দুই বছরের পরিকল্পনায় বাংলাদেশকে হারিয়েছে স্কটল্যান্ড
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ওমানের মাসকটে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। এ অপ্রত্যাশিত হারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম দল হিসেবে ২০ ম্যাচে হারের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। যেখানে সুপার টুয়েলভ পর্ব খেলার স্বপ্নে বিভোর ছিল দলটা, সেখানে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হার কাজটা বেশ কঠিনই করে দিল।
বিশ্বকাপও দেখল প্রথম দিনেই অঘটন। তবে আসলেই কি স্কটল্যান্ডের কাছে হারটাকে অঘটন বলা যায়? স্কটিশ অধিনায়ক কাইল কোয়েটজারের কথা মানলে দ্বিতীয়বার চিন্তা করতেই হয়।
কোয়েটজারের মতে, এ জয় হুট করে পাওয়া নয়। বহুদিন ধরেই একটু একটু করে উন্নতি করে যাচ্ছেন তাঁরা। জয়টা সেই উন্নতিরই বহিঃপ্রকাশ, ‘জয়টা আমাদের জন্য অনেক বড়। এ জয়ের জন্য আমরা অনেক দিন ধরে পরিকল্পনা করছি। কখনো কখনো তো এমনও মনে হতো যে আমরা খামোখাই এত খাটছি, কারণ, আমাদের সফরগুলো বাতিল হয়ে যাচ্ছিল। ব্যাপারটা আমাদের জন্য অনেক কঠিন ছিল।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে পাওয়া এ জয়টা দুই বছরের প্রস্তুতির ফসল—এমনটাই জানান কোয়েটজার। তিনি বলেন, ‘বাছাইপর্ব পার হওয়ার পর দুই বছর ধরে পরিকল্পনা করতে হয়েছে আমাদের এ জয়ের জন্য। অনেক দীর্ঘ সময় ছিল সেটা। পর্দার আড়ালে অনেক কিছু নিয়েই পরিকল্পনা করতে হয়েছে আমাদের। অনেক মানুষ দিনরাত খেটেছেন এর জন্য।’
নিজেদের ওপর বিশ্বাস ছিল স্কটিশদের, সেটাই এত দিনে ফল এনে দিচ্ছে তাদের, ‘কিন্তু এখন আমরা আমাদের বিশ্বাসের মূল্য পাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস রেখেছিলাম যে এ টুর্নামেন্ট হবেই। আর যখন হবে, তখন আমরা দল হিসেবে আরও অনেক ভালো অবস্থানে থাকব।’
কোয়েটজারের কথার পরতে পরতে বোঝা গেছে স্কটিশদের প্রস্তুতির ব্যাপারটা। তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক খেলোয়াড়কে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। সহযোগী দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলা অনেক কঠিন। এ অবস্থায় ক্রিকেট খেলতে গেলে যেকোনো সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হয়, না হলে আড়ালে পড়ে যেতে হয়। অনেক মানুষই আছে, যারা সহযোগী দেশের ক্রিকেট খেলা পছন্দ করে না। আমি গর্বিত যে আমরা নিয়মিত উন্নতি করছি। বাংলাদেশকে হারানোর অনুভূতিটা অবশ্যই বিশেষ কিছু। তাদের যে আমরা প্রথমবারের মতো হারালাম, সেটা নয়। তবে আমরা জানি, তাদের স্কোয়াডের গভীরতা কেমন।’
পরের ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে লড়বে স্কটল্যান্ড। স্বাগতিক ওমানের বিপক্ষে ১০ উইকেটে হেরেছে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া দলটি।