মুম্বাইয়ের গতিতে নাজেহাল হায়দরাবাদ

উইকেট নেওয়ার পর সতীর্থদের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান পেসার জেমস প্যাটিনসন।ছবি: বিসিসিআই

শারজায় খেলা হলে ২০০ রান হবে। এটাই হয়ে আসছে এবারের আইপিএলে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে আজও ঠিক তাই হলো। মুম্বাই ইন্ডিয়ানস আগে ব্যাট করে তুলল ৫ উইকেটে ২০৮ রান। মুম্বাইকে বড় রান এনে নিতে যাদের ভালো খেলা দরকার তারাই খেলল। ওপেনিংয়ে নেমে কুইন্টন ডি কক ৩৯ বলে করেন ৬৭ রান। এরপর বড় শট খেলায় দক্ষ হার্দিক পান্ডিয়া, কাইরন পোলার্ড ও ক্রুনাল পান্ডিয়ারা এসে তাণ্ডব চালিয়ে দলকে নিয়ে যান ২০৮ রানে। এই রান তাড়া করতে গিয়ে হায়দরাবাদের ইনিংস থামে ৭ উইকেটে ১৭৪ রানে।

তবে ম্যাচ শুরুর আগেই হায়দরাবাদ ছিল পিছিয়ে। দলের অভিজ্ঞ পেসার ভুবনেশ্বর কুমার নেই। খেলতে হচ্ছে সিদ্ধার্থ কৌল, সন্দীপ শর্মা ও টি নটরাজনকে নিয়ে। স্পিনার রশিদ খানের ওপর পুরো বোলিং আক্রমণের চাপ। এমন বোলিং আক্রমণ সামনে পেয়ে ছন্দ খুঁজে পান কুইন্টন ডি কক। দ্রুত রোহিত শর্মা আউট হলে তিনিই ধরে রাখেন মুম্বাইয়ের টপ অর্ডার। সূর্যকুমার যাদব ও ঈশান কিষানের সঙ্গে জুটি গড়েন মাঝের ওভারে। মঞ্চ গড়েন দুই পান্ডিয়া ভাই ও পোলার্ডের জন্য।

ডি কক ১৪তম ওভারের প্রথম বলে আউট। এরপর হার্দিকের ১৯ বলে ২৮, পোলার্ডের ১৩ বলে ২৫ ও ক্রুনালের ৪ বলে ২০ রান মুম্বাইকে ২০৮ রানে পৌঁছে দেয়।

বড় রান তাড়া করতে হায়দরাবাদের দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও জনি বেয়ারস্টোকে রান পেতেই হতো। মিডল অর্ডারে দ্রুত রান তোলার ব্যাটসম্যান না থাকায় পুরো চাপ এই দুই ব্যাটসম্যানের ওপর। আজ ওয়ার্নার ভালো শুরুও করেছিল। ৪৪ বলে ৬০ রান করা ওয়ার্নারকে কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি।

মুম্বাইয়ের তিন বিশ্বমানের পেসার ট্রেন্ট বোল্ট, জেমস প্যাটিনসন ও যশপ্রীত বুমরা মিলে ৬ উইকেট নেন। বোল্ট ও প্যাটিনসন ইনিংসের শুরুতে বিদায় করেছেন ওয়ার্নার, বেয়ারস্টো, মনীশ পাণ্ডে ও কেন উইলিয়ামসনদের। বুমরাকে শেষের ওভারের জন্য জমিয়ে রেখে হায়দরাবাদের বিপদ বাড়ান রোহিত। শেষের দিকে এসে বুমরা ২ উইকেট নিয়ে মুম্বাইয়ের ৩৪ রানের জয় নিশ্চিত করেন।