মিরাজের বলে ওই ক্যাচটা যদি নিতে পারতেন লিটন

এরউয়ির ক্যাচ ফেলেছেন লিটনছবি: এএফপি

২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পচেফস্ট্রুমে টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম টেস্ট ম্যাচটি খেলার পর মোটামুটি একটা বড় বিরতিই পড়েছিল তাসকিন আহমেদের টেস্ট ক্যারিয়ারে। ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশের সাদা জার্সি পরারই সুযোগ হয়নি বাংলাদেশের এই গতি তারকার। আজ ডারবানে আবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নেমে হয়তো এই সময়টা মনে পড়েছে তাঁর। ওয়ানডে সিরিজের সেরা খেলোয়াড় তাসকিন অবশ্য টেস্টের প্রথম সেশনে তেমন কিছুই করতে পারেননি। যেমনটা পারেননি বাকি দু্ই পেসার খালেদ আহমেদ ও ইবাদত হোসেনও। বা বাংলাদেশের একাদশে একমাত্র স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। যদিও তাঁর বলে একটা ক্যাচ পড়েছে।

টস জিতে যে আশায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন অধিনায়ক মুমিনুল হক, সেই তাই আশা পূরণ হয়নি। মধ্যাহ্ন বিরতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৯৫।

মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই ফিফটি পেয়েছেন ডিন এলগার
ছবি: এএফপি

ডারবানের উইকেটে কিছুটা ঘাস আছে। এ মাঠের ইতিহাসও বোলারদের পক্ষেই কথা বলে। সর্বশেষ নয় টেস্টে এ মাঠে আগে ব্যাটিং করা দলের গড় সংগ্রহ ২৯৭। এ সময় মাত্র একটি দল টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করে ৩৫০ করতে পেরেছে। টসের আগে এ ব্যাপারটি অধিনায়ক মুমিনুল হকের মাথায় ছিল কি! আপাতত অধিনায়কের ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্তের পক্ষে তাসকিন–খালেদ–ইবাদতরা বলার মতো কিছু করতে পারেননি।

টসের পর দুই দলের ক্রিকেটারদের মাঠে নেমে জাতীয় সংগীত গাওয়ার পরেও খেলা শুরু হয়নি। সাইটস্ক্রিন সমস্যার কারণে ৩৩ মিনিট পর দেরিতে খেলা শুরু হয়। মাঠে নেমেও ড্রেসিংরুমে ফিরে যেতে হয় মুমিনুল হকদের। তবে খেলা শুরু হওয়ার পর আধিপত্যের রাশ পুরোপুরি চলে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানদের হাতে। বিরতির ঠিক আগের ওভারে ব্যক্তিগত ৩২ রানে মেহেদী হাসান মিরাজের অফ ব্রেকে উইকেটের পেছনে লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়েছিলেন এরউয়ি। কিন্তু লিটন সেটি নিতে পারেননি। এরউয়ির ক্যাচটা নিতে পারলে মধ্যাহ্ন বিরতিটা স্বস্তির হতে পারত বাংলাদেশের।

মিরাজের দুর্ভাগ্য, জুটিটা ভাঙতে পারেননি
ছবি: এএফপি

তাসকিনের করা টেস্টের প্রথম বলটিই ছিল ফুল টস, যাতে চার মেরেছেন এলগার। প্রথম দুই ওভারে তাসকিন দিয়েছেন ১২ রান। পরে কিছুটা ফিরে এলেও দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য বড় হুমকি হতে পারেননি। ইবাদত অবশ্য বেশ লাইন ও লেংথ ধরে বোলিং করেছিলেন শুরু থেকেই। কিন্তু তাঁকে ভালোই খেলেছেন এলগার আর এরউয়ি। তিনিই এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি খরুচে।

এলগার পঞ্চাশ পেরিয়েছেন। ৭৬ বলে ৬০ রান নিয়ে ব্যাটিং করছেন তিনি। এরউয়িও ৭৬ বল খেলেছেন। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৩২। ইবাদত ৭ ওভারে দিয়েছেন ৩৯ রান, তাসকিন ৯ ওভারে ৩১। খালেদ ৫ ওভারে ১৫। মিরাজের ৪ ওভার থেকে এসেছে ৯ রান। একটা উইকেটও যে থাকতে পারত, এটা শুধু দীর্ঘশ্বাসই ফেলছে বাংলাদেশ দলের।