জয়ে শেষ মাশরাফিদের
মাশরাফি বিন মুর্তজা আর মেহেদী হাসান মিরাজ দুজনের মুখেই একই কথা! কাল সংবাদ সম্মেলনে আসার পথে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস অধিনায়কের রসিকতা, ‘ওদের যেমন বিপদে ফেলেছি, আবার উপকারও করেছি!’ মুঠোফোনে রাজশাহী কিংস অলরাউন্ডার মিরাজের কথাও তাই।
টুর্নামেন্টে দুবারের সাক্ষাতেই রাজশাহীকে হারিয়েছে কুমিল্লা। তবে কাল রংপুর রাইডার্সকে ৮ রানে হারিয়ে মিরাজদের বিরাট উপকারই করেছেন মাশরাফিরা। পরশু রংপুরের কাছে বরিশাল বুলস হেরে যাওয়ায় শেষ চারে ওঠার আশা ছিল না কুমিল্লার। কাল তাদের কাছে হেরে বাদ পড়েছে রংপুরও। সেই সুযোগে রানরেটের হিসাবে শেষ চারে পা রেখেছে রাজশাহী। ঢাকা-চট্টগ্রামের প্লে-অফ তো আগেই নিশ্চিত হয়েছে। আর কাল নিজেদের ম্যাচে জিতে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছে খুলনাও।
কাল কুমিল্লার ১৭০ রান তাড়া করতে নেমে মোহাম্মদ শেহজাদ-সৌম্য সরকারের ওপেনিং জুটি ৩৪ বলেই তুলে ফেলে ৪৮ রান। অবশ্য এর মধ্যে সৌম্যর অবদান মাত্র ৫ রান। আরও একটি টুর্নামেন্টে ব্যর্থ হলেন বাঁহাতি ওপেনার। তবে শেহজাদ যতক্ষণ ছিলেন আশাটা ছিল রংপুরের। মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে ৪৫ রানে আফগান ওপেনার বোল্ড হওয়ার পর রংপুরকে স্বপ্ন দেখান আফ্রিদি।
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বিপিএলে নিজের সেরা ইনিংসটা খেললেন কালই। আফ্রিদি যখন ভয়ংকর হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিচ্ছেন তখনই রশিদের দুর্দান্ত এক গুগলি। ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে পাকিস্তান অলরাউন্ডার স্টাম্পড হলেন ৩৮ রানে। দুর্দান্ত বোলিং করেছেন রশিদ, ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে পেয়েছেন ৩ উইকেট। ম্যাচের পার্থক্য আসলে গড়ে দিয়েছেন আফগান লেগ স্পিনারই। মোহাম্মদ শরিফের করা ১৮তম ওভারে ১৯ ও নাবিল সামাদের করা শেষ ওভারে ১৫ রান তুলেও তাই জিততে পারেনি রংপুর।
গত বিপিএল রাঙিয়ে দেওয়া ইমরুল কায়েস এবার টুর্নামেন্টে প্রথম ফিফটির দেখা পেয়েছেন নিজেদের শেষ ম্যাচে। তাঁর এই জ্বলে ওঠার সঙ্গে মিল আছে কুমিল্লার পারফরম্যান্সেও। হারের বৃত্তে ঘুরতে থাকা দলটি জয়ের ধারায় ফিরেছে শেষ দিকে এসে। ইমরুল-খালিদ লতিফের ওপেনিং জুটি ৬২ বলে ৮৮ রান বড় স্কোরের ভিত্তি দেয় কুমিল্লাকে। আরাফাত সানির বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ সীমানার কাছে লিয়াম ডসনের অসাধারণ ক্যাচ হওয়ার আগে ইমরুল করেছেন ৩৫ বলে ৫২ রান।
বিপিএলে একটি ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে এবার। আগের তিনবারই ট্রফি উঠেছে মাশরাফির হাতে। এবার সেটি ছুঁয়ে দেখবেন অন্য অধিনায়ক।
বিপিএলের বাকি সূচি
৬ ডিসেম্বর এলিমিনেটর: চিটাগং ভাইকিংস-রাজশাহী কিংস
কোয়ালিফায়ার ১: ঢাকা ডায়নামাইটস-খুলনা টাইটানস
৭ ডিসেম্বর কোয়ালিফায়ার ২: এলিমিনেটর জয়ী-কোয়ালিফায়ার ১ পরাজিত
৯ ডিসেম্বর ফাইনাল: কোয়ালিফায়ার ১ জয়ী-কোয়ালিফায়ার ২ জয়ী