বোর্ড-ক্রিকেটার দ্বৈরথে শেষ হাসি ক্রিকেটারদেরই। ফাইল ছবি
বোর্ড-ক্রিকেটার দ্বৈরথে শেষ হাসি ক্রিকেটারদেরই। ফাইল ছবি

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) সঙ্গে আর্থিক বিষয় নিয়ে বিরোধ মিটে গেছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের। নতুন চুক্তি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার নীতিগতভাবে একমত হয়েছে সিএ এবং অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (এসিএ)। পারিশ্রমিক নিয়ে চলে আসা বিরোধের এমন আশাতীত নিষ্পত্তি ঘটায় অ্যালান বোর্ডারের অভিমত, এ যুদ্ধে খেলোয়াড়েরাই জিতেছেন।

নতুন চুক্তিতে আগামী পাঁচ বছরে সিএর আয় করা রাজস্বের ৩০ শতাংশ ভাগ পাবেন অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দল ও রাজ্য দলের ক্রিকেটাররা। আগামী পাঁচ বছরে বোর্ডের প্রাক্কলিত রাজস্ব ধরা হয়েছে ১৬৭ কোটি ডলার। এ ছাড়া নারী ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকও ৭৫ লাখ ডলার থেকে এক লাফে ৫ কোটি ৫২ লাখ ডলারে উন্নীত করা হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ের ক্রিকেটেও ঢালা হবে ৩ কোটি ডলার। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক বোর্ডারের দাবি, যুদ্ধে তাই খেলোয়াড়েরাই জিতেছেন। তৃণমূল পর্যায়ের ক্রিকেটে উন্নতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ’৮৭ বিশ্বকাপজয়ী এ অধিনায়ক।
ফক্স স্পোর্টসকে বোর্ডার বলেন, ‘খেলোয়াড়েরা বিশাল জয় পেয়েছে। ১৫তম রাউন্ডে এসে নকআউট করেছে তারা (আশির দশক পর্যন্ত পেশাদার বক্সিংয়ে ১৫টি রাউন্ড ছিল)। বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা নিশ্চয় অনেক খুশি, বিশেষ করে মেয়েরা। যদিও তৃণমূল পর্যায়ের ক্রিকেটের বিষয়টি বুঝতে পারিনি, সেখানে পরিবর্তন হওয়ার মতো এমন কী হচ্ছে? যত দূর জানি, তেমন কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।’
২০ বছর ধরে চলে আসা নিয়ম অনুযায়ী বোর্ডের মোট রাজস্বের একটা ভাগ পেতেন অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দল থেকে রাজ্য দলের ক্রিকেটাররা। কিন্তু গত জুনের শেষ নাগাদ খেলোয়াড়দের কাছে প্রস্তাবিত নতুন চুক্তিপত্রে এ নিয়ম মানেনি সিএ। তাদের যুক্তি ছিল, এ নিয়ম সময়োপযোগী নয়। খেলোয়াড়দের শুধু উদ্বৃত্ত রাজস্বের ভাগ দিতে চেয়েছিল সিএ, সেটাও সবাইকে নয়। খেলোয়াড়েরা শুরু থেকেই এ প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নতুন চুক্তিতে সই করা থেকে বিরত থাকে। শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে পারিশ্রমিক নিয়ে যুদ্ধের অবসান ঘটায় দ্বার খুলেছে অস্ট্রেলিয়া দলের বাংলাদেশ সফরসহ ভারতের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ এবং নভেম্বর-ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় অ্যাশেজের।
নতুন চুক্তি অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ায় মেয়েদের খেলাধুলায় সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাবেন ক্রিকেটাররা। মৌসুম প্রতি ৩ লাখ ডলার করে আয় করবেন জাতীয় দলে মেগ ল্যানিং-এলিস পেরিদের মতো তারকারা। রাজ্য দলের নারী ক্রিকেটারদের ন্যূনতম আয় হবে ৫০ হাজার ডলার। ২০১১-১২ মৌসুমেও গড়ে ২০০০ ডলার করে আয় করতেন অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটের নারী খেলোয়াড়েরা। সূত্র: ফক্সস্পোর্টস, গার্ডিয়ান