দাপুটে ক্রিকেট শেষে ছক্কা মেরে জয় শ্রীলঙ্কার
শ্রীলঙ্কার তো এভাবে প্রথম পর্বে খেলতেই হওয়ার কথা নয়! এমন একটা ধারণাই ছিল অনেকের। বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে আজ সেই ধারণাটা আরও পোক্ত করেছে লঙ্কানরা।
সুপার টুয়েলভে ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, এমনকি আফগানিস্তানও সরাসরি খেলছে, সেখানে শ্রীলঙ্কাকে প্রথম রাউন্ডে খেলতে হচ্ছে। টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকারই প্রভাব সেটি। কিন্তু প্রথম রাউন্ডে খেলা যে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যায় না, সেটিই যেন আজ নামিবিয়ার বিপক্ষে বুঝিয়ে দিল লঙ্কানরা।
নামিবিয়ার বিপক্ষে ম্যাচজুড়ে দাপুটে ক্রিকেটে দুই দলের ব্যবধানটা বুঝিয়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ৯৬ রানে নামিবিয়াকে গুটিয়ে দেওয়ার পর ব্যাট হাতে শুরুতে একটু ধাক্কা খেলেও শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট আর ৩৯ বল হাতে রেখেই জিতেছে লঙ্কানরা। পুরো ম্যাচের ক্রিকেটের সঙ্গে মিল রেখেই কি না, শ্রীলঙ্কার জয়সূচক রানটা এসেছে দারুণ ছক্কায়। বড় এই জয়ে রানরেটের হিসাবেও অনেক এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা।
আফ্রিকার দল নামিবিয়াকে পুরো ২০ ওভারও খেলতে দেয়নি শ্রীলঙ্কা। ১৯.৩ ওভারে ৯৬ রানে অলআউট হয় নামিবিয়া। তাড়া করতে নেমে ৫.১ ওভারের মধ্যে ২৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদের গন্ধ পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা।
কিন্তু চতুর্থ উইকেটে আভিস্কা ফার্নান্ডো ও ভানুকা রাজাপক্ষের ৫০ বলে অবিচ্ছিন্ন ৭৪ রানের জুটিতে জয় তুলে নেয় দাসুন শানাকার দল। ২৭ বলে ৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন রাজাপক্ষে। ২৮ বলে ৩০ রান করে অন্য প্রান্ত ধরে রাখেন ফার্নান্ডো। নামিবিয়ার হয়ে ১টি করে উইকেট বার্নার্ড শোলৎজ ও জেজে স্মিটের।
এবারই প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে এসে প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং ভালো হয়নি নামিবিয়ার। কি পেস, কি স্পিন—শ্রীলঙ্কার কোনো বোলারের বিপক্ষেই ভালো করতে পারেনি। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে দুই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পর ইনিংসের মাঝপথেও ভুগেছে নামিবিয়া।
শেষ ৮ ওভারে কোনো বাউন্ডারি মারতে পারেনি তারা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় উইকেটে যা একটু লড়াই করার চেষ্টা করেছে নামিবিয়া। শ্রীলঙ্কার মহীশ তিকশানা ২৫ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। দুই ওপেনারকেই ফেরান তিকশানা। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন লাহিরু কুমারা ও বানিন্দু হাসারাঙ্গা।
জেইন গ্রিন ও ক্রেগ উইলিয়ামস দ্বিতীয় উইকেটে ২১ বলে ১৯ রানের জুটি গড়েন। তিকশানা এ জুটি ভাঙার পর তৃতীয় উইকেটে উইলিয়ামসকে নিয়ে ৪১ বলে ৩৯ রানের জুটি গড়েন গেরহার্ড এরাসমাস। ১২.২ ওভারে পেসার লাহিরু কুমারা এরাসমাসকে তুলে নেওয়ার পর নামিবিয়া আর কোনো জুটি গড়তে পারেনি। ২ ছক্বায় ৩৬ বলে ২৯ রান করেন তিনে নামা উইলিয়ামস। ২ চারে ১৯ বলে ২০ রান এরাসমাসের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নামিবিয়া: ১৯.৩ ওভারে ৯৬ (উইলিয়ামস ২৯, এরাসমাস ২০; তিকশানা ৩/২৫, কুমারা ২/৯, হাসারঙ্গা ২/২৪)।
শ্রীলঙ্কা: ১৩.৩ ওভারে ১০০/৩ ( রাজাপক্ষে ৪২, ফার্নান্দো ৩০ ; স্মিট ১/৭, শোলৎজ ১/১৬)
ফল: শ্রীলঙ্কা ৭ উইকেটে জয়ী।