বৃষ্টি আসুক, ভাসিয়ে নিয়ে যাক সবকিছু। খরাপীড়িত দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্রি স্টেট রাজ্যের কৃষকেরা মনেপ্রাণেই চাইছিলেন আকাশভাঙা বৃষ্টি। পরশু রাতে তাঁদের চাওয়া পূরণ হলো। কিন্তু তাতে মন খারাপ হলো ক্রিকেটপ্রেমীদের। বৃষ্টিটা আর কয়েক ঘণ্টা পরে এলেই তো পারত!
এই বৃষ্টিতেই যে রুদ্ধশ্বাস সমাপ্তির সম্ভাবনা জাগানো দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড প্রথম ওয়ানডে ম্যাচের অপমৃত্যু ঘটিয়েছে। ৪০০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করা দক্ষিণ আফ্রিকা ডাকওয়ার্থ-লুইসের নির্মম হিসাবে হেরে গেছে ৩৯ রানে।
ম্যাচটা যখন থামল, দক্ষিণ আফ্রিকা ৫ উইকেট হারিয়ে তুলে ফেলেছিল ২৫০ রান। ৯৬ বলে ১৩৮ রান করে তখনো উইকেটে ছিলেন প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্টন ডি কক। ৯৯ বলে দরকার ছিল ১৫০ রান। কাজটা কঠিন, কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকানদের বিশ্বাস তাঁরা ঠিক পথেই ছিল। ম্যাচ শেষে দলটির অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স বললেন এই বিশ্বাসের কথাই, ‘ইংল্যান্ড এই দিকটায় (ডি-এল) এগিয়ে ছিল, কিন্তু আমাদের রানরেটটাও খারাপ ছিল না। আমি মনে করি, আমরা ওদের ভয় ধরিয়ে দিতে পেরেছি। আমাদের প্রথম সাত ব্যাটসম্যান কী করতে পারে এটাও দেখাতে পেরেছি।’
জয়ের জন্য ওভারপ্রতি ৭.৪৬ রান তুলতে হতো দক্ষিণ আফ্রিকাকে। যখন বৃষ্টি এল স্বাগতিকদের রানরেট ৭.৪৬, আস্কিং রেটটাও বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৮.২০-এ। তবে ক্রিজে ছিল ৬৭ বলে সেঞ্চুরি ছোঁয়া ডি কক, ওটাই ছিল ডি ভিলিয়ার্সের আত্মবিশ্বাসের উৎস, ‘আমরা লক্ষ্য পূরণের পথেই ছিলাম, রানরেটটাও ঠিক ছিল। শেষটা জমজমাট হতে পারত।’
ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রান করে অপরাজিত ডি কক অনুমিতভাবেই হতাশ ম্যাচের এমন সমাপ্তিতে, ‘অনেক দিন এ রকম সেঞ্চুরি পাইনি, তাই আরও থাকতে পারলে ভালো লাগত।’
ইংল্যান্ডের অধিনায়কও এউইন মরগানও একমত, দর্শকেরা ক্রিকেট-রোমাঞ্চ থেকে বঞ্চিত হয়েছে, ‘পুরো ম্যাচ খেলতে পারলে ভালো হতো। শেষটা দারুণ হতে পারত।’
তবে ইংল্যান্ড চাপে পড়ে গিয়েছিল কি না তা কিন্তু বলেননি মরগান। ক্রিকইনফো।