দিল্লিকে হেসেখেলেই হারাল রোহিতের মুম্বাই

ম্যাচ শেষে প্রতিপক্ষের অভিবাদনের জবাব দিচ্ছেন মুম্বাইয়ের ক্রুনাল পান্ডিয়া।ছবি: আইপিএল

সাধারণত আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের শুরুটা সবসময় হয় একটু ধীরেসুস্থে। নিজেদের সেরা একাদশ গড়ে তুলতে ৩-৪ ম্যাচ তো চলেই যায় মুম্বাইয়ের। আইপিএলের মন্থর শুরুর দল মুম্বাইকে এমনিতেই বলা হয় না। টুর্নামেন্টের শেষের দিকে এসে নিজেদের সেরা ছন্দ খুঁজে পায় রোহিত শর্মার দল। আর সেই দলটাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আইপিএল শিরোপা ঘরে তুলেছে।

কিন্তু এবার গল্পটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। শুরু থেকেই রোহিতরা দেখাচ্ছেন কতটা ভালো এবারের মুম্বাই। আজ যেমন দিল্লি ক্যাপিটালসকে অনায়াসে ৫ উইকেটে হারিয়ে মুম্বাই উঠে গেল আইপিএল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। অথচ আজকের ম্যাচের আগে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ছিল তরুণদের দল দিল্লি।

কুইন্টন ডি কক (ডানে) ও সূর্যকুমার যাদবই গড়ে দিয়েছেন মুম্বাইয়ের জয়ের ভিত্তি।
ছবি: বিসিসিআই

অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞই এবারের আইপিএলে মুম্বাই ও দিল্লিকে শক্তি ও পারফরম্যান্সের বিচারে সম্ভাব্য ফাইনালিস্ট ধরে রেখেছেন। কিন্তু আজ সেই সম্ভাব্য দুই ফাইনালিস্টের দেখায় মুম্বাইয়ের কাছে পাত্তা পেল না দিল্লি। আগে ব্যাট করে দিল্লি টের পেয়েছে মুম্বাইয়ের বোলিংয়ের ধাঁর। নতুন বলে ট্রেন্ট বোল্ট, জেমস প্যাটিনসন যেতে না যেতেই আসেন যশপ্রীত বুমরা। ক্রুনাল পান্ডিয়া, রাহুল চাহারের স্পিন তো আছেই। এবারের আইপিএলে আবার হাত ঘুরিয়ে সফল কাইরন পোলার্ডও।

আজ বোল্ট শুরুতে পৃথ্বী শ’র উইকেট নিয়ে দুয়াল খুলে দেন। মাঝে ক্রুনাল যোগ দেন উইকেট শিকারির তালিকায়। কিন্তু পুরো দলের নিয়ন্ত্রিত বোলিং ছিল উল্লেখযোগ্য।

দিল্লিকে বেশিদূর যেতে দেয়নি মুম্বাই। ২০ ওভারে ৪ উইকেটে দিল্লির রান ১৬২।
ওপেনিংয়ে নামা শিখর ধাওয়ান শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন, কিন্তু ৫২ বলে করতে পেরেছেন ৬৯ রান। ইনিংসে ৬টি চার, ১টি। চারে নামা শ্রেয়াস আইয়ার করেছেন ৩৩ বলে ৪২ রান, ৫টি চার তাঁর ইনিংসে। তৃতীয় উইকেটে ধাওয়ান-আইয়ার ৬২ বলে এনে দেন ৮৫ রান।

দিল্লির দেওয়া ১৬৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে খুব বেশি কষ্ট হয়নি মুম্বাইয়ের। টপ অর্ডার রোহিত শর্মা, কুইন্টিন ডি কক অথবা সূর্যকুমার যাদব রান করছেনই। একদিন একজন ব্যর্থ হলে আরেকদিন আরেকজন রান করছেন।

আজ যেমন রোহিত (৫ রান) দ্রুত আউট হলেও জোড়া ফিফটি করেছেন ডি কক ও সূর্যকুমার। ম্যাচটা সেখানেই জিতে গেছে মুম্বাই।

দুজনই ব্যক্তিগত ৫৩ রানে আউট হন। ডি ককের ৩৬ বলের ইনিংসে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা, যাদবের ৩২ বলের ইনিংসে চার ৬টি, ছক্কা ১টি। দুজন ক্রিজে যতক্ষণে ফিরেছেন, ততক্ষণে ম্যাচের বাকি শুধু আনুষ্ঠানিকতা। পোলার্ড-পান্ডিয়া নেমে শেষে সেই আনুষ্ঠানিকতাই সারেন। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স শেষ পর্যন্ত জিতে ২ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে।