক হাঁকিয়ে বাকি কাজটা সারেন আফগান উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান গুরবাজ। তাতে ৫৯ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে আফগানিস্তান।

অথচ বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং ভালো হলে হয়তো আফগান ইনিংসের গল্পটা ভিন্ন হতে পারত। এক গুরবাজকেই যে তিনবার আউটের সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ!

শতক পেয়েছেন গুরবাজ
ছবি: শামসুল হক

ইনিংসের সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বাঁহাতি পেসার শরীফুল ইসলামের বলে ক্যাচ তোলেন গুরবাজ। কিন্তু উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিম ও স্লিপ ফিল্ডার ইয়াসির আলীর মাঝ দিয়ে যাওয়া বলটি কেউই ধরার চেষ্টা করেননি। গুরবাজ তখন ব্যক্তিগত ১৩ রানে ব্যাটিং করছিলেন। দলের বাকি ফিল্ডারদের চোখেমুখে তখন অবিশ্বাস। শুরুতেই আফগান ব্যাটিং অর্ডারে আঘাত হানার কি সুযোগটাই না হাতছাড়া হলো!

এরপর ভাগ্য যেন পুরোটা ইনিংসের গুরবাজের হয়েই কথা বলল। শরীফুলের বলে ইনিংসের ২৩তম ওভারে জীবন পান গুরবাজ। শরীফুলের বাউন্সারে পুল করার চেষ্টায় বলটি গুরবাজের গ্লাভস ছুঁয়ে যায় উইকেটকিপার মুশফিকের কাছে। কিন্তু বাড়তি বাউন্সে গুরবাজের মতো পরাস্ত হন মুশফিকও। ৬০ রানে অপরাজিত থাকা গুরবাজ পেয়ে যান আরও একটি জীবন।

এর এক ওভার পরেই গুরবাজের ক্যাচ ফেলেছেন আরেক অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ। সেই শরীফুলের বলেই ফাইন লেগ বাউন্ডারিতে থাকা মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ তোলেন এই আফগান ব্যাটসম্যান। সহজ গতি ও উচ্চতায় আসা বলটি মাহমুদউল্লাহর হাত ফসকে যায়। তখন গুরবাজ খেলছিলেন ৬১ রানে।

ওয়ানডে লিগে ১০ পয়েন্ট হারাল বাংলাদেশ
ছবি: শামসুল হক

শুধু কি তাই, ৬০ এর ঘরে আরও একবার জীবন পেয়েছেন গুরবাজ! বোলার ছিলেন অভাগা শরীফুল। ইনিংসের ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে শরীফুলে বাউন্সারে ব্যাট ছুঁইয়ে বেঁচে যান এই আফগান তরুণ। উইকেটকিপার মুশফিক লাফিয়েও বলটি গ্লাভসবন্দী করতে পারেননি। গুরবাজ তখন ৬৩ রানে খেলছিলেন। একের পর এক সুযোগ পেয়ে শেষ পর্যন্ত ১০৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন গুরবাজ।