শেষ দিনে ইংল্যান্ডকে জেতার জন্য আরও ২৯১ রান করতে হতো। হাতে ছিল দশ উইকেট। যেভাবে দুই ওপেনার ররি বার্নস ও হাসিব হামিদ ব্যাট করে যাচ্ছিলেন, তাতে শেষ দিনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আশাই করেছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু তা আর হলো কোথায়!
শেষমেশ দাপট দেখালেন ভারতের পেসাররাই। যশপ্রীত বুমরা, উমেশ যাদব, শার্দুল ঠাকুররা মিলে শেষ দিনে ২১০ রানের মধ্যেই থামিয়ে দিলেন ইংল্যান্ডকে। ১৫৭ রানের বিরাট জয় নিয়ে ওভাল টেস্ট শেষ করল ভারত।
ইংল্যান্ডের মড়কের শুরুটা করে দিয়েছিলেন দুই ইনিংসে ফিফটি করা বোলার শার্দুল ঠাকুরই। বার্নসকে উইকেটের পেছনে পন্তের ক্যাচ বানিয়ে ১০০ রানের জুটি ভাঙেন এই পেসার। ফিফটি করেই আউট হন বার্নস। দুর্ভাগ্যজনক এক রান আউট আর রবীন্দ্র জাদেজার কল্যাণে দলগত ১৪১ রানের মাথায় ফেরত যান আরেক ওপেনার হাসিব হামিদ (১৯৩ বলে ৬৩) ও ডেভিড মালানও (৩৩ বলে ৫)।
এরপরেই যেন রক্তের গন্ধ পেয়ে যান যশপ্রীত বুমরা। ১১ বলের মধ্যে ওলি পোপ (১১ বলে ২) আর জনি বেয়ারস্টোকে (৪ বলে ০) বোল্ড করে ম্যাচে দুর্দান্তভাবে ফিরিয়ে আনেন ভারতকে। মঈন আলিকে (৪ বলে ০) আউট করে উইকেট নেওয়ার উৎসবটা বাড়িয়ে দেন জাদেজাও। ১৪৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ইংলিশরা তখন রীতিমতো ধুঁকছে।
ক্রিস ওকসকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজটা করতে চেয়েছিলেন অধিনায়ক জো রুট। পারেননি। ৭৮ বলে ৩৬ রান করে শার্দুল ঠাকুরের বলে বোল্ড হন এই তারকা ব্যাটসম্যান। বাকি কাজটা সেরেছেন আরেক পেসার উমেশ যাদব। একে একে ওকস (৪৭ বলে ১৮), ক্রেইগ ওভারটন (২৯ বলে ১০) আর জেমস অ্যান্ডারসনকে (৫ বলে ২) আউট করে ভারতকে এনে দেন স্মরণীয় এক জয়।
বিদেশের মাটিতে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পাওয়া রোহিত শর্মাই হয়েছেন ম্যাচসেরা। সিরিজের ৫ম ও শেষ টেস্ট শুরু হবে শুক্রবার থেকে, ম্যানচেস্টারে। দেখা যাক, সেই টেস্ট জিতে ইংলিশরা ঘরের মাটিতে সমতা আনতে পারে কি না!