দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের সময় স্ত্রীর পাশে থাকবেন বলে আইপিএল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন জস বাটলার। চলমান ভারত সিরিজের শেষ দিকের টেস্টও মিস করতে পারেন ইংল্যান্ড উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান। করোনাভাইরাসের কারণে অস্ট্রেলিয়ায় কড়াকড়ির কারণে অ্যাশেজ থেকেও নিজেকে প্রত্যাহার করে নিতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বাটলার।
স্থগিত হয়ে যাওয়া আইপিএলের পরের অংশ শুরু হচ্ছে ১৯ সেপ্টেম্বর। ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত করার পর সেখান থেকে সরিয়ে আবারও সংযুক্ত আরব আমিরাতে হবে সেটি। বাটলার নিজেকে সরিয়ে নেওয়ায় রাজস্থান রয়্যালস পাচ্ছে না শীর্ষ সারির তিন ইংলিশ ক্রিকেটারকেই।
বেন স্টোকস ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্টকালের বিরতিতে গেছেন, চোটের কারণে এ বছর আর ক্রিকেটে ফেরা হবে না ফাস্ট বোলার জফরা আর্চারের। সর্বশেষ বাটলারের পরিবর্তে নিউজিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপসকে নিয়েছে আইপিএলে মোস্তাফিজুর রহমানের দল।
আইপিএলের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতেই হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এরপর বছরের শেষে অস্ট্রেলিয়ায় হবে অ্যাশেজ। ঠাসা সূচিতে নিজের পরিবারকে প্রাধান্য দিতে চাচ্ছেন বাটলার, ‘একটা বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নিজের জন্য সেই সীমানাটা নির্ধারণ করা— যেখানে “পারব না” বলতে হয়। ক্রিকেটের কারণে অনেক কিছুই ত্যাগ করেছি আমি, আমার স্ত্রী ও পরিবারও করেছে।’
মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভেবে ও আঙুলের চোট থেকে পুরোপুরি সেরে উঠতে অনির্দিষ্টকালের বিরতিতে গেছেন স্টোকস। করোনাভাইরাসের সময়ে জৈব সুরক্ষাবলয়ের কঠিন পরিবেশে থেকে খেলাটা স্বাভাবিকভাবেই প্রভাব ফেলছে ক্রিকেটারদের ওপর। বাটলার বলছেন, খেলতে না পারা হতাশার হলেও বাস্তবতা এখন এমনই, ‘না বলার ব্যাপারে প্রস্তুত থাকতে হবে আপনার। কেউ যদি খেলতে না পারে, সেটা খুবই হতাশার। কিন্তু এখনকার পৃথিবীতে এমন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।’
করোনাভাইরাসের কারণে অস্ট্রেলিয়া বেশ কড়াকড়ি করছে আগে থেকেই। সম্প্রতি আবারও নিজেদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে তারা। তাদের দেশের নাগরিকদেরও বিদেশ থেকে ফিরে থাকতে হচ্ছে সরকারি ব্যবস্থাপনায় বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে।
অ্যাশেজে ইংল্যান্ড ক্রিকেটাররা নিজেদের পরিবার নিয়ে যেতে পারবেন কি না, সেটি নিশ্চিত নয় এখনো। কয়েক দিন আগে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড, ইসিবির প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসন বলেছেন, এ ব্যাপারে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
তবে শেষ পর্যন্ত পরিবারকে ছাড়াই যেতে হলে লম্বা এ সফর থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিতে পারেন ইংল্যান্ডের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারই। বাটলারও ইঙ্গিত দিয়েছেন অমনই, ‘কোভিড সবার জন্যই খুবই কঠিন। আর অস্ট্রেলিয়া এটার বিপক্ষে বেশ কঠোর অবস্থানে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছে শুরু থেকেই। অস্ট্রেলিয়া সফর কেমন হবে, সে ব্যাপারে পুরোপুরি না জানা পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেওয়াটা অসম্ভব।’