ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে যা বললেন গাভাস্কার
দুবাইয়ে আজ বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান। জিবে জল আনা এ ম্যাচ নিয়ে দুবাইয়ের সংবাদমাধ্যম খলিজ টাইমসে কলাম লিখেছেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান সুনীল গাভাস্কার। প্রথম আলোর পাঠকদের জন্য সেই কলামের চুম্বক অংশ এখানে তুলে ধরা হলো—
উপমহাদেশের বেশির ভাগ ক্রিকেটপ্রেমীর কাছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটাই শুধু প্রাধান্য পায়। এ ম্যাচ তাদের কাছে ফাইনালের আগে ফাইনাল। সমর্থকেরা এ ম্যাচের আগে নানা রকম তথ্য-উপাত্ত বের করেন নিজ নিজ দলের পক্ষে এবং বোঝাতে চান, এ ম্যাচে তাঁর দলই এগিয়ে। কোনো খেলোয়াড়কে কাছে পেলে তো কথাই নেই। অনুরোধ থাকে, যা খুশি করুন, শুধু হারা যাবে না।
আমি পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের কথা জানি না। তবে বছরের পর বছর ধরে ভারতীয় খেলোয়াড়দের দেখছি, এসবে কান না দিয়ে তারা পছন্দের গান শুনে থাকে কিংবা অন্য কিছু করে। বাইরের কথায় তারা কান দেয় না। জয়ের চাপটা পাকিস্তানের ওপরই বেশি। কিন্তু ভারত অনেক বছর ধরেই পাকিস্তানকে দেখিয়ে আসছে, তাদের বিপক্ষে ভালো করাটা অন্য সব দলের বিপক্ষে খেলার মতোই। অন্য যেকোনো দলের তুলনায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভালো করতে মুখিয়ে থাকে ভারতের খেলোয়াড়েরা। বিশ্বের যেকোনো দলই অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে চায়, ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়।
কিন্তু এই ম্যাচ দুই দলের সমর্থকদের কর্মক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলবে। খেলোয়াড়দের চেয়ে বেশি দুশ্চিন্তায় থাকবেন তাঁরা।
প্রস্তুতি ম্যাচে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সহজ জয়ে আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে নিয়েছে ভারত। মহেন্দ্র সিং ধোনির উপস্থিতিও দলে প্রভাব ফেলেছে। বেশ কঠিন লক্ষ্য হলেও হাতে বল রেখে ঠান্ডা মাথায় তাড়া করেছে দল। তবে ভাবনার জায়গাও আছে। ছয় নম্বর বোলার নিয়ে ভাবতে হবে ম্যানেজমেন্টকে। সব অধিনায়কই দলে এমন এক ব্যাটসম্যান চান, যে কিনা হাতও ঘোরাতে পারে। নিয়মিত কোনো বোলারের বাজে দিন গেলে তার জায়গায় পুষিয়ে দিতে পারে। হার্দিক পান্ডিয়া প্রস্তুতি ম্যাচে বল করেনি, কিন্তু আমি নিশ্চিত সে-ই হবে ছয় নম্বর বোলার। তাকে প্যাড পরেও প্রস্তুত থাকতে হবে। অধিনায়কের সঙ্গে ধোনি কথা বলে দেখবে, তাকে কোন পজিশনে ব্যাট করতে নামাতে চায়। তাকে সেখানে ব্যাট করতে হবে।
পাকিস্তান এখানে (সংযুক্ত আরব আমিরাত) খেলার অভিজ্ঞতায় পুষ্ট। এখানকার পিচ সম্বন্ধে জানাশোনাও ভালো। তাদের ব্যাটিং বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান ছাড়াও দুই অভিজ্ঞ মোহাম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিকের ওপর নির্ভরশীল। বোলিংটা যেহেতু তাদের মূল শক্তি, তাই স্বল্প সংগ্রহ নিয়েও লড়াই করতে কুণ্ঠা করবে না পাকিস্তান।