আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশ দলের পাওয়ার প্লে ব্যাটিং ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। তৃতীয় ওয়ানডেতে এসে সে সমস্যা কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ দল। কোনো উইকেট না হারিয়েই পাওয়ার প্লেতে ৪৩ রান তুলে ফেলেছিলেন তামিম-লিটনরা।

কিন্তু পাওয়ার প্লের ঠিক পরের ওভারেই গল্পটা পাল্টে যেতে থাকে। অধিনায়ক তামিমের বিদায়ের পর লিটন দাস আর সাকিব আল হাসানের জুটিতে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখলেও আচমকা ধসে ভেঙে পড়ে বাংলাদেশ দলের মিডল অর্ডার। শেষ পর্যন্ত ১৯২ রানেই অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ দল।

মিডল অর্ডার আজ পুরোপুরি ব্যর্থ
ছবি: শামসুল হক
ভুলের পর ভুল করে ১৯২ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ
ছবি: শামসুল হক

দলীয় ১০৪ রানের মাথায় অফস্টাম্পের বাইরের বলটি স্টাম্পে টেনে আনেন সাকিব। ৩০ রানের ছোট্ট ইনিংসটি দীর্ঘ হতে দেননি আজমতুল্লাহ ওমরজাই। এরপরই ভয়ংকর হয়ে ওঠেন আফগান স্পিনাররা। বাংলাদেশ দলের মিডল অর্ডারে নড়বড়ে অবস্থায় পেয়ে জেঁকে ধরেন রশিদ খান। দারুণ লেগ স্পিনে মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলীকে স্লিপ ফিল্ডারে তালুবন্দী করেন তিনি।

লিটন অবশ্য মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে ধস সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাটিং করে আরেকটি ওয়ানডে শতকের পথেই এগোচ্ছিলেন। উইকেট পতনে রানের গতি কিছুটা কমে এসেছিল। সে সময় লিটনের লম্বা ইনিংস খেলা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সময়ের দাবি মেটাতে পারেননি তিনি। ৩৬তম ওভারে মোহাম্মদ নবীর বলে স্লগ করতে গিয়ে ঠিক ব্যক্তিগত ৮৬ রানে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন লিটন। নবীর বলে মারতে গিয়ে আউট হন আফিফ হোসেনও।

মাহমুদউল্লাহ এক প্রান্ত ধরে রাখলেও রানআউটের হিড়িক পড়ে অন্য পাশে। মেহেদী হাসান মিরাজ, শরীফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান ড্রেসিংরুমে ফিরে যান রানআউট হয়ে। নিজেদের ভুল-বোঝাবুঝিতে ইনিংসের ১৯ বল বাকি থাকতেই ১৯২ রানে বাংলাদেশের ইনিংস। মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত থাকেন ২৯ রানে। রশিদ খান সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন। অফ স্পিনার মোহাম্মদ নবী ১০ ওভারে নিয়েছেন ২ উইকেট।