মাঝপথে এলোমেলো হয়ে হারল ধোনির চেন্নাই

৫১ বলে ৮১ রান করে কলকাতার জয়ে বড় অবদান রাহুল ত্রিপাঠির।ছবি: বিসিসিআই

কলকাতা নাইট রাইডার্সের ১৬৮ রানের লক্ষ্যটা বেশি বড় মনে হচ্ছিল না। চেন্নাই সুপার কিংসের ইনিংসের মাঝপথে মনে হচ্ছিল ধোনিরা বুঝি সহজেই জিতে যাবেন। কিন্তু কী ম্যাচ কেমন হয়ে গেল! ১০ ওভারের সময় যে চেন্নাইয়ের রান ১ উইকেটে ৯০, সে দলই কি না শেষ পর্যন্ত তালগোল পাকিয়ে হারল ১০ রানে!
কদিন আগে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজেও একই ধাঁচের ম্যাচ হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। আগে ব্যাট করা ইংল্যান্ড করে ১৬২ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ১৫তম ওভারে ১২৪ রান তুলে ফেলে, মাত্র ১ উইকেট খরচায়। এরপর একে একে উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত হারে ২ রানে!

সেই ম্যাচ শেষে ইংল্যান্ড অধিনায়ক এউইন মরগান বলেছিলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয় শেষ ১০ ওভারে, প্রথম ১০ ওভারে নয়।’ আজও আইপিএলে চেন্নাই-কলকাতা ম্যাচে তাই হলো। মজার কথা হচ্ছে, এই কলকাতা দলে আবার খেলছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক মরগান।
৩০ রানে ফর্মে থাকা ফাফ ডু প্লেসিকে হারালেও চেন্নাইকে ভালো অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিলেন ওয়াটসন ও রাইডু। আগের ম্যাচে ছন্দে ফেরা ওয়াটসন আজও খেলছিলেন দাপট দেখিয়ে। সঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন চেন্নাইকে প্রথম ম্যাচে জেতানোর নায়ক রাইডুকে।

ফিফটি করেও চেন্নাইকে জেতাতে পারেননি শেন ওয়াটসন।
ছবি: বিসিসিআই

কিন্তু ইনিংসের ১৩তম ওভারে কমলেশ নাগারকটি জুটি ভাঙেন রাইডুকে আউট করে। পরের ওভারেই ওয়াটসন এলবিডব্লু নারিনের বলে। দুই ওভারে দুই থিতু ব্যাটসম্যান আউট হতেই ম্যাচের চিত্র যেন পাল্টে গেল। ধোনি ও স্যাম কারেন চেষ্টা করেও ইনিংস টানতে পারেননি। শেষের দিকে কেদার যাদব ও রবীন্দ্র জাদেজা দ্রুত কিছু রান তুললেও তা শুধু হারের ব্যবধানটাই কমাতে পেরেছে।
কলকাতাও নিজেদের ইনিংসে শুরুটা করেছিল দুর্দান্ত। এবারের আইপিএলে প্রথম ওপেনিংয়ে সুযোগ পেয়ে রাহুল ত্রিপাঠি করেন ৫১ বলে ৮১ রান। ৮টি চার ও ৩টি ছক্কায় ছিল রাহুলের ইনিংসটি সাজানো। সুনিল নারিন ওপেনিংয়ে বারবার ব্যর্থ হওয়ায় আজ রাহুলকে সুযোগ দেওয়া হয়। সুযোগটা দুই হাত ভরে নিয়েছেন তিনি। খেলেছেন ম্যাচ জেতানো ইনিংস। এছাড়া ওপরের সারির বাকি ব্যাটসম্যানরা কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি।