গতকাল কী হয়েছে, সেটা তো আগেই বলা হয়ে গেল। তবে ৯ বছর আগে ২৩ এপ্রিল দিনটা ছিল অন্য রকম। ২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল ঘরের মাঠে খেলতে নেমেছিল বেঙ্গালুরু। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সেদিন বারবার ইতিহাস লিখেছে দলটি। ভুবনেশ্বর কুমার ও লুক রাইট ৮ ওভারে মাত্র ৪৯ রান দিয়েছিলেন। কিন্তু বাকি ১২ ওভারে যা হয়েছে, তা অবিশ্বাস্য। ক্রিস গেইল সেদিন অশোক দিন্দা, মিচেল মার্শদের নিয়ে ছেলেখেলা করেছেন। বোলারদের বাঁচাতে এক ওভার করতে এসে ২৯ রান দিয়েছেন অ্যারন ফিঞ্চ।
১৬৭ রানের উদ্বোধনী জুটিতে তিলকরত্নে দিলশানের অবদান ছিল ৩৩ রান। সেটাও ৩৬ বলে! কোহলির ১১ রানও এসেছিল ৯ বলে। শুধু এবি ডি ভিলিয়ার্স ৩১ রান করেছিলেন ৮ বলে। তবু ২০ ওভার শেষে বেঙ্গালুরুর রান ২৬৩!
কারণ, সেদিন গেইল অন্য গ্রহের ক্রিকেটার বনে গিয়েছিলেন। ৬৬ বলের ইনিংসে ৩০টি বলই সীমানার বাইরে পাঠিয়েছেন। ১৩ চার ও ১৭ ছক্কায় সেদিন ১৭৫ রানে অপরাজিত ছিলেন গেইল। মাত্র তিন বছর আইপিএলে থেকেও তাই সব বড় রানের রেকর্ডে নাম জড়িয়ে আছে পুনে ওয়ারিয়র্সের। সেদিন পুনেকে ১৩৩ রানে আটকে ১৩০ রানের জয় পেয়েছিল বেঙ্গালুরু।
চার বছর পর অবশ্য উল্টো স্বাদ পেয়েছে বেঙ্গালুরু। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ১৩২ রানের লক্ষ্য পেয়েছিল তারা। সেদিনও একাদশে ছিলেন গেইল, কোহলি, ডি ভিলিয়ার্স। তিন মহাতারকার প্রথমজন সেদিন ১৭ বলে ৭ রান করেছেন। ডি ভিলিয়ার্স করেছেন ৬ বলে ৮ রান। ওদিকে কোহলি আউট হয়েছেন প্রথম বলেই। আর দল? বেঙ্গালুরু গুটিয়ে গিয়েছিল ৪৯ রানে। এপ্রিলের ২৩ তারিখেই!
আইপিএলের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন স্কোর দুটিই বেঙ্গালুরুর, দুটিই ২৩ এপ্রিলে। শুধু ব্যবধান চার বছরের।
কাল ছিল এই দুই স্কোরের নবম ও পঞ্চম বর্ষপূর্তি। গেইল এবার আর আইপিএলে খেলছেন না, ডি ভিলিয়ার্স তো অবসরই নিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু ফাফ ডু প্লেসি, ম্যাক্সওয়েল ও দিনেশ কার্তিকরা দলকে দারুণ কিছু জয় এনে দিয়েছেন। ভালো ফর্মে থাকা সে দলটি বেশ চনমনে মন নিয়েই নেমেছিল। এমন দিনে কোহলি আবারও প্রথম বলে শূন্য রানে ফিরলেন। দলও গুটিয়ে গেল ৬৮ রানে। সে সঙ্গে ‘প্রাপ্তি’ ৯ উইকেটের হার।
২০১৩ সালে ২৩ এপ্রিল দিনটা বেঙ্গালুরুকে অবিশ্বাস্য এক আনন্দ দিয়েছিল। কিন্তু দিনটি এখন তাদের যন্ত্রণার নাম হয়ে উঠেছে।