মাটিতে পড়া বল ক্যাচ দাবি, বলে থুতু, কী হয়েছিল স্টোকসের?

স্টোকসের কী হয়েছিল কাল?
ছবি: বিসিসিআই

আহমেদাবাদের দিনরাতের টেস্টের প্রথম দিনই একাধিক বিতর্ক ছড়িয়েছে। সন্ধ্যা নামার আগেই টসজয়ী ইংল্যান্ড ১১২ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পরপরই বিতর্কের সূত্রপাত। ভারতীয় ওপেনার শুভমান গিলের ব্যাটে লেগে বল স্লিপে গেলেও সেটি ক্যাচ হয়েছে কি না, প্রথম বিতর্ক সেটি নিয়েই। বেন স্টোকস যেভাবে মাটিতে পড়া বল ধরে ক্যাচ দাবি করলেন, সেটি নেটিজেনরা কেউই ভালোভাবে নেননি। বিশেষ করে টেলিভিশন রিপ্লেতে যেখানে পরিষ্কার বোঝা গেছে বলটি মাটি ছুঁয়ে গিয়েই স্টোকসের হাতে উঠেছে, সেখানে আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে মাতা কেই-বা ভালোভাবে নেবে! কেবল স্টোকসই নন, নম্র–ভদ্র অধিনায়ক জো রুটও তর্ক করলেন আম্পায়ারের সঙ্গে। ড্রেসিংরুমে বসা ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলিরও ব্যাপারটা ভালো লাগেনি।

ভারতীয় ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই স্টুয়ার্ট ব্রডের বল গিলেন ব্যাটের কানায় লেগে দ্বিতীয় স্লিপে ধেয়ে যায় স্টোকসের দিকে। প্রথমে মনে হয়েছিল ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার দারুণ এক নিচু হয়ে যাওয়া ক্যাচই নিয়েছেন। আম্পায়ার সেটি নিয়ে তৃতীয় আম্পায়ারের শরণাপন্ন হওয়ার পরই গুমর ফাঁস হয়ে যায়।

করোনার স্বাস্থ্যবিধিও ভেঙেছেন ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার
ছবি: বিসিসিআই

টিভি আম্পায়ার অবশ্য একটি অ্যাঙ্গেল থেকেই রিপ্লে দেখে জানিয়ে দেন, স্টোকসের ক্যাচের দাবি ঠিক নয়। তবে এটা ঠিক যে তিনি যে অ্যাঙ্গেল থেকেই দেখুন না কেন, টেলিভিশন রিপ্লেতে স্পষ্টই বোঝা গেছে গিল আউট নন, বলটি স্টোকসের হাতে গেছে মাটি ছুঁয়েই। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত কেন যেন ইংলিশরা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না। ব্রড, জিমি অ্যান্ডারসন, স্টোকস ও রুট আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন।

ব্যাপারটা এখানেই থেমে গেলে সমস্যা ছিল না; স্টোকস ভেঙেছেন করোনাকালের স্বাস্থ্যবিধিও। আম্পায়ারের সামনেই বলে থুতু মাখিয়েছেন। করোনার এই সময় বলে থুতু লাগানো নিষিদ্ধই করেছে আইসিসি। থুতু ব্যবহারে রান কেটে নেওয়ার শাস্তিও আছে। সেখানে স্টোকস কীভাবে আম্পায়ারের সামনে এমনটা করলেন! আম্পায়ার নিতিন মেনন অবশ্য স্টোকসকে সতর্ক করেছেন সঙ্গে সঙ্গেই।

দিন খারাপ হলে যা হয় আর কী!