উপমহাদেশীয় কন্ডিশনে নতুন বলের সুবিধা নেওয়া নিয়ে ডোনাল্ড বলছিলেন, ‘এ ধরনের উইকেটে নতুন বল খুব গুরুত্বপূর্ণ। গত কয়েক দিন এ বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি। নতুন বলে আমাদের হট জোন খুঁজে নিতে হবে। সেখানেই লম্বা সময় বোলিং করতে হবে। চোখধাঁধানো বলের দিকে ছুটলে হবে না। বিশাল ইনসুইং ডেলিভারি, আউট সুইং দিয়ে, বিশেষ করে কিছু করার চেষ্টার চেয়ে প্রক্রিয়াটা মানা জরুরি।’
পুরোনো বলে পেসারদের দায়িত্বটাও ডোনাল্ডের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে তিনি বলছিলেন, ‘আমাদের আজকের অনুশীলনটা ছিল পুরোনো বলের বোলিং নিয়ে। প্রতিটি সেশনে বল রিভার্স সুইং করানো নিয়ে গুরুত্ব দিয়েছি। আমাদের পুরোনো বলে খুবই ধৈর্যশীল হতে হবে। সঙ্গে সৃষ্টিশীল হতে হবে। আমাদের অবশ্য এই উইকেটে কীভাবে বোলিং করতে হবে, সেটা নিয়ে কিছু বলতে হবে না। ওরা এসব উইকেটেই বল করে অভ্যস্ত। তবে আমার মনে হয়, সার্বিকভাবে আমরা কতটা ধৈর্য ধরতে পারি, কতটা সৃষ্টিশীল হতে পারে, সেটার পরীক্ষাই হবে এ সপ্তাহে।’
তবে আর্দ্রতা ও উইকেটের আচরণের কারণে কাজটা যে পেসারদের জন্য সহজ হবে না, সেটিও জানেন ডোনাল্ড। এটা যে পেসারদের মানসিক শক্তির পরীক্ষা নেবে, সেই ব্যাপারও এল ডোনাল্ডের কথায়, ‘এখানকার কন্ডিশনে সবারই খুব ঘাম ঝরবে। আর্দ্রতা খুবই বেশি। উপমহাদেশে সাধারণত যেমন থাকে আরকি। ৩০ ওভারের পর আমরা নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে কতটা চাপ তৈরি করতে পারি, সেটা দেখতে হবে। আর অবশ্যই, বল পুরোনো হলে রিভার্স সুইং করাতে হবে। সুতরাং আমাদের ধাপে ধাপে এগোতে হবে। তবে এই কন্ডিশন অবশ্যই পেসারদের পরীক্ষা নেবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। মানসিক শক্তি, সৃষ্টিশীলতা ও শৃঙ্খলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে।’