>জিম্বাবুয়ের অপেক্ষায় আছে বিসিবি। জিম্বাবুয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না জানানো পর্যন্ত সেপ্টেম্বরের সিরিজ নিয়ে কিছু বলতে পারছে না বিসিবি। কিন্তু জিম্বাবুয়ের জন্য কেন এত তাদের অপেক্ষা?
এ মাসে বাংলাদেশ দলের কোনো খেলা নেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের ব্যস্ততা শুরু আগামী মাস থেকে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টটি শুরু হওয়ার কথা ৫ সেপ্টেম্বর। এ পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু টেস্টের পরে যে সিরিজটা হওয়ার কথা, সেটি নিয়ে নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি এখনো।
নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি আসলে জিম্বাবুয়ের কারণে। জিম্বাবুয়ে এলে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে সিরিজটা হবে ত্রিদেশীয়। আর না এলে আফগানিস্তানের সঙ্গে তিন ম্যাচের দ্বিপক্ষীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। বিসিবি দুটি উপায়ই ভেবে রেখেছে।
আইসিসির নিষেধাজ্ঞার কারণে জিম্বাবুয়ের আসা-না আসা নিয়ে একটু সংশয় তৈরি হয়েছে। তবে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দীন চৌধুরী আশাবাদী জিম্বাবুয়ে আসবে সিরিজটা খেলতে, ‘জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড তাদের সরকারের সঙ্গে কথা বলছে। কালও জানিয়েছে যে তারা ইতিবাচকভাবে এগোচ্ছে। আজ-কালের মধ্যে এটা নিয়ে চূড়ান্ত কিছু জানা যাবে।’
আসলে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডই বিসিবিকে অনুরোধ করে সময় চেয়ে নিয়েছে। তারা ভীষণ আগ্রহী সেপ্টেম্বরের ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে। যেহেতু জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের সংকটটা আর্থিক, গাঁটের পয়সা খরচ করে বিসিবি তাদের নিয়ে আসবে কি না সে প্রশ্নও উঠছে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী জানালেন, যেটা রীতি সে অনুযায়ী জিম্বাবুয়ে আসবে। বিমান ভাড়া ও খেলোয়াড়দের ম্যাচ ফি জিম্বাবুইয়ান ক্রিকেট বোর্ডই দেখবে। বিসিবি দেখবে হোটেল, স্থানীয় যাতায়াত, নিরাপত্তা—যেটি সব স্বাগতিক বোর্ডই দেখে থাকে। আর আইসিসির সঙ্গে যে সমস্যাটা আছে, সেটি দ্রুত সমাধান হয়ে গেলে অক্টোবরে আরব আমিরাতে টি-টোয়েন্টি কোয়ালিফাইং খেলার কথা জিম্বাবুয়ের। এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারলে দুবাই পর্যন্ত বিমান ভাড়া তারা আইসিসি থেকেই পাবে।
তা না হয় হলো, জিম্বাবুয়ের জন্য বিসিবি কেন এত অপেক্ষা করছে? ভারত-অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার মতো র্যাঙ্কিংয়ের ওপরের দল হলে না হয় বোঝা যেত শক্তিশালী দলের সঙ্গে খেলতে খুব আগ্রহী বলে অপেক্ষা করছে বিসিবি। গত এক দশক ধরেই বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের লড়াইটা যে একপেশে। ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজন করতে র্যাঙ্কিংয়ের নিচের একটা দলের জন্য বিসিবির অপেক্ষা আসলে অন্য কারণে।
নিজেদের দুঃসময়ে জিম্বাবুয়ে বারবার বিসিবিকে অনুরোধ করছে তারা ত্রিদেশীয় সিরিজটা খেলতে চায়। নিজামউদ্দীন চৌধুরী বললেন, অপেক্ষাটা তাঁদের কৃতজ্ঞতাবোধ থেকে, ‘একটা সময় বাংলাদেশের সঙ্গে তুলনামূলক বেশি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলত জিম্বাবুয়ে। আমাদের অনুরোধে জিম্বাবুয়েই বেশি হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন আমরাও তাদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি। এবারও আমরা যেমন ওদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। আসবে কি আসবে না, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেটা তারাই জানিয়ে দিক। আমরা কিছু বলতে চাই না।’