টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত তামিমের
যারা টস জিতবে, তারাই ব্যাটিং করবে - এটাই যেন এ সিরিজের অলিখিত নিয়ম। আগের দুই ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও টসজয়ী দল আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিল। আজ টস জিতেছে বাংলাদেশ, অধিনায়ক তামিম ইকবাল জানিয়ে দিলেন, ব্যাটিংটাই আগে করবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ দলে বদল নেই
আগের ম্যাচের দল নিয়েই নামছে বাংলাদেশ। সিরিজের তিন ম্যাচেই একই একাদশ নামাল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ একাদশ:
তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলী, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
আফগানিস্তান দলে এক বদল
ফরিদ আহমেদের বদলে গুলবদীন নাইবকে একাদশে ফিরিয়েছে আফগানিস্তান।
আফগানিস্তান একাদশ:
রহমানউল্লাহ গুরবাজ, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহীদি, নজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবী, গুলবদীন নাইব, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, ফজলহক ফারুকি, আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও রিয়াজ হাসান।
আয়ারল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ...আফগানিস্তান
ক্রিকইনফো জানাচ্ছে, এ নিয়ে চতুর্থবার তিন বা তার বেশি ম্যাচের সিরিজের সব ম্যাচেই একাদশ অপরিবর্তিত রেখেছে বাংলাদেশ। প্রথমটি ২০০৭/০৮ মৌসুমে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে, এরপর ২০১৬/১৭ মৌসুমে শ্রীলঙ্কায়, আর এবারের আগে সর্বশেষটি ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে।
ধবলধোলাই হবে?
সিরিজ আগেই নিশ্চিত হয়ে গেছে। আজও সিরিজ জিতে আফগানিস্তানকে ধবলধোলাই করতে পারবে বাংলাদেশ?
তবে এই ম্যাচের গুরুত্ব শুধু ধবলধোলাই করতে পারা-না পারাতেই সীমাবদ্ধ নয়। সিরিজটা যে ওয়ানডে সুপার লিগেরও অংশ! সেখানে পয়েন্টের সমীকরণ নিয়েই বেশি ভাবতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সুপার লিগে ১৩ দলের মধ্যে প্রথম দল হিসেবে ১০০ পয়েন্ট পেয়েছে বাংলাদেশ। বলাবাহুল্য, এই মুহূর্তে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেও আছে বাংলাদেশ। তবে সুপার লিগে বাংলাদেশের বাকি তিন সিরিজের দুটি বিদেশের মাটিতে - দক্ষিণ আফ্রিকা ও আয়ারল্যান্ডে, অন্যটি ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সেই তিন সিরিজের আগে এই ম্যাচ থেকেও ১০ পয়েন্ট তুলে নিতে চাইবে বাংলাদেশ।
স্ট্রাইকে তামিম, বোলিংয়ে ফারুকি
প্রথম বলেই এলবিডব্লুর জোরাল আবেদন তামিমের বিরুদ্ধে! আম্পায়ার সাড়া না দেওয়ায় অধিনায়ক শহীদির সঙ্গেও কিছুক্ষণ কথা বলেন ফারুকি। শেষ পর্যন্ত রিভিউ নেয়নি আফগানিস্তান।
তৃতীয় ও চতুর্থ বলে দুই সিঙ্গেলের পর ওভারের শেষ বলে ২ রান তামিমের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশ ১ ওভার শেষে ৪/০।
দ্বিতীয় ওভারেই স্পিন
নতুন বলে এক প্রান্তে বাঁহাতি পেসার ফারুকিকে দিয়ে শুরু করেছে আফগানিস্তান। অন্য প্রান্তে দ্বিতীয় ওভারেই স্পিন, বোলিংয়ে মুজিব উর রহমান। ঘটনাবিহীন ওভার, দেখেশুনেই খেললেন দুই ব্যাটসম্যান। ১ রান এসেছে ওভারে।
২ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৫/০।
রিভিউ হারাল আফগানিস্তান
ইনিংসের প্রথম বলে রিভিউ নেওয়ার কথা ভেবেও শেষ পর্যন্ত নেয়নি আফগানিস্তান। তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে আর বিরত থাকল না! তবে রিভিউটা নষ্টই হয়েছে।
ওভারের তৃতীয় বলে লিটনের বিরুদ্ধে এলবিডব্লুর আবেদন ফারুকির। পায়ের ওপর ফুল লেংথের বল, ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন লিটন। তবে আফগান উইকেটকিপার গুরবাজ ও বোলার ফারুকি দুজনই নিশ্চিত ছিলেন, এলবিডব্লু হয়েছে। রিভিউ নেয় আফগানিস্তান। তবে রিপ্লে দেখে ব্যাটে বল লেগেছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া না গেলেও স্নিকোমিটার দেখিয়েছে, বল ব্যাটেই লেগেছে। তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তটা বিতর্কিতই মনে হতে পারে অনেকের কাছে। রিভিউ হারাল আফগানিস্তান, লিটন পেলেন ১ রান।
তবে উইকেট না পেলেও ফারুকি ভোগাচ্ছেন ব্যাটসম্যানদের। ইন সুইং ও আউট সুইংয়ের ক্ষেত্রে তাঁর বোলিং অ্যাকশনে, ডেলিভারি পয়েন্টে কব্জি ঘোরানোতে তেমন দৃশ্যমান বদল নেই। সে কারণে ব্যাটসম্যানদের সারাক্ষণই দ্বিধায় রাখার ক্ষমতা আছে আফগানি বাঁহাতি পেসারের।
ফারুকির ওভারে ১ রানের পর মুজিবের ওভারে একটি ওয়াইড আর তিন সিঙ্গেলে এসেছে ৪ রান। বাংলাদেশ ৪ ওভার শেষে ১০/০। এখনো কোনো বাউন্ডারি দেখেনি লিটন বা তামিমের ব্যাট। লিটন ১১ বলে ৫ রানে অপরাজিত, তামিমের রান ১৩ বলে ৪।
ফারুকির আরেকটি দারুণ ওভার
ওয়াইডে শুরু ওভার, তবে শেষ পর্যন্ত বৈধ ছয় বলে ব্যাটসম্যানদের রান নেওয়ার তেমন সুযোগই দেননি ফারুকি। শুধু তৃতীয় বলে একটা সিঙ্গেল নিতে পেরেছেন লিটন। ৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান বিনা উইকেটে ১২।
তামিমের ব্যাটে ইনিংসের প্রথম চার
মুজিবের বলটা মারার মতোই ছিল। শর্ট ফাইন লেগে ফিল্ডার রেখে আফগান স্পিনার বল ফেলেছেন তামিমের পায়ের ওপর। শর্ট ফাইন লেগ ও স্কয়ার লেগে দুই ফিল্ডারের ফাঁক গলে বাউন্ডারি হাঁকাতে তেমন কষ্ট হয়নি তামিমের। ৩৫তম বলে ইনিংসে প্রথম চারের দেখা পেল বাংলাদেশ।
ওভারে ছয় রান নিয়ে ৬ ওভারে বাংলাদেশের রান বিনা উইকেটে ১৮।
টানা তিন ওভার ওয়াইডে শুরু
চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ তিন ওভারই ওয়াইড দিয়ে শুরু করেছে আফগানিস্তান। ইনিংসে ৬ ওভারেই ৩টি ওয়াইড দিয়েছে তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তান ১৮টি ওয়াইডসহ অতিরিক্ত রানই দিয়েছে ৩৩। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা ৮৮ রানে হেরে যাওয়ায় অবশ্য এ নিয়ে আর আলোচনা তেমন হয়নি সংবাদমাধ্যমে।
ফারুকির ওভারে ১ রান
শেষ বলে লিটন মিড অনে ঠেলে একটা রান নেওয়ায় আর মেডেন পাওয়া হলো না ফারুকির। তবে রান নেওয়ার তেমন সুযোগই তিনি দিচ্ছেন না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। এখন পর্যন্ত আফগান বাঁহাতি পেসার ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ৮ রান।
বাংলাদেশ ৭ ওভার শেষে ১৯/০।
লিটনের প্রথম চার
আগের ওভারের মতো এই ওভারেও একটা বাজে বল করেছেন মুজিব, আগের ওভারে তামিমের মতো এই ওভারে সেটির পুরো সুবিধা তুলে নিয়েছেন লিটন। অনেক সামনে পড়া বলটাকে উইকেটের পেছনে বাউন্ডারিতে পাঠানোর জন্য হাতে অনেক সময়ও পেয়েছেন লিটন।
ওভারে এসেছে ৭ রান। ৮ ওভারে বাংলাদেশ ২৬/০। ফারুকির ৪ ওভারে মাত্র ৮ রান এলেও মুজিবের ৪ ওভারে এসেছে ১৮। লিটন অপরাজিত ২৬ বলে ১৪ রানে, তামিমের রান ২২ বলে ৯।
ফারুকির ওভারে লিটনের দুই চার
আগের চার ওভারে ব্যাটসম্যানদের পায়ের ওপর, উইকেটের আশপাশে বল ফেলেছেন বেশি। সুইংও পেয়েছেন। তাই ফারুকির বলে রান নিতে কষ্ট হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। কিন্তু নিজের পঞ্চম ওভারে এসে একটু যেন খেই হারিয়েছেন ফারুকি।
প্রথম বলে এসেছে দুই রান, উইকেটের বাইরে বেরিয়ে যাওয়া বলটাতে সটান দাঁড়িয়ে পাঞ্চ করেছেন লিটন। তৃতীয় বল থেকে রাউন্ড দ্য উইকেটে এসে বুঝি আরও বড় ভুল করলেন ফারুকি। চতুর্থ বলে কোমরের ওপর বলে অসাধারণ গ্লান্সে চার লিটনের। এই শটের মুগ্ধতাকেও ওভারের শেষ বলে ছাড়িয়ে গেছে লিটনের কাভার ড্রাইভ। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে ফারুকির অফ স্টাম্পের বাইরে ফুল লেংথের ডেলিভারি, ঝুঁকিহীন ডেলিভারিই তো! একটু ঝুঁকে দারুণ কাভার ড্রাইভ লিটনের।
ওভারে দশ রান। বাংলাদেশ ৯ ওভারে ৩৬/০।
১০ ওভার শেষে বাংলাদেশ
বোলিংয়ে বদল, মুজিবের বদলে ডানহাতি পেসার আজমতউল্লাহ ওমরজাই। প্রথম বলটা তামিমের প্যাডের ওপর, দুই রান। দ্বিতীয় বলে লেগ বাই থেকে এক রান। তবে ওভারের সবচেয়ে সুন্দর শটটা এল ওভারের শেষ বলে, লিটনের ব্যাট থেকে। চতুর্থ স্টাম্পের ওপর কোমর উচ্চতার বল, দারুণ শটে ৩০ গজে থাকা ফিল্ডারদের মাথার ওপর দিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে চার লিটনের।
দারুণ শুরু বাংলাদেশের
৩৬ বলে ৪ চারে ২৮ রান লিটনের, ২৪ বলে ১ চারে তামিমের রান ১১। প্রথম দশ ওভার দারুণভাবেই পার করে দিলেন দুই ব্যাটসম্যান। সপ্তম ওভার শেষেও বাংলাদেশের রানরেট ছিল তিনের নিচে, কিন্তু সর্বশেষ তিন ওভারে গতি বাড়িয়েছেন দুজন। মূলত লিটন। এই তিন ওভারেই এসেছে ২৪ রান।
বোল্ড তামিম!
সিরিজের আগের দুই ম্যাচের মতো এবারও ফারুকির শিকার তামিম! লেগ সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন তামিম, কিন্তু ব্যাট আর প্যাডের ফাঁক গলে বল আঘাত হানল স্টাম্পে। প্রথম দশ ওভারে উদ্বোধনী জুটিতে দারুণ একটা শুরু এনে দেওয়ার পর ১১তম ওভারের প্রথম বলেই আউট তামিম!
এসেই চার সাকিবের, পরের বলেই রিভিউ
তামিম আউট হওয়ার পর ক্রিজে লিটনের সঙ্গী সাকিব আল হাসান। এসেই প্রথম বলে ফারুকিকে দারুণ কাভার ড্রাইভে চার মেরে শুরু বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের। তবে পরের বলেই সাকিবের বিরুদ্ধে এলবিডব্লুর আবেদন, আম্পায়ার আউটও দিয়ে দেন। তবে সাকিব সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নেন। বল ব্যাটে লাগেনি, প্যাডেই লেগেছে। তবে বলটা পিচ করেছে লেগ স্টাম্পের বাইরে। বেঁচে গেলেন সাকিব।
ঘটনাবহুল ওভারে ৬ রান এসেছে। ১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৪৯/১।
ছয় বলে সাকিবের দ্বিতীয় চার
চার মেরে ইনিংস শুরু করা সাকিব ১২তম ওভারে আজমতউল্লাহকে আবার চার মেরেছেন। ছয় বলের মধ্যেই দুটি চার মারলেন সাকিব। এর আগে ওভারের প্রথম বলে লিটনের সিঙ্গেলে বাংলাদেশের ইনিংসে অর্ধশতক হয়ে গেছে।
ওভারে ৬ রান নিয়ে ১২ ওভারে বাংলাদেশের রান ৫৫/১।
তামিমের বিদায়ের পর লিটন আবার ‘চুপ’
তামিম আউট হওয়ার পর লিটনের ব্যাটও চুপসে গেছে। একাদশ ওভারে তামিম আউট হওয়ার আগের তিন ওভারে তিনটি চারও মেরেছিলেন। যেখানে সপ্তম ওভার শেষে লিটনের রান ছিল ২২ বলে ৮, দশম ওভার শেষে সেটি দাঁড়ায় ৩৬ বলে ২৮। তবে তামিম আউট হওয়ার পর বাংলাদেশের রানের গতিও স্বাভাবিকভাবেই কমে গেছে, লিটনের ব্যাটও কিছুটা চুপসে গেছে। এই মুহূর্তে তাঁর রান ৪৯ বলে ৩৫। সাকিব ১৫ বলে ২ চারে ১২ রানে অপরাজিত।
১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ৬৪।
চার মেরে রশিদকে ‘স্বাগত’ লিটনের
পানি পানের বিরতির পর ১৬তম ওভারে বোলিংয়ে রশিদ খান। প্রথম বলে চার মেরে তাঁকে স্বাগত জানালেন লিটন! লেগ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল, ফিল্ডার শর্ট ফাইন লেগে। কোমরের মোচড়ে লিটন শর্ট ফাইন লেগের ফিল্ডারের পাশ দিয়ে বলটাকে পাঠিয়ে দিলেন বাউন্ডারিতে। আরও চারটি সিঙ্গেল এসেছে ওভারে।
১৬ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৭২/১। লিটন ৫৩ বলে ৪১, সাকিব ১৮ বলে ১৪।
গুলবদীনের ওভারে তিন রান
ওভারের শেষ বলটাতে কয়েক পা এগিয়ে এসে লেগ সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব। বল ব্যাটের ওপরের দিকে লেগে গেল ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে। হয়তো ইনিংসে সাকিবের ব্যাটিংয়ের গল্পই বলে শটটা। মাঝেমধ্যে দু-তিনটি দারুণ শট খেললেও সাকিবকে এখনো নড়বড়েই লাগছে, তবে এর মধ্যেও দারুণ গতি ধরে রেখে রান তুলে নিচ্ছেন তিনি।
১৭ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৭৫/১। গুলবদীনের ওভারের শেষ বলে সিঙ্গেলসহ এসেছে ৩ রান।
রশিদের ওভারে ৪ রান
প্রথম তিন বলেই চার রান এসে গেছে। শেষ তিন বলে কোনো রান দেননি রশিদ। ১৮ ওভারে ১ উইকেটে ৭৯ রান বাংলাদেশের। নিজের ৫০তম ওয়ানডেতে অর্ধশতক থেকে আর পাঁচ রান দূরে লিটন।
আর এক রান দূরে লিটনের অর্ধশতক
গুলবদীনের ওভারে এসেছে ৬ রান। একটি ওয়াইড, তিনটি সিঙ্গেল আর চতুর্থ বলে ২ রান নিয়েছেন লিটন। ওভারের শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক ধরে রেখেছেন লিটন। তাঁর রান এই মুহূর্তে ৪৯। বাংলাদেশের রান ১৯ ওভারে ১ উইকেটে ৮৫।
ওয়ানডেতে চতুর্থ অর্ধশতক লিটনের
আগের দুই ওভারে ১২ রান দেওয়া রশিদ খানকে বোলিং থেকে সরিয়ে দিয়েছে আফগানিস্তান। সেটি কি শুধু এই প্রান্ত থেকে সরিয়ে অন্য প্রান্ত থেকে বোলিংয়ে আনার জন্য, নাকি আপাতত বোলিং থেকেই বিরতি—তা বোঝা যাবে পরের ওভারে।
যা-ই হোক, আজমতউল্লাহ এসেছেন বোলিংয়ে। তাঁর দ্বিতীয় বলটি ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে, পাঞ্চ করে এক রান লিটনের। তাতেই অর্ধশতক! নিজের ৫০তম ওয়ানডেতে চতুর্থ অর্ধশতক পেয়ে গেলেন লিটন। ৬৩ বলে এল অর্ধশতক, চার ৬টি।
এই অর্ধশতকের পথে ৩৫ রানে থাকার সময়ই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৪ হাজার রানও হয়ে গেছে লিটনের।
অর্ধশতকের পরই চোখধাঁধানো কাভার ড্রাইভে চার মেরেছেন লিটন। ২০ ওভারে বাংলাদেশ ৯১/১।
গুলবদীনের ওভারে ১১
ওভারের প্রথম বলেই কাভার ড্রাইভে চার সাকিবের। তাতে লিটন ও সাকিবের জুটিতে ৫০ হয়ে গেল। এরপরের দুই বলেই দুটি করে রান নিয়েছেন সাকিব। চতুর্থ বলে নিলেন সিঙ্গেল, তাতে বাংলাদেশের ইনিংসেও ১০০ রান হয়ে গেল। শেষ দুই বলেও এসেছে দুটি সিঙ্গেল। গুলবদীনের ওভার থেকে এল ১১ রান। এখন পর্যন্ত ইনিংসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ওভার এটি।
২১ ওভার শেষে বাংলাদেশ ১০২/১।
বোল্ড হয়ে হতবাক সাকিব
আজমতউল্লাহর বলটা রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেছিলেন সাকিব, বল ব্যাটেও লেগেছিল। কিন্তু এরপর সাকিবের পেছনেই এল, মাটিতে একবার পড়ে আঘাত হানল স্টাম্পে। পড়ে গেল বেল। জুটিতে ৫০ হতে না হতেই আউট সাকিব! বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নিজেও হয়তো বুঝতে পারেননি, বল স্টাম্পে কীভাবে গেল!
ক্রিজে লিটনের সঙ্গী মুশফিক।
ওভারে দুই রান দিয়েছেন আজমতউল্লাহ। বাংলাদেশ ২২ ওভার শেষে ১০৪/২।
রানআউট থেকে বাঁচলেন মুশফিক
রশিদের বলটা মিডউইকেটে ঠেলে দ্রুত এক রান নেওয়ার চেষ্টা মুশফিকের। ফিল্ডারের থ্রো সরাসরি স্টাম্পে লাগলেই আউট হয়ে যেতেন! কিন্তু ভাগ্য ভালো, বল স্টাম্পে লাগেনি।
রশিদের ওভারে ৩ রান নিয়ে ২৩ ওভার শেষে বাংলাদেশ ১০৭/২।
আজমতউল্লাহর ওভারে পাঁচ রান
পঞ্চম বলটা একটু লাফিয়েই উঠেছিল। অফসাইডে পাঞ্চ করতে চেয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু বল তাঁর ব্যাটের ওপরের কানায় লাগে। বাতাসে ভেসেছিল বল, তবে স্লিপে ফিল্ডার ছিলেন না। গালিতে থাকা ফিল্ডারের পাশ দিয়ে বল নিরাপদেই গেছে থার্ডম্যানের হাতে।
ওভারে ৫ রান এসেছে। বাংলাদেশ ২৪ ওভারে ২ উইকেটে ১১২।
২৫ ওভার শেষে বাংলাদেশ ১১৫/২
তিনটি সিঙ্গেলই শুধু এসেছে রশিদ খানের ওভার থেকে। ওভারের হিসেবে ইনিংসের অর্ধেক শেষ বাংলাদেশের। এখনো রানরেট ৫-এর নিচে। লিটন ৭৮ বলে ৬২ রানে অপরাজিত, মুশফিক ব্যাট করছেন ১১ বলে ৫ রান নিয়ে।
নবী এসেছেন বোলিংয়ে
চার রান এসেছে ওভারে। ২৬ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১১৯।
মুশফিক আউট
ডিফেন্সিভ শট খেলতে চেয়েছিলেন মুশফিক, কিন্তু বলের লাইনেই যেতে পারেননি। ব্যাটের কানায় আলতো ছোঁয়া দিয়ে বল উইকেটকিপারের গ্লাভসে। দ্বিতীয় ম্যাচে ২০২ রান এনে দেওয়া লিটন-মুশফিক জুটিতে এবার এল মাত্র ১৭ রান।
নতুন ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলী। রশিদের ওভারে ২ রান নিয়ে বাংলাদেশের রান ২৭ ওভারে ৩ উইকেটে ১২১।
৭ বলে ২ উইকেট রশিদের
পঞ্চম বলের পরই স্লিপে ফিল্ডার এনেছিলেন রশিদ। ওভারের শেষ বলে স্লিপেই রহমত শাহকে ক্যাচ দিলেন ইয়াসির!
৪ বলে ১ রান করে ফিরলেন ইয়াসির আলী। নিজের আগের ওভারের পঞ্চম বলে মুশফিককে ফেরানো রশিদ ৭ বলের মধ্যে পেলেন দুই উইকেট!
রশিদের দুই ওভারের মাঝে নবীর ওভার থেকে এসেছে ৩ রান। রশিদের এই ওভারে মাত্র ১ রান নিয়ে ২৯ ওভারে ৪ উইকেটে ১২৫ রান বাংলাদেশের।
নতুন ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ।
বাংলাদেশ ৩০ ওভারে ১২৬/৪
নবীর তৃতীয় ওভারে এসেছে মাত্র ১ রান। সর্বশেষ চার ওভারে দুই উইকেট হারানো বাংলাদেশ তুলতে পেরেছে মাত্র ৭ রান!
ইনিংসের মধ্যভাগে এসেই রানের গতি আবার কমে গেছে বাংলাদেশের। ২১তম ওভারে ১০০ রান পেরিয়েছে বাংলাদেশের ইনিংসে, এরপর ৯ ওভারে এসেছে মাত্র ২৬ রান! এ সময়ে তিন উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ!
২১তম ওভারের প্রথম বলের পর কোনো বাউন্ডারিও পায়নি বাংলাদেশ!
দ্বিতীয় রিভিউও হারাল আফগানিস্তান
৬৩ বল পর বাউন্ডারি! ২১তম ওভারের প্রথম বলে যে সাকিব চার মেরেছিলেন, এরপর ৩১তম ওভারের চতুর্থ বলে এসে আবার বাউন্ডারির দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ!
রশিদ খানকে সুইপ করে মিডউইকেটে চার মারলেন লিটন। তবে বাউন্ডারি-খরা ঘোচার এক বল পরই উইকেট পতনের সম্ভাবনাও জেগেছিল। মাহমুদউল্লাহর বিরুদ্ধে এলবিডব্লুর জোরাল আবেদন করেন রশিদ। আম্পায়ার আউট না দিলেও সঙ্গে সঙ্গেই অধিনায়ককে রিভিউ নিতে বলেন। কিন্তু রিভিউতে দেখা যায়, বল পিচই করেছে অফ স্টাম্পের বাইরে!
ওভারে ৭ রান এসেছে। বাংলাদেশ ৩১ ওভারে ৪ উইকেটে ১৩৩।
নবীর ওভারে পাঁচ রান
পঞ্চম বলে হাঁটু গেড়ে উইকেটকিপারের মাথার ওপর দিয়ে উঠিয়ে দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ, তবে চার হয়নি, হয়েছে দুই রান। মাহমুদউল্লাহ ক্রিজে থাকলে যা হয়, লিটনের সঙ্গে মিলে সিঙ্গেলে জোর দিয়ে এই মুহূর্তে জুটি গড়ার চেষ্টা করছেন তিনি।
ওভারে ৫ রান এসেছে। ৩২ ওভারে ৪ উইকেটে ১৩৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় পানি পানের বিরতিতে বাংলাদেশ।
চারটি সিঙ্গেল রশিদের ওভারে
ঘটনাবিহীন ওভার। চারটি সিঙ্গেল এসেছে শুধু। বাংলাদেশ ৩৩ ওভারে ৪ উইকেটে ১৪২।
নবী ফেরালেন লিটনকে
৩৪তম ওভারে নবী দিয়েছেন দুই রান, ৩৫তম ওভারে আবার বোলিংয়ে ফিরে মুজিব দিলেন ৬ রান। ওভারের শেষ বলে লিটনের সিঙ্গেলে ১৫০ রান হলো বাংলাদেশের। কিন্তু ৩৬তম ওভারে নবীর বলে বড় ধাক্কাই খেয়েছে বাংলাদেশ। আউট হয়ে গেলেন লিটন।
স্লগ সুইপ করেছিলেন, কিন্তু ব্যাটের ওপরের কানায় লেগে বল উঠে যায় আকাশে। লং অন থেকে অনেকটা দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ গুলবদীন নাইবের। ১১৩ বলে ৭ চারে ৮৬ রান করে ফিরলেন লিটন।
নতুন ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন।
ওভারে ৩ রান এসেছে। বাংলাদেশ ৩৬ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৩।
বাংলাদেশ উইকেট হারাচ্ছে, বাউন্ডারিও পাচ্ছে না
রানের গতি আজ শুরু থেকেই তেমন একটা বাড়াতে পারছে না বাংলাদেশ। যখনই বাড়াতে গেছে, উইকেটের পতন সেটিকে আবার আটকে ধরেছে। প্রথম দশ ওভারের পথে শেষ তিন ওভারে ২৪ রান নিয়ে বাংলাদেশ রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেছিল, ১১তম ওভারে আউট তামিম। পরের দশ ওভারের বেলায় সাকিব কয়েকটি চার মেরেছিলেন, কিন্তু ২১তম ওভারে তিনিও আউট হয়ে গেলেন। এরপর থেকে যেন বাউন্ডারি মারাই ভুলে গেছে বাংলাদেশ।
একদিকে উইকেট পড়েছে, অন্যদিকে বাউন্ডারিও আসছে না। ২১তম ওভারের প্রথম বলে সাকিব চার মেরেছিলেন, এরপর ৩৭তম ওভারের শেষ বলে আফিফ চার মারার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ আর বাউন্ডারি পেয়েছে মাত্র একটি! এই মুহূর্তে ৩৭ ওভারে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ১৫৯। প্রায় ১৬ ওভারে মাত্র দুটি বাউন্ডারি, ভাবা যায়! এ সময়ে উইকেট পড়েছে চারটি!
ইনিংসে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ বাউন্ডারি পেয়েছে ১২টি। কোনো ছক্কা নেই।
আফিফও গেলেন!
ওভারের দ্বিতীয় বলে মাহমুদউল্লাহ ১ রান নিয়েছেন। আফিফ স্ট্রাইকে দেখেই কি না, নবী বোলিংয়ে এলেন রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে। তাতেই সাফল্য! অবশ্য আফিফ উইকেটটা বিলিয়ে দিয়ে এসেছেনই বলা যায়! পুল করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ৩০ গজের মধ্যেই ধরা পড়লেন।
লিটনের পর আফিফকেও ফেরালেন নবী। ৬ বলে ১ চারে ৫ রান করে ফিরেছেন আফিফ। নতুন ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশ স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের শেষ জুটি এটি!
৩৮ ওভারে বাংলাদেশ ১৬০/৬।
মুজিবের ওভারে চার রান
প্রথম তিন বলে তিনটি সিঙ্গেল, শেষ বলে আরেকটি। ৩৯ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৪ রান বাংলাদেশের। ২৫০ করতে পারবে বাংলাদেশ?
৪০ ওভারে বাংলাদেশ ১৬৮/৬
আর দশ ওভারে কত রান তুলতে পারবে বাংলাদেশ? মনে করিয়ে দেওয়া ভালো, এখন ক্রিজে থাকা মাহমুদউল্লাহ ও মিরাজের পর বাংলাদেশের তিন ‘ব্যাটসম্যান’ শরীফুল, মোস্তাফিজ ও তাসকিন।
আফগানিস্তান এখন পর্যন্ত সাত বোলারকে কাজে লাগিয়েছে, এঁদের মধ্যে সবচেয়ে ‘খরুচে’ গুলবদীন। ওভারপ্রতি গড়ে ৫ রান দিয়েছেন তিনি! মোহাম্মদ নবী আর ফজলহক ফারুকি তো চারের নিচেই রান দিয়েছেন! রশিদ খানের ইকোনমি ৪.০৮।
এখনো রশিদের দুটি, নবীর দুটি, মুজিবের তিনটি ও ফারুকির চারটি ওভার বাকি আছে। ৬ ওভারে ২৯ রান দেওয়া আজমতউল্লাহও বোলিংটা খারাপ করছেন না।
রশিদের আর এক ওভার বাকি
একটি ওয়াইড, তিনটি সিঙ্গেল। চার রান এসেছে রশিদ খানের নবম ওভার থেকে। ৪১ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ১৭২।
মাহমুদউল্লাহ ৩৭ বলে ১৯ রানে অপরাজিত, একটু আগেই ক্রিজে আসা মিরাজের রান ১০ বলে ৫।
মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা
এমনিতেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান আর বাকি নেই। মাহমুদউল্লাহ-মিরাজের পর আর স্বীকৃত ব্যাটসম্যান নেই বলে তাঁদের ওপর জোড়া দায়িত্ব ছিল। রানরেট বাড়ানো এবং সেটি করতে হতো উইকেট ধরে রেখেই। এমন জুটিরই শেষটা হলো এভাবে!
শর্ট মিড উইকেটে ফিল্ডারের হাতে বল রেখেই রান নিতে গিয়েছিলেন মিরাজ। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ ঠিক হলো না। রানই হয় না সেখানে, মিরাজ তবু দৌড়ালেন। মাহমুদউল্লাহর দিক থেকে ফেরত যাওয়ার নির্দেশনা যখন তাঁর কানে এল, ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। নজিবুল্লাহর থ্রো সরাসরি স্টাম্পে আঘাত করে, মিরাজ তখনো ক্রিজের বাইরে।
তাসকিন এসেছেন ক্রিজে। নবীর ওভারে ৩ রান এসেছে। বাংলাদেশ ৪২ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৫।
রিভিউ নিয়েও বাঁচলেন না তাসকিন
নিজের শেষ বলে বাংলাদেশকে ধাক্কা দিয়ে গেলেন রশিদ খান। তাসকিনের বিরুদ্ধে এলবিডব্লুর আবেদনে আম্পায়ার আউট দিয়েছিলেন, কিন্ত বাংলাদেশ রিভিউ নেয়। রিপ্লে দেখায়, বল ব্যাটে লাগেনি, প্যাডে যখন লেগেছে তখন বল স্টাম্পের দিকেই যাচ্ছিল। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই বহাল থাকল। ৬ বলে কোনো রান না করেই ফিরে গেলেন তাসকিন। ওভারের দ্বিতীয় বলেই ১ রান নিয়ে কেন রশিদের চার বলের মুখোমুখি তাসকিনকে করে গেছেন মাহমুদউল্লাহ, সে-ও এক প্রশ্ন বটে।
নিজের দশম ওভারে ১ রান দিয়েছেন রশিদ খান। ১০ ওভারে ৩৭ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৪৩ ওভারে বাংলাদেশের রান ৮ উইকেটে ১৭৬।
শরীফুল সঙ্গ দিতে পারবেন মাহমুদউল্লাহকে?
নতুন ব্যাটসম্যান শরীফুল ক্রিজে। আশ্চর্য করার মতো ব্যাপার, এবারও ওভারের দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে শরীফুলকে স্ট্রাইক দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিলেন শরীফুল, আবার পঞ্চম বলে সিঙ্গেল নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। নবীর ওভারের শেষ বলটাতে আর বিপদ হয়নি।
৪৪ ওভারে ১৭৯/৮ বাংলাদেশ।
শরীফুল যখন মাহমুদউল্লাহর দায়িত্বে
সাধারণত বোলাররা ব্যাট হাতে নামলে অন্য প্রান্তের স্বীকৃত ব্যাটসম্যানই দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিংটা করেন। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ সম্ভবত সবাইকে ব্যাটিংয়ের আনন্দের ভাগ দেওয়ার নীতিতে বিশ্বাসী! না হলে অন্য প্রান্তে যখন তাসকিন-শরীফুলের মতো ‘ব্যাটসম্যান’, বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে রান নেই, আর দুই উইকেট হাতে, বোলিংয়ে নবী-রশিদের পর এখন এসেছেন ফারুকি...এমন পরিস্থিতিতে টানা তৃতীয় ওভারে দ্বিতীয় বলে এক রান নিয়ে মাহমুদউল্লাহ স্ট্রাইক ছেড়ে দেওয়ার কারণ খুঁজে পাওয়া দায়! হয়তো শেষ পাঁচ ওভারেই দায়িত্বটা নেবেন, তার আগে নিচের সারির ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে যত সম্ভব রান বের করার, তাঁদের আত্মবিশ্বাস দেওয়ার জন্যই! ঝুঁকিপূর্ণ কৌশল বটে!
তবে ফারুকির ওভারে শরীফুলকে ব্যাটিংয়ে অবশ্য লাভ হয়েছে। ওভারের চতুর্থ বলেই চার মেরেছেন শরীফুল। মেরেছেন বলতে ব্যাট চালিয়েছেন, বল ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটের পেছনে চার। সেই চারে পাওয়া আত্মবিশ্বাস থেকেই কিনা, ওভারের শেষ বলে ১ রান নিয়ে স্ট্রাইক ধরে রেখেছেন শরীফুল!
৪৫ ওভার শেষে বাংলাদেশ ১৮৬/৮।
শেষ পাঁচ ওভার! কত রান পর্যন্ত যেতে পারবে বাংলাদেশ?
শেষ বলের তাড়াহুড়ায় রানআউট শরীফুল
শরীফুল স্ট্রাইকে, বোলিংয়ে মুজিব। প্রথম দুই বলে কোনো রান হয়নি, তৃতীয় বলে ১ রান। চতুর্থ বলে ঝুঁকি নিয়ে দুই রান নিলেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু ওভারের শেষ বলে তাড়াহুড়ো করে এক রান নিতে গিয়েই ঝামেলা। বল পিচের পাশেই থাকল, বোলার দৌড়ে এসে ধরে ফেলায় মাহমুদউল্লাহর ক্রিজ থেকে বের হওয়ার সুযোগ ছিল না। ওদিকে শরীফুল আগেই বেরিয়ে অনেক দূর চলে আসায় তিনি আর ফিরতে পারলেন না। তার আগেই মুজিবের থ্রোতে রানআউট শরীফুল। মাহমুদউল্লাহর স্ট্রাইকও ধরে রাখা হলো না, বাংলাদেশের আরেকটা উইকেটও গেল। আর হাতে আছে এক উইকেট।
৪৬ ওভারে ৯ উইকেট ১৮৯ রান বাংলাদেশের।
মোস্তাফিজও রানআউট!
স্ট্রাইকে নতুন ব্যাটসম্যান মোস্তাফিজ, বোলিংয়ে ফারুকি। প্রথম বলে রান হয়নি, দ্বিতীয় বলে এক রান নিয়ে মাহমুদউল্লাহকে স্ট্রাইকে দিলেন মোস্তাফিজ। চতুর্থ বলে উড়িয়ে মেরেছিলেন মাহমুদউল্লাহ, চার-ছক্কা হয়নি, বলও পড়ল খালি জায়গায়। এল দুই রান। পঞ্চম বলে অফসাইডে মারতে চেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ, ব্যাটে বলে হয়নি। উইকেটকিপার গুরবাজের হাতে বল রেখেই এক রান নিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আফগান উইকেটকিপারের চেয়ে ক্ষিপ্রতায় পিছিয়ে গেলেন মোস্তাফিজ। গুরবাজ থ্রো করে স্টাম্প ভাঙলেন, ননস্ট্রাইক প্রান্ত থেকে দৌড়ে আসা মোস্তাফিজ উইকেট বাঁচাতে ঝাঁপও দিলেন না। হলেন রানআউট!
১৯২ রানে অলআউট বাংলাদেশ!
বাংলাদেশের শেষ চার উইকেটের তিনটিই রানআউট। শেষদিকে কীভাবে গুবলেট পাকিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ, সেটির প্রমাণই হয়তো সেটি।
মাহমুদউল্লাহ চাপটা জিততে পারলেন না
তাঁর ওপর চাপটা ছিল সীমাহীন। অন্যপ্রান্তের ব্যাটসম্যানরা মূলত বোলার, আবার বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে রানও তেমন নেই। দুই দিকের চাপের কোনোটিই সামলাতে পারলেন না মাহমুদউল্লাহ। ৫৩ বলে ২৯ রান করে তিনি অপরাজিত থাকলেন ঠিকই, কিন্তু বারবার বোলারদেরই স্ট্রাইকে পাঠিয়ে হয়তো ভুলটা করেছেন মাহমুদউল্লাহ। হয়তো তিনি ৪৫ ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করে শেষ পাঁচ ওভারে নিজে দায়িত্ব নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন, এর মধ্যে তাসকিন-শরীফুলরা ক্রিজে থেকে কিছুটা আত্মবিশ্বাসীও হবেন, এই পরিকল্পনাই হয়তো ছিল মাহমুদউল্লাহর। তিনিই ভালো বলতে পারবেন। তবে পরিকল্পনাটা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ছিল, শেষ পর্যন্ত ভুল বলেই প্রমাণিত হলো।
একদিকে তাসকিন-শরীফুলরা আউট হয়েছেন, অন্যদিকে মাহমুদউল্লাহ রানের গতি বাড়ানোর চাপে ভালো করতে পারেননি। শেষদিকে বাংলাদেশের দিগ্বিদিক ছোটাছুটিতে এতগুলো রানআউটও স্কোরটাকে বড় হতে দেয়নি!
প্রথম ২১ ওভার বাংলাদেশের, বাকিটা আফগানদের
২০.১ ওভারের পর বাংলাদেশের ইনিংসে বাউন্ডারি মাত্র তিনটি! ২১তম ওভারের পর বাংলাদেশ হারিয়েছে বাকি ৯ উইকেট। ২১ ওভারেই যেখানে ১০০ রান হয়ে গিয়েছিল, পরের ২৫ ওভারে এসেছে মাত্র ৯২ রান!
ম্যাচটা কোথায় ঘুরে গেছে, এখানেই তো পরিষ্কার।
লিটন এবং বাকি দশজন
বাংলাদেশ ইনিংসে মাত্র চারজন দুই অঙ্কে যেতে পেরেছেন, এর মধ্যে তামিম ইকবাল তো দুই অঙ্কে গিয়েই আউট (১১)। সাকিব করেছেন ৩০, শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে এল ২৯। শুধু লিটন দাসই যা লড়েছেন। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৮৬ রান, বাংলাদেশের বাকি ৯ ব্যাটসম্যান মিলিয়ে রান ৯৭।
রশিদ খান বাংলাদেশের মিডল অর্ডার গুঁড়িয়ে দিয়েছেন, ৩০ গজে আফগানদের ফিল্ডিং ভালো হয়েছে, স্পিনাররা রানের গতি একেবারেই কমিয়ে দিয়েছেন, শেষদিকে তিনটি রানআউটে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসা মাহমুদউল্লাহকে শেষটা সুন্দর করতে দেয়নি...সব হিসাবে নিয়েও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের এমন ব্যাটিংয়ের ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া কষ্টসাধ্য। যেখানে এই ম্যাচটা ছিল সুপার লিগে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে বাকি থাকা সিরিজের আগে পয়েন্ট তালিকায় আরেকটু এগিয়ে যাওয়ার!
দুই ওভারে নয় রান আফগানদের
রিয়াজ হাসান আর রহমানউল্লাহ্ গুরবাজের উদ্বোধনী জুটিতে এর মধ্যেই দুই ওভারে নয় রান উঠে গেছে আফগানদের
চতুর্থ ওভারেই আক্রমণে সাকিব
আফগানদের লক্ষ্য কম। ম্যাচ জেতার জন্য তাই উইকেট তুলে নেওয়ার বিকল্প নেই। এমন অবস্থায় উইকেটের আশায় চতুর্থ ওভারেই অধিনায়ক তামিম ইকবাল বল তুলে দিলেন সাকিব আল হাসানের হাতে। ওভারের দ্বিতীয় বলেই ছক্কা মেরে সাকিবকে স্বাগত জানালেন রহমানউল্লাহ্ গুরবাজ
আঁটসাঁট বোলিং শরীফুলের
টানা তিন ওভার বল করলেন শরীফুল ইসলাম। আফগান ওপেনাররা তাতে চার রানের বেশি নিতে পারলেন না। রান আটকানোর কাজটা বেশ ভালোভাবেই করে যাচ্ছেন এই পেসার।
আউট করার সুযোগ হারাল বাংলাদেশ
রহমানউল্লাহ্ গুরবাজের ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটকিপার আর প্রথম স্লিপের মধ্য দিয়ে চলে গেল বল, কেউ আটকাতে পারল না। শরীফুলের আঁটসাঁট বোলিংয়েও লাভ হলো না, চার বের করে নিলো আফগানিস্তান
৪২ ওভারে দরকার ১৪৭ রান দরকার আফগানিস্তানের
নবম ওভারে বল হাতে নিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম ওভারে দিয়েছেন ৩ রান।
৯ ওভার শেষে আফগানিস্তান: ৪৯/০
৯.২ ওভারে ৫০ তুলে ফেলল আফগানিস্তান। আর মাত্র ১৪৩ রান দরকার আফগানিস্তানের। ওভারপ্রতি সাড়ে ৩ রান করে দরকার সফরকারীদের।
ওয়াও! দুর্দান্ত চার।
তাসকিনকে সোজা ব্যাটে খেলেছেন গুরবাজ। রহমানউল্লাহর শট ব্যাটের স্পর্শ নিয়ে তাসকিনের পাশ দিয়ে সোজা সীমানায়। ইনিংসের সেরা শট।
এই ওভারেও ৮ রান দিলেন তাসকিন। আগের ওভারে ১৩ রান দিয়েছেন তাসকিন। মাঝের ওভারে ভালো করছেন তাসকিন। কিন্তু সে কাজ করতে গিয়ে হয়তো নতুন বলের বোলিং নিয়ে তেমন ভাবছেন না এই পেসার।
১০ ওভার শেষে আফগানিস্তান ৫৭/০
৪০ ওভারে মাত্র ১৩৬ রান দরকার আফগানিস্তানের।
আরেকটি চার
এবার তাসকিনকে চার রহমানউল্লাহর। লেগ স্টাম্পের ওপর বল। আফগান ওপেনারকে খুব বেশি কিছু করতে হয়নি। শুধু জায়গামতো বল পাঠিয়ে দিয়েছেন।
কোনোভাবেই চাপ সৃষ্টি করতে পারছে না বাংলাদেশ। দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের সামনে অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজকে কখন আক্রমণে আনা হবে, সেটা দেখার আগ্রহ বাড়ছে।
১১ ওভার শেষে আফগানিস্তান ৬৩/০
সাকিবের ওভারে চার সিঙ্গেল
দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে ফিরেছেন সাকিব। ওভারে চারটি সিঙ্গেল এসেছে। ১২ ওভার শেষে আফগানিস্তান ৬৮/০।
মোস্তাফিজও ভয় ধরাতে পারছেন না
প্রথম চার বলে রান আসেনি, শেষ দুই বলে দুটি সিঙ্গেল। আগের ২ ওভারে ৯ রান দেওয়া মোস্তাফিজ এই ওভারে দিলেন ২ রান। কিন্তু রান আটকানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের এখন বেশি দরকার উইকেট, সেদিক থেকে মোস্তাফিজ এই ওভারে ভয়ই ধরাতে পারেননি আফগানদের মনে।
দুই আফগান উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান গুরবাজ ও রিয়াজ দুজনই ত্রিশের ঘরে ব্যাটিং করছেন। গুরবাজ ৩৬ বলে ৩৫, রিয়াজ ৪২ বলে ৩৪। আফগানিস্তান ১৩ ওভারে বিনা উইকেটে ৭০। ওভারপ্রতি গড়ে ৩.৩২ রান নিলেই চলবে তাদের, আফগানরা রান করছে ওভারপ্রতি ৫.৪৬ গড়ে! এবং কোনো উইকেট না হারিয়ে!
সাকিবের বলেও ধার নেই
আগের ৩ ওভারে ১৫ রান দেওয়া সাকিব এই ওভারে দিয়েছেন ৭ রান। প্রথম বলে তাঁকে কাট করে ২ রান নিয়েছেন গুরবাজ, দুই বল পর সাকিবের ধীরগতির, স্টাম্পের বাইরের বলে পুল করে মেরেছেন চার।
আফগানিস্তান ১৪ ওভারে ৭৭/০।
সাকিবের বলে মুশফিকের স্টাম্পিং
সাফল্য আর ব্যর্থতায় পার্থক্য কতটুকু? যতটুকু পার্থক্য থাকল রিয়াজের জুতো আর ক্রিজের রেখার মধ্যে। গুরবাজ দ্বিতীয়বারে পা ভেতরে নিয়ে আসতে পারলে, আউটটা না হলে মুশফিকের সমালোচনাই হতো অনেক। বেঁচে গেলেন বাংলাদেশ উইকেটকিপার!
সাকিবের বলে পা এগিয়ে ডিফেন্সিভ শট খেলেছিলেন রিয়াজ, বল যায় উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে। বল ধরেই গ্লাভস স্টাম্পে ছোঁয়ান মুশফিক, কিন্তু বেল পড়েনি। ততক্ষণেই স্টাম্পিংয়ের আবেদনে অবশ্য চিৎকার শুরু করে দিয়েছেন মুশফিক! কিন্তু রিয়াজ ততক্ষণেও পা পেছনে আনেননি, তাঁর পা আটকে গিয়েছিল বুঝি! এর মধ্যে বেল পড়েনি দেখে মুশফিক আবার গ্লাভসের ছোঁয়ায় বেল ফেলে দেন! তৃতীয় আম্পায়ারের রিভিউ জানাল, রিয়াজ আউট!
৭৯ রানে অবশেষে আফগানিস্তানের প্রথম উইকেট ফেলতে পারল বাংলাদেশ।
টানা দুই বলেই উইকেট পেতে পারতেন সাকিব! কিন্তু নতুন ব্যাটসম্যান রহমত শাহর একেবারে সামনে ফিল্ডার রেখে বল করেছিলেন, রহমত কাভারে ঠেলে এক রান নেন। কিন্তু বল কিছুক্ষণ বাতাসে ছিল। শর্ট কাভারে থাকা ফিল্ডার এত দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখাতে না পারায় ক্যাচটা হয়নি।
ওভারে তিন রান এসেছে। আফগানিস্তান ১৬ ওভারে ১ উইকেটে ৮২।
মোস্তাফিজকে দেখেশুনে খেলছে আফগানিস্তান
তৃতীয় বলে একটি সিঙ্গেল, শেষ বলে আরেকটি। মোস্তাফিজের ওভারগুলো দেখেশুনে পার করে দেওয়ার পরিকল্পনাতেই বুঝি নেমেছেন দুই আফগান উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। অবশ্য লক্ষ্য ছোট, এর মধ্যেও অন্য বোলারদের পিটিয়ে ওভারপ্রতি গড়ে পাঁচের বেশি রান হয়ে গেছে তাদের, মোস্তাফিজকে দেখেশুনে ছেড়ে দিলেও রানের চাপ তো বাড়ছে না আফগানদের!
১৫ ওভারে বিনা উইকেটে ৭৯।
বোলিংয়ে তাসকিন!
প্রথম স্পেলে ৩ ওভারে ২৭ রান দিয়েছিলেন তাসকিন। উইকেট পড়তেই তাই আবার তাঁকে বোলিংয়ে ফিরিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। বদলটাতে উইকেট না এলেও তাসকিনের বোলিং ফিগারে আপাতত কিছুটা উন্নতি হয়েছে। দ্বিতীয় স্পেলে প্রথম এই ওভারে এক রান দিয়েছেন বাংলাদেশি পেসার।
আফগানিস্তান ১৭ ওভারে ১ উইকেটে ৮৩।
সাকিবের ওভারে ৮ রান
দুবার সাকিবকে সুইপ করেছেন গুরবাজ, কোনোবারই বল ঠিকমতো ব্যাটে লাগেনি। দুবারই বল আকাশে উঠেছে। কিন্তু দুবারই গুরবাজের ভাগ্য, বল মিড উইকেটে ফাঁকা জায়গায় পড়েছে। দুবারই হয়েছে ৩ রান। ওভারের শেষ বলে ৩ রান নিয়ে অর্ধশতক হয়ে গেছে গুরবাজের। ৫৩ বলে ৫১ রান তাঁর।
সাকিবের ওভারে ৮ রান নিয়ে ১৮ ওভার শেষে আফগানিস্তানের রান ১ উইকেটে ৯১।
আর ১০০ রান!
এখনো ৩১ ওভার আছে, হাতে ৯ উইকেট আছে আফগানিস্তানের। দ্রুত কিছু উইকেট না এলে এই ম্যাচে বাংলাদেশের জেতা অসম্ভবই হয়ে যাবে। তাসকিনের ওভারে ২ রান নিয়ে আফগানিস্তানের রান ১৯ ওভারে ৯৩/১।
২০ ওভারে ৯৪/১
সাকিবের ওভারে এসেছে ১ রান। তবে রানের চাপ বাড়ানোর পাশাপাশি উইকেটও লাগবে বাংলাদেশের। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান গুরবাজ তো অর্ধশতক পেয়ে ক্রিজে থিতুই হয়ে গেছেন, এই মুহুর্তে তাঁর রান ৫৯ বলে ৫২। তিনে নামা রহমত শাহ দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো ইনিংস খেলেছিলেন, এই মুহুর্তে তাঁর রান ১২ বলে ৬।
বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে আফগানিস্তান!
তাসকিনের ওভারে ৪ রান নিয়ে ২১ ওভারে আফগানিস্তানের রান ১ উইকেটে ৯৮। ইনিংসের এই পর্যায়ে বাংলাদেশের রান ছিল ১ উইকেটে ১০২। ঝামেলাটা হলো, বাংলাদেশের দাপট ম্যাচে শুধু প্রথম ২১ ওভার পর্যন্তই ছিল!
গুরবাজের ছক্কায় ১০০ পার
ওভারের তৃতীয় বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে সাকিবকে দারুণ ছক্কা মেরেছেন গুরবাজ। ওই ছক্কায়ই আফগানিস্তান ইনিংসে ১০০ পার হয়ে গেছে। সাকিবের ওভারে এসেছে ৮ রান। ২২ ওভারে আফগানিস্তান ১০৬/১।
ক্যাচ হাতছাড়া মুশফিকের, এরপরই চার
লেগ স্টাম্পের বাইরে বুক উঁচু উচ্চতায় বলটা করেছিলেন শরীফুল। গুরবাজ পুল করতে চেয়েছিলেন, বল তাঁর গ্লাভসে লেগে উইকেটের পেছনে যায়। কিন্তু মুশফিক ক্যাচটা ধরতে পারেননি। এক রান হলো। তার পরের বলেই চার রহমতের।
ওভারে ৭ রান। ২৩ ওভারে ১ উইকেটে ১১৩ রান আফগানিস্তানের।
মিরাজ বোলিংয়ে
২৪তম ওভারে বোলিংয়ে এসেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। একটু দেরি হয়ে গেল কী? ধারাভাষ্যকক্ষে আতাহার আলী খান তা-ই বলছিলেন! ওভারের চতুর্থ বলে চার মেরেছেন রহমত। ওভারে ৫ রান এসেছে। ২৪ ওভারে ১ উইকেটে ১১৮ রান আফগানিস্তানের।
মাহমুদউল্লাহর জন্য দুঃস্বপ্নের ম্যাচ?
ব্যাটিংয়ে তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্বটা পালন করতে পারেননি, ফিল্ডিংয়েও এমন সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করলেন মাহমুদউল্লাহ! শরীফুলের বলে পুল করেছিলেন গুরবাজ, ব্যাটে ঠিকমতো লাগেনি। ফাইন লেগে মাহমুদউল্লাহর হাতেই পড়েছে ক্যাচটা, কিন্তু সহজ এই ক্যাচই ধরতে পারেননি তিনি! গুরবাজের রান তখন ৬৯ বলে ৬১, আফগানিস্তান ১ উইকেটে ১১৯।
শরীফুলের ওভারে ৩ রান নিয়ে ২৫ ওভার শেষে ১ উইকেটে ১২১ রান আফগানিস্তানের।
গুরবাজের চোখে কী পড়ল
মিরাজের ওভারের দ্বিতীয় বলের পর চোখে কিছু একটা পড়েছিল গুরবাজের। প্রথমে মুশফিক তাঁর চোখে ফু দিলেন, তাতেও কাজ হলো না। আফগান ফিজিও এসে চিকিৎসা দিলেন। পরের বলে সহজেই একটা রান নিয়েছেন গুরবাজ। ওভারে ৩ রান এসেছে। ২৬ ওভারে আফগানিস্তানের রান ১ উইকেটে ১২৪।
মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক!
শরীফুলের দুর্ভাগ্য বটে! এর আগে ২৩তম ওভারে তাঁর বলে গুরবাজের ক্যাচ হাতছাড়া করেছিলেন মুশফিক। ২৫তম ওভারে আবার, এবার ফাইন লেগে ক্যাচ মিস মাহমুদউল্লাহর। ব্যাটসম্যান গুরবাজ! ‘ধারা’ বজায় থাকল ২৭তম ওভারেও। এবার অবশ্য ক্যাচটা মুশফিকের জন্য অনেক কঠিনই ছিল, লাফিয়েও বলটা ধরতে পারেননি বাংলাদেশ উইকেটকিপার। উল্টো চারই হয়ে গেল! এবারও ব্যাটসম্যান? গুরবাজ!
এই চারে জুটিতে অর্ধশতক হয়ে গেছে।
লাফিয়ে ক্যাচ ধরতে গিয়ে মাটিতে পড়ার পর অবশ্য কিছুটা ব্যথা পেয়েছেন মুশফিক। তিনি সামলে উঠে দাঁড়িয়েছেন। এদিকে শরীফুলের পায়ে কিংবা জুতোয় কোনো সমস্যা ধরা পড়েছে। ড্রেসিংরুমের দিকে কিছু একটা ইঙ্গিত করেছেন সাকিব।
ঝামেলা শেষে বোলিং করেছেন বটে শরীফুল, তবে বেঁচে ফেরা গুরবাজ তাঁকে দারুণ পুলে বিশাল ছক্কা মেরেছেন। ওভারে ১৪ রান এসেছে। ২৭ ওভারে ১ উইকেটে ১৩৮ রান আফগানিস্তানের।
ব্যবধান ৫০-এর নিচে
গুরবাজ সম্ভবত দলের জয়ের পাশাপাশি নিজের শতকের কথাও ভাবছেন! আর না হলে এত জীবন পাওয়ার পর হয়তো ভেবেছেন, এখন উপভোগেরই সময়! অথবা হতে পারে, তাড়াতাড়ি খেলা শেষ করে তাঁর অন্য কোনো কাজের তাড়া আছে। না হলে এভাবে আগ্রাসন শুরু করবেন কেন! মিরাজের ওভারের তৃতীয় বলে এগিয়ে এসে লং অফে দারুণ ছক্কা মেরেছেন গুরবাজ। তাঁকে দেখেই কিনা, পঞ্চম বলে চার মেরেছেন রহমত।
আগের ওভারের মতো এই ওভারেও এসেছে ১৪ রান। ২৪ ওভার শেষে আফগানিস্তান ১ উইকেটে ১৫২। জয় থেকে আর মাত্র ৪১ রান দূরে আফগানরা। গুরবাজের রান ৮২। রহমতের রান ৩৫।
সাকিব ফিরেছেন
ক্রিকইনফোতে মন্তব্য, আফগানিস্তানের ৪১ রান দরকার ২২ ওভারে। কিন্তু আফগানদের দেখে মনে হচ্ছে, তাদের ২২ বলে ৪১ রান দরকার!
সাকিব এসেছেন বোলিংয়ে। ওভারে ২ রান হলো। আফগানিস্তান ২৯ ওভারে ১ উইকেটে ১৫৪।
মিরাজের ওভারে চার রান
শেষ তিন বলে তিনটি সিঙ্গেল নিয়ে ওভারে চার রান। আফগানদের রান ৩০ ওভার শেষে ১ উইকেটে ১৫৮। বাকি ২০ ওভারে ৩৫ রান দরকার আফগানিস্তানের।
সাকিবের দশ ওভার শেষ
শেষ ওভারে তিন রান দিয়েছেন সাকিব। ১০ ওভারে ৪৮ রান দিয়েছেন বাংলাদেশের একমাত্র উইকেট নেওয়া বোলার। ৩১ ওভারে ১ উইকেটে ১৬১ রান আফগানিস্তানের।
বোলিংয়ে মিরাজ
পঞ্চম ওভারে ৩ রান দিলেন এই অফ স্পিনার। আফগানিস্তানের আর দরকার ২৯ রান। ওভারপ্রতি ২ রানও দরকার নেই দলটির।
বোলিংয়ে আফিফ
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১ বলে ১ উইকেট নেওয়া আফিফের অবিশ্বাস্য স্ট্রাইকরেট ধরে রাখা হচ্ছে না। প্রথম তিন বলে কোনো উইকেট পাননি, দিয়েছেন ২ রান।
প্রথম ওভারে ৩ রান দিলেন আফিফ। প্রয়োজনীয় রানরেটের প্রায় দ্বিগুণ!
১৭ ওভারে ২৬ রান দরকার আফগানিস্তানের
গুরবাজের দরকার ১২, রহমতের ৭
৮৮ রানে অপরাজিত গুরবাজ। অন্যদিকে সিরিজে ভালো করা রহমতের রান ৪৩। ব্যক্তিগত মাইলফলক ছুঁতে দুজনের দরকার ১৯। দলের জয়ের জন্য প্রয়োজন ২৬।
আফিফকে গুরবাজের চার
আফিফকে মাথার ওপর দিয়ে তুলে মেরে চার মারলেন গুরবাজ। এই চারেই নব্বইয়ের ঘরে চলে গেলেন এই ওপেনার। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক থেকে আর মাত্র ৮ রান দূরে।
দুই ডানহাতির বিপক্ষে দুই অফ স্পিনার
ডানহাতি ব্যাটসম্যান দেখলে বাংলাদেশ দল অফ স্পিনার আনতে চায় না আক্রমণে। এ কারণেই মিরাজকে বোলিংয়ে দেখতে দেখতে ইনিংসের প্রায় অর্ধেক পেরিয়ে গেছে। এখন উপায় না দেখে দুই প্রান্তেই দুই অফ স্পিনার। একদিকে মিরাজ, অন্যদিকে আফিফ হোসেন। ম্যাচ জেতার আর কোনো আশা নেই, বাংলাদেশ এখন শুধু হারের ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করছে। দুই ব্যাটসম্যান যদি তুলে মারতে গিয়ে উইকেট উপহার দেন, সে আশাও আছে।
রহমতকে আউট করলেন মিরাজ
সেটাই সত্য হলো। মিরাজকে তুলে মারতে গিয়ে আউট রহমত। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে বল করছিলেন মিরাজ। এগিয়ে এসে মারতে চেয়েছিলেন রহমত শাহ। ৪৭ রানে স্টাম্পড হলেন রহমত। ১০০ রানে থামল দ্বিতীয় উইকেট জুটি।
৯৮ রানে আছেন গুরবাজ
৩৭ ওভার শেষে ৯৮ রানে অপরাজিত গুরবাজ। আফগানিস্তানের দরকার ১০ রান।
রিভিউ নিল বাংলাদেশ
হাশমতউল্লাহ শহিদীর বিপক্ষে এলবিডব্লুর আবেদন। আম্পায়ার সারা দেননি। বাংলাদেশ রিভিউ নিয়েছে। ইমপ্যাক্ট আম্পায়ারস কল, তাই বেঁচে গেলেন শহিদী।
পরের বলেই আউট শহিদী!
এবার রিভিউ নিল আফগানিস্তান। কিন্তু এবারও আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত সঠিক হলো। ১৮৩ রানে তৃতীয় উইকেট হারাল আফগানিস্তান।
উইকেট মেডেন মিরাজের
১২ ওভারে এখনো ১০ রান দরকার আফগানিস্তানের।
শতক পেয়ে গেলেন গুরবাজ
ওয়ানডেতে প্রথম আফগান ব্যাটসম্যান হিসেবে শতক পেলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ৮০তম ব্যাটসম্যান হিসেবে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে শতক পেলেন গুরবাজ।
মোস্তাফিজের ‘লোপ্পা’ বল পেয়ে চার গুরবাজের
মোস্তাফিজ কাটার করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু হাত থেকে বলটা ছুটে গিয়েছিল। এত সামনে বল পড়েছিল যে গুরবাজও বিভ্রান্ত হয়েছেন। পরে সময় নিয়ে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে তুলে মেরেছেন।
৩ রান দরকার আফগানিস্তানের
আর ১ রান দরকার আফগানিস্তানের
১০ ওভারে দরকার ১ রান। বল ও উইকেটের ব্যবধানে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে আফগানিস্তান।
৭ উইকেটে জিতল আফগানিস্তান
রহমানউল্লাহ গুরবাজের দুর্দান্ত ১০৬ রানের ইনিংস বাংলাদেশকে কোনো সুযোগ দেয়নি। ৭ উইকেট ও ৫৯ বল হাতে রেখে বাংলাদেশকে হারাল আফগানিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষ ওয়ানডেতে দেশটির চতুর্থ জয়। বাংলাদেশের মাটিতে তৃতীয় জয় দলটির।