মিরপুরে ‘টার্ন’ খুঁজবেন টার্নার

বাংলাদেশে স্পিনটা একটু বেশিই পেতে চান অ্যাশটন টার্নারছবি: ফাইল ছবি

বাংলাদেশের মাটিতে টি–টোয়েন্টি সিরিজে স্পিনাররা যে কিছুটা হলেও সুবিধা পাবেন, সেটা মাথায় নিয়েই এসেছে অস্ট্রেলিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও স্পিন বেশ ভালোই ভূমিকা রেখেছিল। স্পিন–সহায়ক উইকেট পেয়ে অস্ট্রেলীয় স্পিনাররাও বেশ রোমাঞ্চিত। যেমন রোমাঞ্চিত অ্যাশটন টার্নার। ওয়েস্ট ইন্ডিজে সাফল্য পেয়েছেন, এবার বাংলাদেশেও তেমন কিছু কিংবা তার চেয়েও ভালো কিছু করে দেখাতে চান তিনি।

ক্যারিয়ারের শুরুতে নিয়মিত বোলিং করতেন। এরপর কাঁধের চোটের কারণে গত দুই বছর বোলিং করেননি টার্নার। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজে স্পিন–সহায়ক উইকেট ছিল বলেই হয়তো দলের প্রয়োজনে হাত ঘুরিয়েছেন ২৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। দুই ওয়ানডেতে ১৪ ওভার বোলিং করে ২ উইকেট নিয়েছেন।

ব্যাটিংয়েও ভালো করতে চান টার্নার
ছবি: এএফপি

ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে উইকেটের সাহায্য থাকায় টার্নারকে কার্যকরী মনে হয়েছে। বাংলাদেশ সফরেও উইকেট থেকে বাঁক আদায় করে নেওয়ার আশা করছেন এই অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ২২ ম্যাচ খেলা টার্নার আজ এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বলছিলেন, ‘আমি রোমাঞ্চিত, প্রথমবার বাংলাদেশে এসেছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজেও প্রথমবার সফর করে এলাম। এখানে যারা আগে খেলেছে, তাদের সঙ্গে কথা বলে যা বুঝলাম, ওয়েস্ট ইন্ডিজে যেসব উইকেটে খেলেছি, এখানে তার চেয়ে খুব ভিন্ন কিছু হবে না।’

এবারের বাংলাদেশ সফর টার্নারের জন্য আগামী অক্টোবর-নভেম্বরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ। ব্যাটিংয়ের সঙ্গে যদি অফ স্পিনটাও কাজে আসে, তাহলে হয়তো টার্নার টিকে যাবেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারের বিশ্বকাপ পরিকল্পনায়। বিশ্বকাপটা যে হবে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে, যেখানে উইকেট কথা বলবে স্পিনারদের হয়ে, ‘এখন এমন অনেক উইকেটেই খেলতে হবে, যেখানে স্পিন ধরে। স্পিনার হিসেবে আমি রোমাঞ্চিত যে এ রকম উইকেট পাব, যেখানে স্পিনারদের সহায়তা থাকে। অস্ট্রেলিয়ায় এটা সব সময় পাওয়া যায় না।’

স্পিনের বিপক্ষে ব্যাটিং পরীক্ষাও দিতে হবে টার্নারকে। সে জন্যও প্রস্তুত এই অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান, ‘ব্যাটসম্যান হিসেবেও আমরা জানি যে দারুণ কিছু স্পিনারদের মুখোমুখি হতে হবে আমাদের এবং কোনো সংশয় নেই যে তারা অনেক ওভার বোলিং করবে।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে বাংলাদেশে এসে তিন দিন কোয়ারেন্টিন করতে হয়েছে টার্নারদের। আজ বিকেলে অস্ট্রেলিয়া দলের প্রথম অনুশীলন। দুই দিনের অনুশীলনের পর ৩ আগস্ট বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া।

টার্নারের চোখ এখন প্রথম ম্যাচের প্রস্তুতিতে, ‘এখনো মাঠে যাইনি। ঢাকায় আসার পর প্রথম তিন দিন আইসোলেশনে ছিলাম। আজকে বিকেলে আমাদের অনুশীলন আছে। দলের কয়েকজন আগের সফরগুলোয় এই মাঠে খেলেছে। কন্ডিশন দেখতে, অনুশীলন করতে এবং মঙ্গলবারের ম্যাচের জন্য নিজেদের যতটা সম্ভব প্রস্তুত করে তুলতে মুখিয়ে আছি।’