বাংলাদেশের ৫১ জন

দেখে নিন ভবিষ্যৎ তারকাদের—২০১৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের স্লোগান। এবারের টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া কত জন নাম কিনবেন ক্রিকেট দুনিয়ায়, কতজন টিকে থাকবেন তা ভবিষ্যৎই বলে দেবে। তবে পূর্বসূরিদের ইতিহাস বাংলাদেশের মিরাজ-নাজমুলদের আশাবাদী করতেই পারে। কম তো নয়, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলা বাংলাদেশের ৫১ জন ক্রিকেটার পরে খেলেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।
শুরুটা আমিনুল ইসলাম ও হারুনুর রশিদকে দিয়ে। ১৯৮৮ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে যুব বিশ্বকাপ নামে আয়োজিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের প্রথম আসরে আইসিসির সহযোগী সদস্যদেশগুলোর সম্মিলিত দলে ছিলেন বাংলাদেশের দুই ব্যাটসম্যান। বছর না ঘুরতেই অক্টোবরে এশিয়া কাপে একই ম্যাচে দুজনেরই ওয়ানডে অভিষেক। পরে অবশ্য দুজনের পথ বেঁকে গেছে দুই দিকে। দায়টা হারুনেরই, এই ওপেনার দুই ম্যাচেই শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। ওখানেই থেমে যায় এই ক্রিকেটারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার।

১০ বছর বিরতি দিয়ে ১৯৯৮ সালে ক্রিকেট সূচিতে আবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। এবার একটা দল হিসেবেই সুযোগ মেলে বাংলাদেশের। দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়া ওই দলের সাতজন খেলেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট।
এরপর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে প্রতিটি আসরেই খেলেছে বাংলাদেশ, আর দলের কেউ না কেউ জাতীয় দলে খেলেছেনই। এঁদের মধ্যে ২০০৪ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ থেকেই সবচেয়ে বেশি ক্রিকেটার সুযোগ পেয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। ঘরের মাঠের ওই টুর্নামেন্টের ১১ জন বাংলাদেশের হয়ে তিন সংস্করণের ক্রিকেটের কোনো না কোনোটিতে খেলেছেন। সংখ্যাটা অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের কোনো একটি আসরে অংশ নেওয়া কোনো দলের সবচেয়ে বেশি ক্রিকেটারের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার রেকর্ড। অবশ্য ২০০৪ সালের জিম্বাবুয়ে দলের ১১ জনও পরে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন।
২০০৪ সালের বাংলাদেশ যুব দলের এই ১১ জন পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেছেন—আফতাব আহমেদ, নাফিস ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ, নাঈম ইসলাম, নাদিফ চৌধুরী, তালহা জুবায়ের, শাহাদাত হোসেন, এনামুল হক জুনিয়র, নাজিমউদ্দিন, নাজমুল হোসেন ও ধীমান ঘোষ।

২০০৬ ও ২০১২ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আটজন পরে বাংলাদেশ দলে সুযোগ পেয়েছেন।