টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রায় সব দলই যাচ্ছে স্পিনারনির্ভর হয়ে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের উইকেটে এবার রানবন্যা হওয়ার সম্ভাবনা কম। এক মাস ধরে আইপিএল চলছে। উইকেটগুলো ব্যবহৃত হয়েছে প্রায় প্রতিদিন। সেই মাঠগুলোতেই হবে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো। আর আইপিএলের আরব আমিরাত পর্বেও স্পিনারদের দাপট বিশ্বকাপ সম্পর্কে একটা ধারণা দিয়ে রেখেছে।
আইপিএলের ম্যাচ দেখে ও বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত করা উইকেট দেখে মুত্তিয়া মুরালিধরনেরও ধারণা, এই বিশ্বকাপে ছড়ি ঘোরাবেন স্পিনাররা। যদিও বিশ্বকাপে কোন দল এগিয়ে থাকবে, সে প্রশ্নের উত্তরে পরিষ্কারভাবে কাউকে দেখিয়ে দিতে পারছেন না স্পিন কিংবদন্তি।
মাঝে আর এক দিন। ১৭ অক্টোবর শুরু হয়ে যাচ্ছে বিশ্বকাপ। আর সুপার টুয়েলভ পর্ব শুরু হবে ২৩ অক্টোবর। বিশ্বকাপের আগে দলগুলোর শক্তিমত্তা ও ফর্ম সবারই এখন জানা। তবু কোনো ফেবারিট খুঁজে পাচ্ছেন না মুরালিধরন। আইসিসির কলামে লিখেছেন, ‘২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর দিক হলো, এখানে কোনো পরিষ্কার ফেবারিট নেই। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে এসে মনে হচ্ছে, নিশ্চিতভাবে এগিয়ে আছে, এমন কোনো দল নেই এবং এর ফলে অনেক দলই শিরোপা জিততে পারে।’
শিরোপা জেতায় স্পিনারদেরই সবচেয়ে বড় প্রভাবক মানছেন শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি। তবে পেসারদেরও এমন উইকেটে ভালো করার উপায় বাতলে দিয়েছেন, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে স্পিনারদের এত গুরুত্ব দেখে আমি অবশ্যই খুব আনন্দিত। এটা খুব দ্রুতগতির খেলা এবং এটা ব্যাটসম্যানদের জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছে। কিন্তু ইংল্যান্ডে প্রথম শুরু হওয়ার পর গত ১৮ বছরে বোলাররা এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে শিখেছে। ফাস্ট বোলাররা এখন স্লোয়ার করছে, কাটার করছে, আর বিভিন্ন বল করছে। এসব দক্ষতা আপনাকে আয়ত্ত করতে হবে।’
আইপিএলের কারণে এখন আরব আমিরাতে আছেন মুরালিধরন। আর সে কারণেই তাঁর মনে হচ্ছে, এবার অধিনায়কদের মূল অস্ত্র হবেন স্পিনাররা, ‘আমি আইপিএলের জন্য আরব আমিরাতে আছি। আর উইকেট দেখে যা মনে হচ্ছে, বিশ্বকাপে স্পিনাররা অনেক বড় ভূমিকা রাখবেন। কিউরেটররা কীভাবে প্রস্তুত করছেন, তার ওপর নির্ভর করবে, উইকেট কেমন আচরণ করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত যা মনে হচ্ছে, ব্যাটে বল লাগাতে ভুগতে হবে ব্যাটসম্যানদের এবং কম রানের ম্যাচ হবে।’
শুধু স্পিন বোলিং বা স্লোয়ার করতে পারলেই তো হলো না, জিততে হলে কৌশলও খাটাতে জানতে হয়। আর টি-টোয়েন্টির ক্ষেত্রে প্রথাগত চিন্তা থেকে বের হতে বলেছেন মুরালিধরন, ‘একজন খেলোয়াড়, কোচ ও মেন্টর হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে আমার অভিজ্ঞতা বলে, এখানে রক্ষণাত্মক মানসিকতা নিয়ে এগোতে হয়। ওয়ানডে বা টেস্টে আপনার লক্ষ্য থাকে উইকেট নেওয়ার। আমার মতে, টি-টোয়েন্টিতে রক্ষণই সেরা আক্রমণ। এখানে ওভারে ৬ বা সাড়ে ৬ রান দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগোতে হয় এবং এটা যদি করতে পারেন, তাহলে দু-একটা উইকেটও হয়তো আপনি পাবেন।’