তবে শুধু দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলাতেই সন্তুষ্ট নন ভারতের এক নাগরিক। তিনি চান পুরো সিরিজই বাতিল করা হোক। হুমকি দিয়েছেন, করোনার ঝুঁকি উপেক্ষা করে এই সিরিজে আর খেলা চললে তিনি নিজের গায়ে নিজেই আগুন ধরিয়ে দেবেন! পুলিশ এরই মধ্যে এ নিয়ে তদন্তে নেমেছে।

পঙ্কজ প্যাটেল নামের ওই ব্যক্তি হুমকিটা দিয়েছেনই-বা কার কাছে! আহমেদাবাদে সিরিজের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত এক পুলিশ ইন্সপেক্টরের কাছে ফোন করে নিজের পরিকল্পনা জানিয়েছেন প্যাটেল।

১২ মার্চ ইংল্যান্ডের সঙ্গে ভারতের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হয়েছে। প্রথম দুই ম্যাচে অনেক দর্শকও হয়েছে। করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত সোমবার সিরিজের বাকি তিন ম্যাচ দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে আয়োজনের ঘোষণা আসে। গতকাল সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিটিও হয়েও গেছে, যে ম্যাচে ভারতকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে ইংল্যান্ড।

কিন্তু করোনার সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিকে কারণ দেখিয়ে হুমকিদাতা ওই ব্যক্তি সিরিজ পুরোপুরি বাতিলের দাবি তুলছেন। ভারতীয় দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, পুলিশ এরই মধ্যে আহমেদাবাদের চান্দখেড়া পুলিশ স্টেশনে একটি এফআইআর দায়ের করেছে।

নিজেকে পঙ্কজ প্যাটেল পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তি চান্দখেড়া থানার ঊর্ধ্বতন পুলিশ ইন্সপেক্টর কেভি প্যাটেলকে ফোন করেন গত ১২ মার্চ। পুলিশের সঙ্গে তাঁর ফোনালাপের অডিও গত সপ্তাহে ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
অডিওতে শোনা যায়, ওই ব্যক্তি পুলিশকে জিজ্ঞেস করেন, স্টেডিয়ামে করোনা–সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না। জবাবে পুলিশ কর্মকর্তা কেভি প্যাটেল বলেন, সামাজিক দূরত্বের বিধানটা ঠিকভাবে পালন করা যাচ্ছে না। তখনই পঙ্কজ দাবি করেন, সব ম্যাচই তাহলে বাতিল করা হোক।

স্টেডিয়ামে প্রায় ৭৫ হাজার দর্শক হাজির হওয়ায় সেখান থেকে করোনা ছড়ানোর ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। ওই ব্যক্তি পরে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ও ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রীর ওপর নিজের অসন্তোষ ঝাড়তে গিয়ে অশ্রাব্য শব্দও উচ্চারণ করেন। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সহযোগীর ব্যর্থতায় গুজরাটে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়নি।
তবে হুমকির পরও কাল সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই স্টেডিয়ামে হবে পরের দুই ম্যাচ, আগামীকাল চতুর্থ টি-টোয়েন্টি।