জিম্বাবুয়ের ইনিংসে নিজের শেষ ৫ বলে ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
তবে এদিন তাঁর গল্পটা এমন নয় মোটেও। সাইফউদ্দিন যে আজ ফিরিয়ে এনেছেন ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের স্মৃতি।
নিজের শেষ ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা হজম করেছেন। পরে ৩ উইকেট পেলেও সাইফউদ্দিনের সে ওভারে উঠেছে ৮ রান। মোট ৮৭ রান খরচ করেছেন তিনি, বল করেন ৮ ওভার। মানে ওভারপ্রতি এদিন তিনি গড়ে খরচ করেছেন ১০.৮৭ করে রান।
কমপক্ষে ৭ ওভার বল করে এর চেয়ে বেশি ইকোনমি রেট আছে শুধু একজনের—তাপস বৈশ্য।
২০০৫ সালে ট্রেন্টব্রিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাপস বৈশ্য খরচ করেছিলেন সাইফউদ্দিনের মতোই ৮৭ রান। তাপস সেদিন বোলিং করেছিলেন ৭ ওভার, ইকোনমি রেট ছিল ১২.৪২। তাপস ছিলেন উইকেটশূন্য। সেদিক দিয়ে শেষের ৩ উইকেট একটু সান্ত্বনাই দিতে পারে সাইফউদ্দিনকে।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান দেওয়ার প্রথম দুটি রেকর্ড একজনেরই। ২০১০ সালে শফিউল ইসলাম পাকিস্তানের বিপক্ষে ডাম্বুলায় ১০ ওভারে দিয়েছিলেন ৯৫ রান। সেবার তিনি ভেঙেছিলেন ২০০৮ সালে বেনোনিতে আবদুর রাজ্জাকের দেওয়া ৯ ওভারে ৮৮ রানের রেকর্ড।
অবশ্য ডাম্বুলার সেই খরুচে বোলিংয়ের মাসখানেক পর নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙেছিলেন শফিউল। এবার এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি খরচ করেন ৯৭ রান। সেবার বোলিংও করেছিলেন ৯ ওভার। অবশ্য এ দুই ম্যাচেই তিনি উইকেট নিয়েছিলেন—ডাম্বুলায় ৩টি, এজবাস্টনে ২টি।
বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে এক ইনিংসে ৯০-এর বেশি রান দিয়েছেন শফিউল ছাড়া আর একজন। ২০১৯ সালে ডানেডিনে মোস্তাফিজুর রহমান ১০ ওভারে গুনেছিলেন ৯৩ রান। আর এ বছর সেই নিউজিল্যান্ডেই মোস্তাফিজ আবারও দিয়েছেন ৮৭ রান। এবার ভেন্যু ওয়েলিংটন।