মাহমুদউল্লাহ, সাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন—তিনজনই হারারে টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন। টেস্টের প্রথম দিন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার পর বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরায় মাহমুদউল্লাহর ১৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের লিড বাড়াতে সেঞ্চুরি করেন সাদমান ইসলাম ও নাজমুল হোসেন।
এক টেস্ট ম্যাচে দলের তিন ক্রিকেটার সেঞ্চুরি পাওয়ায় প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো প্রত্যাশিতভাবেই সন্তুষ্ট। আজ হারারে টেস্ট কাভার করতে আসা সাংবাদিকদের তিনি বলছিলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে যেকোনো সেঞ্চুরিই বিরাট অর্জন। সাদমানের জন্য এটা প্রথম সেঞ্চুরি। তার জন্য ভালো লাগছে। প্রথম সেঞ্চুরি তার কাছে সব সময়ই অনেক গুরুত্ব পাবে। আর রিয়াদের সেঞ্চুরি তো বড় ঘটনা। যেহেতু সে লম্বা সময় পর টেস্টে ফিরেছে। ম্যাচ জেতার মতো অবস্থায় এনে দিয়েছে ১৫০ রানের ইনিংস। বড় জুটিও গড়েছে। শান্ত তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেয়েছে। তিন টেস্টের মধ্যে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। আমাদের দলের ভবিষ্যতের জন্য এটা ভালো খবর।’
সেঞ্চুরি পেতে পারতেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান লিটন দাসও। প্রথম ইনিংসে তিনি ৯৫ রান করে আউট হন। দারুণ খেলতে থাকা লিটনের সেঞ্চুরি না পাওয়ায় অবশ্য কিছুটা হতাশ হয়েছেন ডমিঙ্গো, ‘লিটনের সেঞ্চুরি হাতছাড়া করাটা হতাশার। কিন্তু আমি নিশ্চিত ভবিষ্যতে সে আরও অনেক সুযোগ পাবে।’
কোচের প্রশংসা পেয়েছেন হারারে টেস্টে খেলা চার বোলারও। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ মিলে ৯ উইকেট নিলে জিম্বাবুয়ের ইনিংস থামে ২৭৬ রানে। তবে শুধু স্পিনারদের নয়, দুই পেসার ইবাদত হোসেন ও তাসকিন আহমেদের প্রথম ইনিংসের পারফরম্যান্সও গুরুত্ব পেয়েছে ডমিঙ্গোর কথায়।
ডমিঙ্গোর ভাষায়, ‘উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রে স্পিনাররাই ওদের সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে। তবে আমার মনে হয়েছে তাসকিন ও ইবাদত দারুণ বোলিং করেছে প্রথম ইনিংসে। দুজনই চাপ সৃষ্টি করেছে। ভালো জায়গায় বল করেছে। সব মিলিয়ে দারুণ বোলিং করেছে আমাদের চার বোলার। স্পিনাররা হয়তো উইকেট পেয়েছে। কিন্তু চাপ সৃষ্টি করেছে পেসাররা। তাদের খেলায় যে উন্নতি হচ্ছে সেটা বোঝা যাচ্ছে।’
হারারে টেস্টে বাংলাদেশের ছুড়ে দেওয়া ৪৭৭ রানের লক্ষ্যে খেলছে জিম্বাবুয়ে। স্কোরবোর্ডে বড় রান থাকায় বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ আছেন বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে। মুখে না বললেও এমন পরিস্থিতিতে হারারে টেস্টে সম্ভবত শুধু জয়ই দেখছেন ডমিঙ্গো, ‘আমরা এখন ভালো অবস্থানে আছি। তবে উইকেট যথেষ্ট ভালো। আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। চাপ সৃষ্টি করতে হবে। যখন আমাদের সুযোগ হবে, তখন সেটা নিতে হবে।’