ফাইনালে প্রথম ৩ ম্যাচ হারা ইংল্যান্ড

সোফি একলেসটন দক্ষিণ আফ্রিকাকে দাঁড়াতেই দেননি।ছবি: এএফপি

টানা তিন হার দিয়ে মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। সেই ইংল্যান্ডই পরের পাঁচ ম্যাচ জিতে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠে গেছে।

ক্রাইস্টচার্চে আজ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড ১৩৭ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। প্রথমে ব্যাটিং করে ড্যানি ওয়াটের ১২৯ আর সোফিফা ডাঙ্কলির ৬০ রানে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৯৩ রান তোলে ইংল্যান্ড। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা গুটিয়ে যায় ১৫৬ রানেই। ৩৬ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন সোফি একলেস্টোন। মেয়েদের বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিদায় নিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

আজকের ম্যাচটি জিততে হলে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করেই জিততে হতো দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের, কিন্তু সেটি হয়নি। ইংল্যান্ডের ২৯৩ রানের জবাবে কখনোই মনে হয়নি, এ ম্যাচ প্রোটিয়া মেয়েরা জিততে পারেন।

টানা দ্বিতীয়বারের মতো মেয়েদের বিশ্বকাপের ফাইনাল ইংল্যান্ড
ছবি: এএফপি

২৯৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ রানেই ২ উইকেট হারায়। দক্ষিণ আফ্রিকাকে শুরুর ধাক্কাটা দেন অ্যানিয়া শ্রাবসোল। লিজেলা লি ফেরেন ২ রানে, লরা উলভারডট আউট হন শূন্য রানে। এরপর সুনে লুস আর লারা গুডাল ফিরে গেলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি চলে যায় ইংলিশ মেয়েদের হাতে। আসলে দক্ষিণ আফ্রিকা সাধারণ লড়াইটাও করতে পারেনি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান দূরেই থামতে হয় তাদের।

২০১৭ সালে এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই ডার্বিতে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হেরেছিল প্রোটিয়ারা। আজও সেমিফাইনালের চাপ তারা নিতে পারেনি বলেই মনে হয়েছে। শতরান করা ইংলিশ ওপেনার ড্যানি ওয়াটের ক্যাচই তারা ছেড়েছে পাঁচবার। তাঁর ইনিংস ২২ রানেই থামতে পারত। এরপর থামতে পারত ৩৬ রানে। ওয়াট ফিরতে পারতেন ৭৭ রানেও। কিন্তু তা হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের ক্যাচ মিসের মহড়ার কারণে।

সাধারণ লড়াইটাও করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকান মেয়েরা
ছবি: এএফপি

শতরান পেরোনোর পরও ওয়াটের ক্যাচ দুইবার ছেড়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ফিল্ডাররা। এর একটি ১১৬ রানে, অন্যটি ১১৭ রানের মাথায়। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ওয়াট-ডাঙ্কলি ১১২ বলে ১১৬ রান যোগ করেন। এর আগে ওয়াট দ্বিতীয় উইকেটে হিদার নাইটের সঙ্গে গড়েন ৫৬ বলে ৪১ রানের জুটি। চতুর্থ উইকেট জুটিতে অ্যামি জোনসের সঙ্গে ওয়াটের জুটি ছিল ৫১ বলে ৪৯ রানের। ওয়াট ১২৫ বলে ১২৯ রান করেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ১২টি বাউন্ডারি। এটি মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ওয়াটের প্রথম শতরান