তাসকিন আহমেদ, ইবাদত হোসেন—দুজনের একজনও সুইং বোলার নন। হারারে টেস্টে উইকেট থেকে দুজনই খুঁজছেন সিম মুভমেন্ট। খুব একটা যে পেয়েছেন, তা বলা যায় না।
সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজও জানতেন উইকেটে তেমন স্পিন নেই। তাই স্টাম্প বরাবরই বল করেছেন দুজন। বল একটু এদিক–ওদিক হলেই রান তুলছেন জিম্বাবুয়ের মিল্টন শুম্বা ও ব্রেন্ডন টেলর। এসব কথার সারমর্ম একটাই—হারারে টেস্টের উইকেট এখন একদম ব্যাটিং–স্বর্গ।
স্টাম্পের পেছনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের উইকেটকিপার লিটন দাস বিষয়টি সবচেয়ে ভালো আঁচ করতে পারছেন। লিটনের যে ভবিষ্যদ্বাণী, তাতে রোমাঞ্চকর এক টেস্ট ম্যাচ অপেক্ষা করছে বাংলাদেশি সমর্থকদের জন্য, ‘ফল বের করতে হলে আমাদের পাঁচ দিনই খেলতে হবে। খুব সম্ভবত খেলার ফলটা হবে টেস্টের শেষ সেশনে গিয়ে।’
সে জন্য বাংলাদেশকে লড়তে হবে মাটি কামড়ে। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৪৬৮ রান করেছে। জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে তুলেছে ১ উইকেটে ১১৪ রান।
এমন উইকেটে বাংলাদেশি বোলারদের পরিকল্পনা কী, জানালেন লিটন, ‘আমাদের মনোযোগ ধরে রাখতে হবে, ধৈর্য ধরে রাখতে হবে, বিশেষ করে বোলারদের। যেহেতু আমরা কোনো সাহায্য পাচ্ছি না উইকেট থেকে, সিম মুভমেন্ট নেই, স্পিন নেই। এখন আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং জিনিস হচ্ছে আমরা কত কম রান দিয়ে বোলিং করতে পারি। খুব বেশি আক্রমণাত্মক হতে গেলে পরিস্থিতি অন্য রকম হতে পারে। আবার অনেক কিছু নির্ভর করছে কাল সকালের সেশনের ওপর। যদি দ্রুত কিছু উইকেট নিতে পারি, তাহলে পরিস্থিতি বদলে যাবে।’
অথচ এমন উইকেটেই বাংলাদেশ খেলছে কিনা মাত্র চার বোলার নিয়ে! এই প্রশ্ন হারারে টেস্টের প্রথম সকাল থেকেই তিরের মতো ছোড়া হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টের প্রতি।
কাল টিম ম্যানেজমেন্টের হয়ে উত্তরটা দিলেন লিটন, ‘আমাদের যে চার বোলার আছেন, তাঁরা খুবই ভালো। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে চারজনই ম্যাচ জেতানোর বোলার। যে সমন্বয়ে আমরা দল সাজিয়েছি, সেটা খুবই ভালো। এই উইকেটের জন্য যেটা দরকার ছিল, টিম ম্যানেজমেন্ট সেটাই করেছে। আজকের দিন নয়, দুদিন পর থেকে হয়তো স্পিনারদের কাজটা শুরু হবে। উইকেট একটু ভাঙা শুরু করলে সাকিব ভাই, মিরাজরা অনেক সাহায্য পাবে। আমরা জানি যে ওদের সামর্থ্য কেমন।‘