চোট থেকে ফিরেই বাংলাদেশকে হারালেন গুরবাজ

অপরাজিত শতকে দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন গুরবাজছবি: প্রথম আলো

চোটের কারণে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের বেশির ভাগ সময় মাঠের বাইরে ছিলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। পায়ের পেশিতে ব্যথা পাওয়া গুরবাজ ব্যাটিংয়ে আসেন ৭ নম্বরে।

সেদিন ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনেও আসেন খুড়িয়ে খুড়িয়ে। আজ ম্যাচে তাই এ তরুণ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানের না খেলার সম্ভাবনাই ছিল বেশি। তবে আফগানদের একাদশে চমক হয়েই আসে গুরবাজের নাম। শেষ পর্যন্ত চোটের সঙ্গে লড়াই করা সেই গুরবাজের শতকই আফগানদের জয়ের পথ সুগম করেছে।

আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি অবশ্য ২০ বছর বয়সী গুরবাজের ব্যাটিংয়ের চেয়ে মানসিক শক্তির প্রশংসাই বেশি করলেন। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেছেন, ‘আগের ম্যাচে সে চোট পেয়েছিল। ম্যাচের আগের দিনও সে চোটের সঙ্গে লড়ছিল। কিন্তু সে খেলতে চাচ্ছিল। আমিও তাঁকে আত্মবিশ্বাস জোগাই। আমি তাঁকে বলছিলাম একটা শতকের চেষ্টা করতে। আজ গুরবাজ সেটিই করেছে।’

গুরবাজের ইনিংসের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ
ছবি: প্রথম আলো

এখন পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত ক্যারিয়ারে গুরবাজ এর মধ্যেই দেখিয়েছেন সাদা বলে খেলার সামর্থ্য। ৯ ওয়ানডের ক্যারিয়ারেই ৩টি শতক করে ফেললেন। যে তিনটি সিরিজ খেলেছেন, প্রতিটিতেই করেছেন অন্তত একটি করে শতক।

কে জানে, এই গুরবাজই হয়তো আফগান ব্যাটিংয়ের ভবিষ্যৎ হতে যাচ্ছেন! গুরবাজসহ তরুণদের নিয়ে আশাবাদী শহীদি, ‘সে ম্যাচ জেতানো ক্রিকেটার। ইনিংসের শুরুটা পেয়ে গেলে লম্বা ইনিংস খেলতে অভ্যস্ত। আমাদের বাকি ব্যাটসম্যানরাও ভালো করছে। ইব্রাহিম জাদরানের কৌশল অনেক ভালো। রিয়াজ হাসানও ভালো করছে। আমি নিশ্চিত ভবিষ্যতে ওরা আরও ভালো করবে।’

গুরবাজদের কাজটা মূলত সহজ হয়ে এসেছিল আফগান স্পিনারদের দারুণ বোলিংয়ে। রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবী তাঁদের ২০ ওভার থেকে মাত্র ৬৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৫ উইকেট।

সিরিজের শেষ ম্যাচের জয়ে ওয়ানডে সুপার লিগের গুরুত্বপূর্ণ ১০ পয়েন্ট এসেছে স্পিনারদের হাত ধরেই। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ শেষে স্পিনারদের প্রশংসা করেছেন আফগান অধিনায়ক, ‘আমি স্পিনারদের কাছে আরও ভালো কিছু প্রত্যাশা করছিলাম (সিরিজে)। কিন্তু উইকেটের কারণে তারা সাহায্য পায়নি। আজ তারা আমার প্রত্যাশা মেটাতে পেরেছে।’