‘প্রথম ঘণ্টা’য় গলদ দেখছেন মুমিনুল

মুৃমিনুল হক নিজেও ব্যাট হাতে ভালো খেলতে পারেননিছবি: শামসুল হক

চট্টগ্রামে টেস্টে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটিং ছিল যাচ্ছেতাই। দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম আর সাইফ হাসানের সঙ্গে ব্যর্থতার মিছিলে যুক্ত ছিলেন নাজমুল হাসান আর খোদ অধিনায়ক মুমিনুল হক।

টেস্টে বাংলাদেশের ভরসার বড় জায়গা অধিনায়ক দুই ইনিংস মিলে করেছেন মাত্র ৬ রান। প্রথম ইনিংসে ৬ করে ফেরার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ফিরেছেন শূন্য রানে।

টেস্টে বলার মতো অনেক কিছুই ছিল বাংলাদেশের। প্রথম ইনিংসে দ্রুত ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মুশফিকুর রহিম আর লিটন দাসের লড়াই। ২০৬ রানের জুটি, লিটনের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি, মুশফিকের ৯১।

এ দুইয়ের দারুণ ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসের সংগ্রহ ছিল ৩৩০। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে তাইজুল ইসলামের ৭ উইকেট শিকার ৪৪ রানের লিড এনে দিলেও দ্বিতীয় ইনিংসে আবার টপ অর্ডারের ব্যর্থতা সেই সুযোগ কাজে লাগাতে দেয়নি বাংলাদেশকে। অধিনায়ক মুমিনুল চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের দুই ইনিংসেই তাই গলদ দেখছেন ‘প্রথম ঘণ্টা’র।

ইনিংসের শুরুতে ভুল দেখছেন মুমিনুল
ছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশের ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে গিয়ে উত্তরটা পেয়েছেন মুমিনুল, ‘আমি মনে করি, দুই ইনিংসেই প্রথম ঘণ্টার ব্যাটিংয়ে হেরেছি আমরা। যদি আমরা দুই ইনিংস মিলিয়ে আরও ১০০ রান তুলতে পারতাম, তাহলে পরিস্থিতি অন্য রকম হতে পারত।’

শাহিন শাহ আফ্রিদির বোলিং তোপে বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছিলেন বাংলাদেশের টপ অর্ডার। মুমিনুল এখন নতুন বলেও ব্যাটিংয়ে উন্নতির তাগাদা দিচ্ছেন, ‘নতুন বলে আমাদের ব্যাটিংয়ের উন্নতি করতে হবে।’

দ্বিতীয় ইনিংসেও লিটন লড়েছেন দারুণ। মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যাওয়ার আগে সঙ্গ দিয়েছেন অভিষিক্ত ইয়াসির। তাঁর ৭২ বলে ৩৬ রানের ইনিংসটির ছিল দারুণ সম্ভাবনা।

হারের পর আম্পায়ারের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন মুমিনুল
ছবি: প্রথম আলো

কিন্তু হতাশ করেছে ইয়াসিরের ‘কনকাশন বদলি’ নুরুল হাসানের দায়িত্বজ্ঞানহীন শট। লিড যখন ১৯৭, তখন ভালো খেলতে খেলতেই নুরুল সাজিদ খানের নির্বিষ এক বলে বেরিয়ে এসে মেরে লং অনে ক্যাচ তুলে দেন। নুরুল একটু দায়িত্ব নিয়ে খেললে, লিডটা আড়াই শ বা তার চেয়েও বেশি হওয়াটা অসম্ভব ছিল না।

কাল কোচ রাসেল ডমিঙ্গো সরাসরিই জানিয়ে দিয়েছেন, অমন পরিস্থিতিতে নুরুলের ওই শটে বিরক্ত তিনি।