ত্রিপাঠী ও মার্করামের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে কলকাতার হার

৩৭ বলে ৭১ রান করার পথে চারটি চার ও ছয়টি ছয় মেরেছেন রাহুল ত্রিপাঠিছবি: আইপিএলের ওয়েবসাইট

সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ম্যাচের আগে উমেশ যাদব বলেছিলেন, কারও কাছে তাঁর আর কিছু প্রমাণ করার নেই। তাঁর যে এই ৩৪ বছর বয়সেও ভালো বোলিং করা এবং উইকেট নেওয়ার সামর্থ্য আছে, এটা তিনি নিজের কাছেই প্রমাণ করার কথাও বলেছিলেন। কিন্তু ভারতীয় পেসার আজ এটা পারেননি। ৪ ওভার বোলিং করে ৩১ রান দিয়ে তিনি ছিলেন উইকেটশূন্য।

আসলে আজ হায়দরাবাদের ব্যাটসম্যান রাহুল ত্রিপাঠী ও এইডেন মার্করামের কাছে পাত্তা পাননি কলকাতা নাইট রাইডার্সের কোনো বোলারই। তাই তো টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ১৭৫ রান করার পরও ৭ উইকেটে হারতে হয়েছে কলকাতাকে। তা–ও আবার ১৩ বল বাকি থাকতেই।

ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ছেন হায়দরাবাদের পুরান ও মার্করাম (ডানে)
ছবি: আইপিএলের ওয়েবসাইট

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩ রানে অভিষেক শর্মা ও ৩৯ রানে অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনকে হারায় হায়দরাবাদ। জুটি বাঁধেন ত্রিপাঠী ও মার্করাম। উমেশ যাদব, প্যাট কামিন্স, আন্দ্রে রাসেল—কলকাতার কোনো বোলারকেই পাত্তা না দিয়ে ঝড়ের বেগে রান তুলতে থাকেন তাঁরা। জুটি ভাঙে ১৪.২ ওভারে, রাসেলের বলে ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে ক্যাচ দিয়ে ত্রিপাঠী ফিরে গেলে। কিন্তু ততক্ষণে জয়ের ভিত গড়া হয়ে গেছে হায়দরাবাদের। ত্রিপাঠী আউট হওয়ার সময় ৩৪ বলে ৪৩ রান লাগত তাদের। নিকোলাস পুরানকে নিয়ে বাকি কাজটুকু সহজেই সারেন মার্করাম।

ত্রিপাঠী ও মার্করাম তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫৪ বলে তুলেছেন ৯৪ রান। আউট হওয়ার আগে ৪টি চার ও ৬টি ছয়ে প্রায় ১৯২ স্ট্রাইক রেটে ৭১ রান করেছেন ত্রিপাঠী, বল খেলেছেন ৩৭টি। আর দলকে জিতিয়ে মার্করাম মাঠ ছেড়েছেন ৩৬ বলে অপরাজিত ৬৮ রান নিয়ে। প্রায় ১৮৯ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটিতে তিনি মেরেছেন ৬টি চার ও ৪টি ছয়।

এর আগে ৩১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপেই পড়েছিল কলকাতা। তবে নীতীশ রানা ও আন্দ্রে রাসেলের ঝড়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান তুলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। মুম্বাইয়ের ব্রাবোর্ন স্টেডিয়ামে হায়দরাবাদের তিন পেসারের তোপে পাওয়ারপ্লের মধ্যেই ৩ উইকেট হারায় তারা। চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার ও রানা কিছুটা ধাতস্থ করেন তাদের। আইয়ার ফেরার পর প্রথমে রানার ৩৬ বলে ৫৪ ও শেষ দিকে রাসেলের ২৫ বলে ৪৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভালো সংগ্রহই পায় কলকাতা। শেষ ৪ ওভারে ওঠে ৫৩ রান। থাঙ্গারাসু নটরাজন ৩ উইকেট নেন ৩৭ রানে।