ভারতের ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে ম্যাচের সময় টুইটে তা-ই লিখেছেন, ‘কোহলির কাছ থেকে বিশেষ কিছু দেখলাম। ওর খেলা কত দেখেছি আমরা, তারপরও এই ইনিংসটা বিস্ময়ে আবিষ্ট করে রাখার মতো।’

কী করেছেন কোহলি? ক্রিজে নেমেছেন দলের বিধ্বস্ত অবস্থায়, পাঁচ ওভারের মধ্যে ২০ রানে দুই ওপেনার নেই। কিছুক্ষণ পর আউট আগের ম্যাচেই ঝড় তোলা ইশান কিষাণও। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেটে ঋষভ পন্তের সঙ্গে কোহলির জুটিতে ভারতের ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু। ২০ বলে ২৫ রান করে পন্ত বিদায় নিয়েছেন, অবদান খুব অল্প ছিল শ্রেয়াস আইয়ার আর হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাট থেকেও। কিন্তু কোহলি অবিচল!

ইনিংসের ১৫তম ওভার পর্যন্ত দেখেশুনে খেলেছেন। প্রথমে পন্ত, পরে আইয়ারকে হাত খোলার লাইসেন্স দিয়ে নিজে এক-দুইয়ে ভর করে ইনিংসে গতি ধরে রেখেছেন। কিন্তু ১৫তম ওভারের পর কোহলির ঝড়ের শুরু। ওই ওভারের আগ পর্যন্ত কোহলির রান ছিল ২৯ বলে ২৮। আর শেষ পাঁচ ওভারে ৪৯ রান নিয়েছেন মাত্র ১৭ বলে, ছক্কা ৩টি, চার ৪টি।

কোহলির অপরাজিত ৭৭ রানের সৌজন্যে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান করে ভারত। ইংল্যান্ড অবশ্য জস বাটলারের ৫২ বলে ৮৩ রানের ঝড়ে সে লক্ষ্য পেরিয়ে গেছে ৮ উইকেট আর ১০ বল হাতে রেখে।

নিজের পারফরম্যান্সে অখুশি নন কোহলি, তবে শেষ পর্যন্ত দল না জেতায় ইনিংসটাকে বিশেষভাবে মনে রাখতে আর আগ্রহী নন ভারত অধিনায়ক, ‘দলের কাজে আসে না এমন ইনিংস তো কেউ মনে রাখতে চায় না।’ নিজের ইনিংসের পথটা যে সহজ ছিল না, তা অবশ্য স্বীকার করে নিচ্ছেন ভারত অধিনায়ক, ‘নতুন বলে ব্যাট করাটা কঠিন ছিল। উইকেট থেকে বোলাররা কিছুটা সাহায্য পাচ্ছিল। ওদের পেসাররা বল ফেলছিলও দারুণ জায়গায়।’

১৫ ওভার পর্যন্ত এক-দুই করে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, শেষ দিকে এসে ঝড় তোলা...এসব যে তাঁর পরিকল্পনার অংশ ছিল, তা-ও জানিয়েছেন কোহলি, ‘আমাদের শুধু একটা ভালো জুটি হয়েছে। শেষ দিকে হার্দিকের সঙ্গেও একটা জুটি হলো। আমার শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে যাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ জানতাম যে সেট হয়ে যাওয়া ব্যাটসম্যানের পক্ষে এই পিচের গতি আর বাউন্স বুঝতে পারা সহজ হবে। চেষ্টা করেছি সেট হওয়ার, পরে ভালো একটা স্কোর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার।’

সেই চেষ্টায় অবশ্য কোহলি লেটার মার্কসই পাবেন!