বাংলাদেশ-আফগানিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতম।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম কোনো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ৬১ রানে জিতেছে বাংলাদেশ।
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচের দল থেকে বাদ পড়েছেন ইয়াসির আলী। চোট থেকে ফিরেছেন মুশফিকুর রহিম। আজ ১০০তম টি-টোয়েন্টি খেলতে নামছেন মুশফিক।
একাদশে জায়গা ধরে রেখেছেন নাঈম
ইয়াসির দল থেকে ছিটকে গেলেও দলে জায়গা ধরে রেখেছেন মোহাম্মদ নাঈম। সর্বশেষ ম্যাচে ২ রান করে আউট হওয়া নাঈমের টিকে থাকার পেছনে দলের ‘ডান-বাম’ কম্বিনেশন দুর্বলতা সম্ভবত ভূমিকা রেখেছে।
ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে সর্বশেষ ৯ টি-টোয়েন্টিতে ৫২ রান করেছেন নাঈম। গড় ৭ এর একটু বেশি। সর্বোচ্চ ইনিংস ১৫ রানের। সেটি খেলতে ৩০ বল লেগেছিল এই ওপেনারের।
ফর্ম বিবেচনায় আজ মুনিম শাহরিয়ার ও লিটন দাসেরই ইনিংস উদ্বোধন করার কথা। কিন্তু দল এখনো দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যান দিয়ে ইনিংসের শুরু সম্ভবত করাতে রাজি নয়।
রড মার্শ ও শেন ওয়ার্নের স্মৃতিতে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছে দুই দল
প্রথম বলেই ওয়াইড
পরের বলেও ওয়াইড।
পরের চার বলেই ডট।
ফজল হক ফারুকির বল ঠিক বুঝতে পারছেন না মুনিম। ইনসুইং ও আউটসুইং দিয়ে বিভ্রান্ত করছেন বাঁহাতি পেসার।
শেষ বলে একটি বাই রান। প্রথম ওভার থেকে ৩ রান পেল বাংলাদেশ।
নবী ফেরালেন মুনিমকে
দ্বিতীয় ওভারে নবীকে বোলিংয়ে এনেছে আফগানিস্তান। ওভারের দ্বিতীয় বলেই মিড অফে চার মেরেছেন মুনিম, বাংলাদেশ ইনিংসে প্রথম চার সেটি। কিন্তু এক বল পরই বাংলাদেশ ইনিংসের প্রথম উইকেটের পতনও হলো মুনিমের আউটে।
মিড অফেই ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মুনিম। ১০ বলে ১ চারে ৪ রান করে আউট হয়েছেন তিনি।
নতুন ব্যাটসম্যান লিটন দাস। ২ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ৮।
ফারুকিকে কথা শোনানোর পর লিটনের ছক্কা
ফজলহক ফারুকির ওভারের প্রথম দুই বলে কোনো রান হয়নি, এর মধ্যে দ্বিতীয় বলের পর ফারুকির সঙ্গে একটু কথা কাটাকাটি হয় লিটনের। আম্পায়ার এসে লিটনকে সরিয়ে দেন। কিন্তু মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ের পর ব্যাট-বলের লড়াইয়ে আপাতত জিতেছেন লিটনই।
তৃতীয় বলে এসেছে ২ রান, পরের বলে বিশাল ছক্কা লিটনের। শর্ট ফাইন লেগে ফিল্ডার লেগে কোমরের বেশি উচ্চতায় বলটা করেছিলেন ফারুকি, দারুণ পুলে বলকে সীমানাছাড়া করেন লিটন। শেষ দুই বলে হলো দুটি সিঙ্গেল। ৩ ওভারে ১ উইকেটে ১৮ রান বাংলাদেশের।
টাইমিংয়ের ভুলে লিটনও গেলেন
চতুর্থ ওভারে নবীর ওভারে ৪ রান এসেছিল। পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে বদল আনে আফগানিস্তান, এলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। কিন্তু তাঁর প্রথম বলেই উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিলেন লিটন। মারার বলই ছিল, লিটন তাঁর শক্তির জায়গা অন সাইডেই মেরেছিলেন। কিন্তু টাইমিংয়ের ভুলে বল আকাশে। শরফুদ্দিন আশরাফের ক্যাচ ধরতে তেমন সমস্যা হয়নি।
তবে উইকেট হারানোর পরের বলেই চার পেল বাংলাদেশ। শর্ট বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে চার মেরেছেন নাঈম। ওভারের শেষ বলেও চার মেরেছেন নাঈম।
ওভারে ৮ রান নিয়ে ৫ ওভারে ২ উইকেটে ৩০ রান বাংলাদেশের।
পাওয়ার প্লে শেষ
সাকিব ও নাঈম - দুই ব্যাটসম্যানই বাঁহাতি। নিজের আগের দুই ওভারে ৯ রান দেওয়া অফ স্পিনার নবীরই পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভার না করার কোনো কারণ ছিল না। ওভারে এসেছে ৩ রান।
পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৩৩/২।
পাওয়ার প্লে শেষেই বোলিংয়ে রশিদ খান
২ উইকেট পড়ে গেছে। ৬ থেকে ১০ ওভারের মধ্যে আরেকটা উইকেট তুলে নিতে চায় আফগানিস্তান। যে কারণেই রশিদ খানকে আনা!
পরিকল্পনা প্রায় সফল হয়েই গিয়েছিল আফগানরা! ষষ্ঠ বলে এলবিডব্লু হয়েই গিয়েছিলেন নাঈম, রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন। রশিদের বল নাঈমের প্যাডে লাগার পর আবেদন হতেই আম্পায়ার আঙুল তুলে দিয়েছিলেন, কিন্তু রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। রিভিউতে দেখা যায়, বলের কিছুটা অংশ পিচ করেছে লেগ স্টাম্পের বাইরে!
এর আগের বলেও রশিদকে কাট করতে গিয়ে ব্যর্থ নাঈম। একটুর জন্য উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ হওয়া থেকে বেঁচেছেন।
ওভারে এসেছে ৩ রান। ৭ ওভারে বাংলাদেশ ৩৬/২।
অষ্টম ওভারে নবী
একদিকে রশিদ, অন্যদিকে নবী - বাংলাদেশের উইকেট দ্রুত তুলে নেওয়ার চেষ্টায় দুই প্রান্তে নিজেদের সবচেয়ে বড় দুই অস্ত্রকে কাজে লাগাচ্ছে আফগানিস্তান। মুজিবের বলে এই সফরে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা তেমন ভোগেননি। নবী উইকেট না পেলেও রান দিচ্ছেন না। তেমনটা হলে রানের চাপে পড়া বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের উইকেট তুলে নিতে রশিদের চেয়ে ভালো আর কে আছেন!
নবীর এই ওভারেও রান তেমন হয়নি। মাত্র ২ রান এসেছে। ৮ ওভারে বাংলাদেশ ৩৮/২।
আত্মহত্যা!
বলতে গেলে উইকেটটা বিলিয়েই দিয়ে এলেন নাঈম। রান নেওয়ার চাপে একটু বেশিই পড়ে গেলে যা হয়! বলটা স্কয়ার লেগে করিম জানাতের হাতেই ছিল, রান হয় না সেখানে। তবু নন-স্ট্রাইক প্রান্ত থেকে দৌড় দিলেন নাঈম। যতক্ষণে ফিরে গেছেন, তার অনেক আগেই জানাতের সরাসরি থ্রো ভেঙে দিল নন-স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প।
নতুন ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।
রশিদের ওভারে এল ৪ রান। ৯ ওভারে ৩ উইকেটে ৪২ রান বাংলাদেশের।
২৪ বলে বাউন্ডারি নেই
খেলা হয়েছে ৫৪ বলের, এর মধ্যে পঞ্চম ওভারের শেষ বলের পর থেকে এ পর্যন্ত ২৪ বলে কোনো বাউন্ডারি পায়নি বাংলাদেশ।
রান তোলার চাপে বিদায় নিলেন সাকিব
৪ ওভার বাউন্ডারি নেই। রানরেট ৫ এর নিচে। বাড়তি চাপ বোধ করছিলেন সাকিব। ওমরজাইয়ের দ্বিতীয় বলে মারতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাটে ঠিকমতো লাগেনি। আফগান ফিল্ডারদের অতি উৎসাহে দুই রান পেয়েছেন।
তৃতীয় বলে আবার তুলে মারতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা আকাশে উঠেছে। উইকেটকিপার রহমানউল্লাহ গুরবাজ সময় নিয়ে অনায়াসে ধরেছেন বল।
উইকেটে মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিম
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই ব্যাটসম্যান এখন উইকেটে।
১০ ওভার শেষে আফগানিস্তান: ৪৭/৪
আবার রিভিউ
মুশফিককে আউট করার জন্য রিভিউ নিয়েছিলেন আশরাফ। কিন্তু বল স্টাম্পের অনেক ওপর দিয়ে যেত। নষ্ট হলো রিভিউ।
ওভারে ২ রান এসেছে। ১১ ওভারের মধ্যেও এখনো অর্ধশতক হয়নি বাংলাদেশের ইনিংসে। ৪ উইকেটে ৪৯।
৩৬ বল, ১৯ রান, ২ উইকেট
পঞ্চম ওভারের শেষ বলের পর আর বাউন্ডারি তো পায়ইনি, বাংলাদেশের পুরোনো রোগ - উইকেট পড়লে সিঙ্গেলস-ডাবলসও বন্ধ হয়ে গেছে। সর্বশেষ ৬ ওভারে এসেছে মাত্র ১৯ রান, এ সময়ে পড়েছে ২ উইকেট।
অবশেষে বাউন্ডারির দেখা!
৩৮ বল পর ঘুচল বাউন্ডারি-খরা। রশিদ খানের ওভারেই দুই চার মেরেছেন মাহমুদউল্লাহ। আজ শুরু থেকেই মেরে খেলছেন তিনি!
রশিদ খানের ওভারের তৃতীয় বলে চার মেরেছেন মাহমুদউল্লাহ। ফুল লেংথের বলটা সুইপ করে পাঠিয়েছেন ডিপ স্কয়ার লেগে। এক বল পর আবার চার। এবারও সুইপ, এবারও বল ডিপ স্কয়ার লেগে দুই ফিল্ডারের মাঝ দিয়ে সীমানার বাইরে।
দুই চারের পাশাপাশি দুবার দুই রান করেও নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। ওভারে এসেছে ১৩ রান। বাংলাদেশ ১৩ ওভারে ৪ উইকেটে ৬২।
মাইলফলকের সামনে মাহমুদউল্লাহ
এই ইনিংসে ১৯ রান হলেই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবেন মাহমুদউল্লাহ। এই মুহূর্তে ১৩ ওভার শেষে তাঁর রান ৭ বলে ১৪।
মুশফিকেরও চার
আশরাফের প্রথম বলে চার মেরেছেন মুশফিকও। কাভারের ওপর দিয়ে উঠিয়ে দিয়েছেন। ফুল লেংথের বল ছিল, ঘুরে বাইরে চলে যাচ্ছিল।
বাউন্ডারির পাশাপাশি এ মুহূর্তে এক-দুইও নিচ্ছেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ। টি-টোয়েন্টি যে দাবি করে আর কী!
চারের পাশাপাশি ওভারে তিনটি সিঙ্গেল ও একটি ওয়াইড নিয়ে এসেছে ৮ রান। ১৩ ওভারে ৭০/৪ বাংলাদেশ। রানরেট দারুণ গতি পেয়েছে সর্বশেষ দুই ওভারে।
টানা দুই চার মুশফিকের
করিম জানাতের ওভার। দ্বিতীয় বলে থার্ডম্যানে মিসফিল্ডিংয়ের সুযোগে দুই রান। পরের দুই বলে দুই চার মুশফিকের। প্রথমটি স্কুপ করে, দ্বিতীয়টি স্কয়ার কাটে। দুবারই অবশ্য ক্যাচ উঠেও বল ফিল্ডারের নাগালের একটু বাইরে দিয়েই চলে গেছে বাউন্ডারিতে।
ওভারে এসেছে ১২ রান। বাংলাদেশ ১৪ ওভারে ৮২/৪। মুশফিক ২০ বলে ২৪, মাহমুদউল্লাহ ১১ বলে ১৬।
মাহমুদউল্লাহ ২০০১*
রশিদ খানের ওভারের প্রথম বলে সুইপ করে চার মেরেছেন মাহমুদউল্লাহ। তাতেই মাইলফলক! আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০০১ রান হয়ে গেল তাঁর!
রশিদের গুগলিতে শেষ মাহমুদউল্লাহর ইনিংস
ওভারের প্রথম বলে সুইপ করে চার মেরেছিলেন, চতুর্থ বলে সেই সুইপ করতে গিয়েই এলবিডব্লু মাহমুদউল্লাহ। এবারও গুগলিই করেছিলেন রশিদ, কিন্তু টাইমিংয়ে ভুল করেছেন মাহমুদউল্লাহ। রশিদ এতটাই নিশ্চিত ছিলেন যে, আম্পায়ারের কাছে এলবিডব্লুর আবেদনও করেননি! বল পায়ে লাগতেই উল্লাস শুরু করেন।
নতুন ব্যাটসম্যান আফিফ। এসেই দ্বিতীয় বলে চার মেরেছেন তিনি! দারুণ কাভার ড্রাইভ।
১৫ ওভারে ৫ উইকেটে ৯২ রান বাংলাদেশের।
১৫ ওভারে এখনো ১০০ হয়নি বাংলাদেশের
বাকি ৫ ওভারে কত রান করতে পারবেন মুশফিকরা? ওভারপ্রতি দশ করে নিলেও ১৪০ পর্যন্ত যেতে পারবে।
আবার চার মুশফিকের
১৬তম ওভারে বোলিংয়ে আহমদজাই। তৃতীয় বলটা পায়ের ওপর পেয়েছেন মুশফিক। ফ্লিক করেছেন। ফাইন লেগে সীমানায় মিসফিল্ডিং, হয়ে গেল বাউন্ডারি।
ওভারে ৭ রান নিয়ে ১৬ ওভারে ৯৯/৫ বাংলাদেশ।
সর্বশেষ ৫ ওভারে এসেছে ৫০ রান। আর বাকি আছে চার ওভার।
ফারুকি এসেই ফেরালেন মুশফিককে
১৭তম ওভারে এসেছেন ফারুকি। আগের ২ ওভারে ১২ রান দেওয়া বাঁহাতি পেসার এসেই ফিরিয়েছেন মুশফিককে।
স্লোয়ার ছিল, মুশফিক টাইমিংয়ে গড়বড় করে ফেলেছেন! জায়গা করে নিয়ে কাভারের ওপর দিয়ে মারতে চেয়েছিলেন মুশফিক, কিন্তু বলের গতির বদল বুঝতে পারেননি। কাভারে নবীর হাতে ধরা পড়লেন।
২৫ বলে ৪ চারে ৩০ রান করেছেন শততম টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা মুশফিক।
পরের বলে লেগ বাই থেকে ১ রানে বাংলাদেশের ইনিংসে ১০০ হলো। কিন্তু পরের বলেই আবার ধাক্কা! ফারুকির বল সোজা আঘাত হানল নতুন ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসানের স্টাম্পে! দারুণ ইয়র্কার! গোল্ডেন ডাক নিয়ে ফিরলেন মেহেদী।
ক্রিজে আফিফের সঙ্গী নতুন ব্যাটসম্যান নাসুম আহমেদ। হয় ইয়র্কার, নয়তো স্লোয়ার - এই পরিকল্পনা নিয়েই যেন বোলিং করছেন ফারুকি।
ওভারে এসেছে মাত্র ৩ রান। বাংলাদেশ ১৭ ওভারে ১০২/৭।
আহমদজাই ফেরালেন আফিফকে
স্ট্রাইকে আফিফ। শেষ তিন ওভারে বাংলাদেশের অন্তত ১২০ পেরোনোর আশা নির্ভর করছে তাঁর ওপরই। কিন্তু পারলেন না আফিফ।
চতুর্থ বলে আহমদজাইয়ের ফুল টস বলে স্কুপ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু শর্ট ফাইন লেগে ধরা পড়েছেন। বলটা কোমরের বেশি উচ্চতায় ছিল কি না, নো বল কি না, সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন আম্পায়াররা। আফিফ এক পা সামনে এগিয়ে এসে খেলেছেন, তখন বল তাঁর কোমর সমান উচ্চতায়ই ছিল। তার মানে স্টাম্পের ওপরে থাকত না। তাই নো বল হয়নি। আউটই হলেন আফিফ!
ক্রিজে নাসুমের সঙ্গী শরীফুল।
৩ রান এসেছে ওভার থেকে। বাংলাদেশ ১৮ ওভারে ১০৫/৮।
আর ২ ওভার, বাংলাদেশ ১২০ রানও করতে পারবে?
আবারও ফারুকির ইয়র্কার
ফারুকির ইয়র্কারই সামলাতে পারছেন না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। অবশ্য এখন 'ব্যাটসম্যান' বলতে তো মূলত বোলাররাই ব্যাট হাতে নামছেন। পেছনে সরে মারার চিরায়ত অভ্যাস তাঁদের, ফারুকির ইয়র্কার তাঁরা আর সামলাবেন কী!
একটু আগে মেহেদী হাসান ফিরেছেন ফারুকির ইয়র্কারে, এবার ১৯তম ওভারের প্রথম বলে আউট হলেন শরীফুল।
শেষ ব্যাটসম্যান মোস্তাফিজ ক্রিজে, তাঁকে দারুণ বাউন্সারে স্বাগত জানালেন ফারুকি! কোনোরকমে ব্যাট পেতে দিয়ে ঠেকালেন মোস্তাফিজ। ক্যাচ উঠেছিল, কিন্তু শর্ট ফাইন লেগে ফিল্ডার ছিল না। ১ রান।
তৃতীয় বলে এক রান মোস্তাফিজের। চতুর্থ বল, অফ স্টাম্পের বাইরে স্লোয়ার। বুঝতেই পারেননি নাসুম। পেছনে সরে ব্যাট পেতে দিয়েছেন। ক্যাচ উঠেছিল, কিন্তু এবার থার্ডম্যানে থাকা ফিল্ডারের অনেক সামনে পড়েছে বল। আরও ১ রান।
ওভারের শেষ পাঁচ বলে চার সিঙ্গেল। ১৯ ওভারে ১০৯/৯ বাংলাদেশ।
শেষ ওভার, জানাত বোলিংয়ে
প্রথম বলে এক রান নাসুমের। দ্বিতীয় বলে মোস্তাফিজ মেরেছিলেন অফ সাইডে, কিন্তু ৩০ গজে ফিল্ডারের হাতে। এক রান।
তৃতীয় বল, স্লোয়ার। না বুঝেই এলোপাতাড়ি ব্যাট চালিয়েছেন নাসুম। বল ব্যাটে লাগেনি। কোনো রান হয়নি।
চতুর্থ বলেও রান হয়নি। অফ স্টাম্পের বাইরে ফুল লেংথের বল।
পঞ্চম বলে লেগ বাই ১ রান।
শেষ বলে মোস্তাফিজের দারুণ কাভার ড্রাইভ। সীমানায় দারুণ ফিল্ডিংয়ে চার বাঁচল, ৩ রান হয়েছে।
২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১১৫ রান করতে পারল বাংলাদেশ।
মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর 'গুঁড়ি গুঁড়ি' বৃষ্টির দুই পাশে খরা
ইনিংসের শেষ দিকে ২৬ বলে কোনো বাউন্ডারি পায়নি বাংলাদেশ। অবশ্য শেষ দিকে উইকেট পড়ার পর যেখানে এক-দুই রানই আসছিল না, সেখানে বাউন্ডারি আর কোত্থেকে আসবে!
এর আগে ইনিংসের মাঝপথে ৫ম ওভারের শেষ বলের পর থেকে ৩৮ বলে কোনো বাউন্ডারি পায়নি বাংলাদেশ।
মাঝে পঞ্চম উইকেটে মুশফিক আর মাহমুদউল্লাহ ক্রিজে থাকার সময়ে ৮টি বাউন্ডারি পেয়েছে বাংলাদেশ, এর ৭টিই মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর, অন্যটি আফিফের। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা পুরো ইনিংসেই চার মেরেছেন ১১টি, ছক্কা ১টি।
প্রায় দশ ওভার ডট
একদিকে ১২০ বলের মধ্যে সীমানাছাড়া করতে পেরেছেন মাত্র ১২টি বল, অন্যদিকে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ডট বল দিয়েছেন ৫৮টি! প্রায় ১০ ওভার। ইনিংসের প্রায় অর্ধেকই ডট বল দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। উইকেট পড়লে যখন চার-ছক্কা বন্ধ হয়ে যায়, তখন এক-দুইও বন্ধ হয়ে যাওয়ার পুরোনো সেই রোগই খাচ্ছে বাংলাদেশকে।
ইনিংসে কেন মাত্র ১১৫ রান হলো, সে নিয়ে আর ব্যাখ্যার সম্ভবত দরকার পড়ে না!
জিততে হলে আবার রেকর্ড ভাঙতে হবে বাংলাদেশকে
আগে ব্যাট করে ২০ ওভার খেলেছে, এমন ইনিংসগুলোতে ১১৫ রান বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বনিম্ন। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ, টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করে ১১৫ রান করে কখনো জেতেনি বাংলাদেশ।
সবচেয়ে কম রান ডিফেন্ড করার রেকর্ডটা ১২২ রানের, গত আগস্টে মিরপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সে সিরিজে নিজেদের সবচেয়ে কম রান আগলে রেখে জেতার রেকর্ডটা তিনবার ভেঙেছিল বাংলাদেশ।
আজ জিততে হলে আরেকবার রেকর্ডটা ভাঙতে হবে।
নিজের বলেই নাসুমের ক্যাচ মিস
প্রথম ওভারে নাসুম বোলিংয়ে। তৃতীয় বলে নিজের বলে নিজেই ক্যাচ হাতছাড়া করেছেন তিনি! হজরতউল্লাহ জাজাইয়ের ব্যাটের ওপরের দিকে লেগে বল ওপরে উঠে যায়, অনেক সময় পেয়েছিলেন নাসুম। কিন্তু বলটা তাঁর হাতছাড়া হয়ে গেল!
প্রথম ওভারে ৪/০ আফগানিস্তান।
মেহেদী ফেরালেন গুরবাজকে
দ্বিতীয় ওভারে মেহেদী হাসান। প্রথম বলেই এলবিডব্লুর আবেদন রহমানউল্লাহ গুরবাজের বিপক্ষে, আম্পায়ার আঙুলও তুলেছিলেন। কিন্তু রিভিউতে দেখা যায়, সুইপ করতে যাওয়া গুরবাজের প্যাডে নয়, গ্লাভসে লেগেছে বল।
তবে বেঁচে যাওয়ার এক বল পরই আউট গুরবাজ। উড়িয়ে মারতে গিয়ে কাভারে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। ৫ বলে ৩ রান করেছেন তিনি। নতুন ব্যাটসম্যান উসমান গনি।
পঞ্চম বলে ভাগ্যের জোরে চার পেয়েছেন জাজাই। বল তাঁর ব্যাটের কানায় লেগে স্টাম্পের দিকে গিয়েছিল, কিন্তু লেগ স্টাম্পের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। উইকেটের পেছনে চার হয়েছে।
২ ওভার শেষে আফগানিস্তান ৮/১।
নাসুমের ওভারে ৮ রান
ওভারের চতুর্থ বলে চার মেরেছেন জাজাই। ৩ ওভার শেষে আফগানিস্তান ১৬/১। জয় পেতে আর ঠিক ১০০ রান দরকার তাদের।
মেহেদীর ওভারে ২ রান
৪ ওভার শেষে আফগানিস্তান ১৮/১। ৯৬ বলে ৯৮ রান দরকার তাদের।
ছক্কা-চারের পর আম্পায়ারস কলে বাঁচলেন গনি
নাসুমের প্রথম বলে লং অনে ৮১ মিটার লম্বা ছক্কা মেরেছেন গনি। পরের বলে অফ সাইডে দারুণ ড্রাইভে চার। পরের বলে ডট, এর পরের বলে অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন গনি।
এলবিডব্লুর আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেননি, রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল পায়েই লেগেছে, স্টাম্পের লাইনেও পড়েছে। কিন্তু বলের যতটুকু অংশ লেগ স্টাম্পে লেগেছে, তাতে আম্পায়ারের কলই বহাল থাকল। বেঁচে গেলেন গনি।
ওভারে এসেছে ১১ রান। আফগানিস্তান ৫ ওভারে ২৯/১।
পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে শরীফুল
ওভারের শেষ বলে চার জাজাইয়ের, অল্পের জন্য মিড অন ফিল্ডারের নাগালের বাইরে ছিল বল। শেষ বলে আঘাত পেয়েছেন জাজাই।
৬ ওভারে ১ উইকেটে ৩৪ রান আফগানিস্তানের।
সপ্তম ওভারে সাকিব বোলিংয়ে
কীভাবে বাঁচলেন জাজাই!
ওভারের শেষ বলে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন জাজাই, কিন্তু পুরোপুরিই পরাস্ত। সাকিবের বলটা ঘোরেনি, সোজাই গেছে। ব্যাটে-বলে হয়নি। কিন্তু কীভাবে যে বল স্টাম্পে লাগেনি, সে-ই আশ্চর্যের! হঠাৎ বাউন্স পাওয়া অফ আর মিডল স্টাম্পের একটু ওপর দিয়ে উঠে গেছে।
ওভারে ১ রান এসেছে। ৭ ওভারে ৩৫/১ আফগানিস্তান।
মোস্তাফিজ বোলিংয়ে
ওভারের প্রথম চার বলে চার সিঙ্গেল, শেষ বলে এসেছে ২ রান। ৮ ওভারে ১ উইকেটে ৪১ রান আফগানিস্তানের।
সাকিবকে টানা দুই ছক্কা
নবম ওভারে শেষ দুই বলে টানা দুই ছক্কা মেরেছেন জাজাই। দুটিই লং অনে। ওভারের প্রত্যেক বলেই রান এসেছে। মোট ১৭ রান এসেছে ওভারে। পঞ্চম বলে ছক্কায় আফগান ইনিংসে অর্ধশতকও হয়ে গেছে।
আফগানিস্তান ৯ ওভার শেষে ৫৭/১।
চার মারতেই পায়ে টান গনির
শরীফুলের ওভারের চতুর্থ বলে লং অনে চার মেরেছেন গনি, কিন্তু মারতে গিয়েই পায়ে টান লেগেছে তাঁর। গনিকে শুশ্রুষা দেওয়ার সময়ে ওভারের মাঝপথেই ইনিংসে পানি পানের বিরতি দেওয়া হয়েছে।
বিরতি শেষে আবার শরীফুলের বল, আবার চার গনির।
আফগানিস্তান ১০ ওভারে ৬৮/১। আর ৬০ বলে ৪৮ রান দরকার তাদের।
১১ ওভারে আফগানিস্তান ৭৩/১
মোস্তাফিজ করেছেন ১১তম ওভার। শেষ বলে ব্যাটসম্যান জাজাই পরাস্ত হয়েছেন, এর বাইরে ওভারে তেমন কিছুই ঘটেনি। একটি ওয়াইডসহ এসেছে ৫ রান।
আফিফের ক্যাচ মিস!
মেহেদী হাসানের ওভারের প্রথম বলেই ব্যাটের কানায় লেগে চার পেয়েছেন গনি, তবে পঞ্চম বলে ডিপ স্কয়ার লেগে তাঁর ক্যাচ ফেলেছেন আফিফ। গনির রান তখন ৩৮ বলে ৩৯।
ওভারে ৬ রান, ১২ ওভারে ৭৯/১ আফগানিস্তান।
মোস্তাফিজ, ১৩তম ওভার
ওভারে ৩ রান এসেছে। ১৩ ওভারে ৮২/১ আফগানিস্তান। ৪২ বলে ৩৪ রান দরকার আফগানিস্তানের, হাতে ৯ উইকেট। 'উত্তেজনা'র ম্যাচ বটে!
শরীফুলের ভাগ্য হলো মেহেদীর
তৃতীয় ওয়ানডেতে শরীফুলের টানা তিন ওভারে হাতছাড়া হয়েছিল গুরবাজের ক্যাচ। আজ সে দুর্ভাগ্য হচ্ছে মেহেদীর। তাঁর আগের ওভারে গনির ক্যাচ মিস করেছিলেন আফিফ, এই ওভারে আবার। ব্যাটসম্যান গনিই! এবারও ডিপ স্কয়ার লেগেই ক্যাচ হাতছাড়া, শুধু ফিল্ডারে বদল। এবার নাঈম মিস করেছেন। ক্যাচ হাতছাড়া হওয়ার পর চারও হয়েছে!
ক্যাচটা হলে ৪১ রানেই আউট হতেন গনি।
ওভারে ৭ রান। আফগানিস্তান ১৪ ওভারে ৮৯/১।
সাকিবকে আবার দুই ছক্কা জাজাইয়ের
নবম ওভারে সাকিবকে শেষ দুই বলে ছক্কা মেরেছিলেন জাজাই। ১৫তম ওভারে আবার বোলিংয়ে এসেছেন সাকিব, এ ওভারেও দুই ছক্কা জাজাইয়ের! এবার অবশ্য পরপর নয়, তিন বলের ব্যবধানে। দ্বিতীয় ছক্কায় অর্ধশতকও হয়ে গেছে জাজাইয়ের।
৩৭ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় অর্ধশতক পেলেন তিনি।
ওভারে ১৪ রান। আফগানিস্তান ১৫ ওভারে ১০৩/১।
মাহমুদউল্লাহ ফেরালেন গনিকে
১৬তম ওভারে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ। শরীর থেকে দূরে রেখে অলস শট খেলেছেন গনি, বল তাঁর ব্যাটে লেগে উইকেটকিপার লিটনের হাতে। ৪৮ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৪৭ রান করেছেন গনি।
নতুন ব্যাটসম্যান দারবীশ রাসুলি। ২ রান এসেছে ওভারে। আফগানিস্তান ১৬ ওভারে ১০৫/২।
এ কেমন রিভিউ!
শরীফুলের ওভারের প্রথম বলটা হলো ফুল লেংথের। জাজাই পেছনে সরে খেলতে চেয়েছিলেন, বল তাঁকে অনুসরণ করল। পায়ে লাগে বল। এলবিডব্লুর আবেদন বাংলাদেশের। আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় রিভিউও নিল বাংলাদেশ। কিন্তু রিপ্লে দেখাল, বল যখন জাজাইয়ের পায়ে লাগছে, তাঁর পা লেগ স্টাম্পেরও বাইরে! রিভিউ নষ্ট বাংলাদেশের।
ওভারের শেষ বলে ছক্কা। আর ১ রান দরকার আফগানিস্তানের। ১৭ ওভারে ২ উইকেটে ১১৫ আফগানিস্তান।
ছক্কা মেরে জেতালেন রাসুলি
জিততে দরকার ছিল ১ রান, ওভারের চতুর্থ বলে ডিপ মিড উইকেটে ছক্কা মারলেন রাসুলি। ৮ উইকেটে জিতে গেল আফগানিস্তান। উইকেটের হিসাবে আফগানদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়, বাংলাদেশের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়।
আয়ারল্যান্ডকে ২০১৭ সালে দুবাইয়ে ১০ উইকেটে হারিয়েছিল আফগানিস্তান। ৮ উইকেটের ব্যবধানে এ নিয়ে জিতল ৪ বার।
সমতায় শেষ সিরিজ
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ পাত্তা দেয়নি আফগানিস্তানকে, জিতেছিল ৬১ রানে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে পাল্টা জবাব আফগানদের। বাংলাদেশের ১১৫ রান ৮ উইকেট আর ১৪ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে গেল আফগানরা।
সিরিজ শেষ ১-১ সমতায়।