ডট বলের চেষ্টা করেই অস্ট্রেলিয়াকে গুঁড়িয়ে দিলেন নাসুম
সম্বল যখন ১৩১ রান, তখন লড়াই করাটাই তো অনেক বড় ব্যাপার টি-টোয়েন্টিতে। বাংলাদেশের লক্ষ্যও ছিল তাই। বোলারদের প্রতি বার্তা ছিল, যতটা সম্ভব বেশি ডট বল করার।
সেই ডট বলের চেষ্টাতেই শুধু সফল হননি নাসুম আহমেদ, ১৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার মূল ভূমিকা পালন করেছেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সফরে নাসুম খেলেছিলেন একটি ম্যাচই। সেটিতে ৩ ওভারে গুনেছিলেন ৩৭ রান। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের আগের দিন হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো জানিয়েছিলেন, নাসুম খেলবেন। বাড়তি দায়িত্ব নেওয়ার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন। নাসুম সেটি নিয়েছেনও।
বোলিংয়ে ইনিংসের প্রথম বলেই মেহেদী হাসান উইকেট পাওয়ার পর দ্বিতীয় ওভারেই নাসুমকে এনেছেন মাহমুদউল্লাহ। নাসুম সফল হয়েছেন প্রথম ওভারেই।
নাসুম জানালেন, ফিল্ডিংয়ে নামার আগেই অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বলেছিলেন বেশি বেশি ডট বল করার কথা, ‘আমরা যখন ১৩১ রান করেছি, তখন নামার আগে (মাহমুদউল্লাহ) রিয়াদ ভাই বলছিলেন এ রানেই লড়াই করার কথা। ডট বল করে যতটুকু পারি চেষ্টার কথা বলেছিলেন। ওই ডট বলের চিন্তাই করছিলাম।’
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের এ উইকেটের ব্যাটিং সহজ ছিল না। বল স্বাভাবিকভাবেই ব্যাটে আসছিল ধীরে। তবে নাসুমের দ্বিতীয় বলেই ছক্কা মেরে দেন জশ ফিলিপে।
সাকিব তাঁকে আরেকটু আক্রমণাত্মক হতে বলেছিলেন, ‘যখন প্রথম দুটো বল করলাম ব্যাক অব লেংথে, তখন সাকিব ভাই আমাকে বললেন, এই উইকেটে ধীরগতির বলটাই ভালো। এবং আরেকটু সামনে করলে ভালো হয়। তো ওটাই চেষ্টা করেছি।’
নাসুমের চার ওভার মাহমুদউল্লাহ করিয়েছেন তিনটি ভিন্ন স্পেলে। ১২টি ডট বল নেওয়া নাসুম প্রতি ওভারেই উইকেট নিয়েছেন।
নাসুম জানালেন, মাহমুদউল্লাহ ও সাকিবের পরামর্শ মানার ফল পেয়েছেন, ‘চারটা ওভার যে করেছি, সব সময়ই সাকিব ভাই ও রিয়াদ ভাই আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। রিয়াদ ভাই বলেছিলেন, “ওকে ওর মতো বল করতে দে।” তো ডট বল করার চেষ্টাতেই সফল হয়েছি।’
উইকেটে সহায়তা ছিল স্পিনারদের, সঙ্গে নিজেদের চেষ্টার কথাও বলেছেন নাসুম, ‘অস্ট্রেলিয়া দলকে নিয়ে একটাই চিন্তা ছিল যে আমরা জিতব। কাল আমি দোয়াও করছিলাম, আল্লাহ, এখনো আমরা একটা ম্যাচও জিতিনি। এবার যেন জিততে পারি। তো সবাই মিলে চেষ্টা করেছি, আলহামদুলিল্লাহ, সফল হয়েছি।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে এখন সেরা বোলিং ফিগারটাও নাসুমের। তিনি ছাড়িয়ে গেছেন সাকিবকে। ২০১৬ সালে ব্রিজটাউনে সাকিব ৩ উইকেট নিয়েছিলেন ২৭ রানে।