ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা ঘূর্ণি-ফাঁসে হাঁসফাঁস করলেন। এই ঘূর্ণির মধ্যেই আবার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই করলেন প্রত্যাশিত দুজন-ই--ক্রেগ ব্রাফেট ও জার্মেইন ব্ল্যাকউড। জশুয়া দা সিলভার কথাও বলতে হবে। কিন্তু মাত্র ২৩ বলের ব্যবধানে ৬ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ক্যারিবীয়দের সব লড়াই মাটি হয়ে গেল!
চা-বিরতির আগে ও পরে সর্বনাশটা ঘটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২৫৫ বলে ৯৯ রানের জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ানো ব্ল্যাকউড-জশুয়া ফিরেছেন পাঁচ বলের ব্যবধানে, সেটা চা-বিরতির আগে। ওই জোড়া আঘাতই বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের (৪৩০) সঙ্গে টক্কর দেওয়া থেকে ছিটকে ফেলে ব্রাফেটের দলকে। চা বিরতির পর শেষ সেশনের প্রথম তিন ওভারের মধ্যে কেমার রোচ ও রাকিম কর্নওয়ালকে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ পর্যন্ত ২৫৯ রানে অলআউট হওয়ায় প্রথম ইনিংসেই ১৭১ রানের লিড পেয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ইনিংসে মেহেদী হাসান মিরাজ বোলারদের নিয়ে যে লড়াইটা করেন, রোচ কিংবা কর্নওয়ালের কাছ থেকে তেমন একটা লড়াই দেখতে চেয়েছিলেন ক্যারিবীয়ান ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপ। কিন্তু অভিজ্ঞ রোচ দলের পরিস্থিতিকে পাত্তা না দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে উইকেট দেন মিরাজকে। মাঝে এক ওভার পর কর্নওয়ালকে ফ্লাইটে বোকা বানিয়ে বোল্ড করেন এ অলরাউন্ডার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছে ৬ রানের মধ্যে! বিশপের কাছে যা 'অবিশ্বাস্য।'
জশুয়া-ব্ল্যাকউডের লড়াইয়ে ভর করে ৫ উইকেটে ১৫৪ থেকে ২৫৩ রান তুলে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এখান থেকে পতনের মিছিল শুরু হয় ক্যারিবীয়দের। সেঞ্চুরি করা মিরাজ ৫৮ রানে নেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট তাইজুল, নাঈম ও মোস্তাফিজের।