তামিম ইকবাল আগে থেকেই নেই। ব্যক্তিগত কারণে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে খেলছেন না লিটন দাস। বাকি রইলেন সৌম্য সরকার আর মোহাম্মদ নাঈম। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে যদি এই দুজনের কিছু হয় তাহলে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটির কি হবে?
এমন এক প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বললেন সাকিব আল হাসান আর মোহাম্মদ মিঠুনের নাম। আজ বাংলাদেশ দলের অনুশীলনের ফাঁকে এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে দলের ওপেনার সংকট নিয়ে ডমিঙ্গো জরুরি পরিস্থিতিতে ওপেনার কে হবে এ নিয়ে কথা বলছিলেন, ‘যদি কোনো সমস্যা হয় তাহলে সাকিব আছে। দলে মিঠুনও আছে। সে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হলেও দরকার হলে ওপেন করবে।’
দুশ্চিন্তাটা আসলে জিম্বাবুয়ে সফরের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সৌম্যর চোটের কারণেই। তবে স্বস্তির খবর, আজ ওয়ার্ম-আপে দলের সঙ্গে ফুটবল না খেললেও এই বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে নেটে ব্যাটিং করতে দেখা গেছে। প্রথমে দলের পেস বোলারদের বিপক্ষে কিছুক্ষণ ব্যাটিং করার পর খেলেছেন স্পিনারদের।
ভাবনা ছিল মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়েও। গোড়ালির চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে সব ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি। আজ অবশ্য বোলিং করতে দেখা গেছে এই বাঁ হাতি পেসারকে। কুঁচকির সমস্যা ছিল সাকিব আল হাসানেরও। নেটে ব্যাটিং না করলেও ইনডোরে ব্যাটিং করেছেন সাকিব। দলে কোনো চোটের শঙ্কা নেই, ডমিঙ্গো বড় গলায় জানিয়েছেন সেটিও, ‘দলে বড় কোনো চোটের শঙ্কা নেই। সৌম্য সরকার চোট থেকে ফিরছে যেটি জিম্বাবুয়েতে হয়েছিল। আমি আশাবাদী সে এর মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠবে।’
জিম্বাবুয়ে সফর থেকে ফেরার পর তিন দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজই প্রথম অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। প্রথম করোনা পরীক্ষার পর দ্বিতীয় করোনা পরীক্ষায়ও দুই দলের সবাই নেগেটিভ হয়েছেন। তবে বিসিবির এক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেনের মাথা ব্যথা থাকায় হোটেলেই থেকে গেছেন। জাতীয় দলের বাকিরা বৃষ্টির ফাঁকে ফাঁকে অনুশীলন সেরেছেন।