জাতীয় দলের কথা ভেবে আইপিএলে খেলবেন না হ্যাজলউড
আইপিএলের নতুন মৌসুম শুরু হতে আর মাত্র ৮ দিন বাকি। ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলো গুছিয়ে এনেছে নিজেদের প্রস্তুতি। খেলোয়াড়দের কার কী ভূমিকা—সেসবও হয়তো ঠিক করে ফেলেছে দলগুলো। এর মধ্যে বেশ বড় এক ধাক্কা খেল চেন্নাই সুপার কিংস। আইপিএলের এবারের মৌসুমে খেলবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার জশ হ্যাজলউড। দীর্ঘদিন জৈব সুরক্ষিত পরিবেশে থাকার ধকল, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো এবং সামনে ব্যস্ত সূচি মাথায় রেখে আইপিএল থেকে দূরে থাকতে চান তিনি।
এবার আইপিএলে হ্যাজলউডকে ২ কোটি রুপিতে ধরে রাখে চেন্নাই। গত মৌসুমে চেন্নাইয়ের হয়ে তিন ম্যাচে মোট ৬৪ রানে ১ উইকেট নিয়েছিলেন হ্যাজলউড। ৯ এপ্রিল শুরু হতে যাওয়া আইপিএলে খেলতে আজ অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য ক্রিকেটারের সঙ্গে ভারতে যাওয়ার কথা ছিল ৩০ বছর বয়সী এ পেসারের। কিন্তু গত বছরের আগস্ট থেকে এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত নানা রকম জৈব সুরক্ষিত পরিবেশে থাকার ধকল কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। মিচেল মার্শের পর অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এবার আইপিএলে খেলবেন না হ্যাজলউড।
সামনে ব্যস্ত সূচির জন্য নিজেকে চাঙা করে তুলতে আপাতত এ সময়টা পরিবারের সঙ্গে কাটাতে চান তিনি। জুন–জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে অস্ট্রেলিয়া দলের। এ ছাড়া চলতি বছর অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা রয়েছে অস্ট্রেলিয়া দলের। এসব মাথায় রেখে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমকে হ্যাজলউড বলেন, ‘সামনে শীত মৌসুমের ব্যস্ততা আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরটা বেশ দীর্ঘ হবে। বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশও আছে।’ ওয়েস্ট ইন্ডিজে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি–টোয়েন্টি খেলার কথা অস্ট্রেলিয়ার। বাংলাদেশে অবশ্য শুধু তিন ম্যাচ টি–টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা হ্যাজলউডদের।
সামনে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপও আছে। ভারতে অক্টোবর–নভেম্বর নাগাদ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ গড়ানোর কথা। এসব সূচি মাথায় রেখে জাতীয় দলকে নিজের সেরাটা দিতেই আইপিএলে খেলবেন না হ্যাজলউড, ‘টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর অ্যাশেজও আছে। অর্থাৎ সামনে ১২ মাস ব্যস্ত সময়, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সব সময়ই যেমন হয়ে থাকে আরকি। শারীরিক ও মানসিকভাবে নিজের সেরাটা দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ পরিবারকে সময় দেওয়ার কথাও বলেছেন হ্যাজলউড, ‘নানা সময়ে গত ১০ মাস জৈব সুরক্ষিত পরিবেশে থাকতে হয়েছে। তাই আপাতত ক্রিকেট থেকে বিশ্রাম নিয়ে পরিবারকে সময় দিতে চাই, অস্ট্রেলিয়ায় থাকতে চাই আগামী দুই মাস।’