ম্যাচের ২৪ ঘণ্টা আগেও উইকেটকিপার খুঁজে পাচ্ছে না শ্রীলঙ্কা
কলম্বোয় আগামীকাল বেলা সাড়ে তিনটায় ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা। ম্যাচের আর ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই, এর মধ্যেই উইকেটকিপার নিয়ে মহাদুশ্চিন্তায় পড়েছে স্বাগতিকেরা। অধিনায়ক দাশুন শানাকা জানিয়েছেন, এই ম্যাচে গ্লাভস হাতে স্টাম্পের পেছনে কে দাঁড়াবেন তাঁরা জানেন না!
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের (এসএলসি) সঙ্গে খেলোয়াড়দের নতুন চুক্তি নিয়ে ঝামেলায় এমনিতেই বিক্ষুব্ধ সময় পার করছে দেশটির ক্রিকেট। এ ছাড়া চোট এবং করোনাভাইরাস সমস্যায় স্কোয়াড নতুন করে গঠন করতে হয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। ২৩ জনের স্কোয়াডে রাখা হয়েছে পাঁচ নতুন মুখকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁদের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। চোটের কারণে নিয়মিত অধিনায়ক ও উইকেটকিপার কুশল পেরেরা ছিটকে পড়ার পর ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য অধিনায়কত্ব তুলে দেওয়া হয় শানাকার কাঁধে।
শানাকা জানিয়েছেন, পেরেরার বদলে উইকেটকিপিং কে করবেন, তা এখনো অনিশ্চিত, ‘আজ অনুশীলনের পর সিদ্ধান্ত নিতে পারব কে উইকেটকিপিং করবে।’ একটি করে টেস্ট ও ওয়ানডে এবং দুটি টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মিনোদ ভানুকা উইকেটকিপিংয়ের পাশাপাশি টপ অর্ডারে ব্যাট করেন। ব্যাটসম্যান লাহিরু উদারা ব্যাটসম্যান হলেও একটু-আধটু উইকেটকিপিংয়ের অভ্যাস আছে।
শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক মনে করেন, অপরিচিত এবং নতুন খেলোয়াড়েরা এক দিক থেকে ভারতের জন্য অসুবিধার সৃষ্টি করতে পারে। কারণ, এসব নতুন খেলোয়াড়দের শক্তির জায়গাগুলো প্রতিপক্ষের অজানা। ভারতের বেশির ভাগ তারকা ক্রিকেটার ইংল্যান্ড সফরে যাওয়ায় বিশেষজ্ঞদের মতে শ্রীলঙ্কায় মূলত ‘বি’ দল পাঠিয়েছে ভারত। কিন্তু এই দলটাও শ্রীলঙ্কাকে সমস্যায় ফেলার মতো সামর্থ্য রাখে। কারণ, দেশটির ক্রিকেট বিশৃঙ্খল সময় পার করছে—মতামত বিশেষজ্ঞ মহলের। বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে বিরোধে এর আগে বিদ্রোহ করতে চেয়েছিলেন ক্রিকেটাররা। এ ছাড়া গত মাসে ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে সহ–অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস ও আরও দুই ক্রিকেটার জৈব সুরক্ষাবলয় ভেঙে নিষিদ্ধ হন।
এরপর কুশল পেরেরা ও বোলার বিনুরা ফার্নান্দো চোটের কারণে গতকাল ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছিটকে পড়েন। টানা পাঁচ সিরিজ হারা শ্রীলঙ্কা দলের ব্যাটিং কোচ গ্রান্ট ফ্লাওয়ারও কোভিড-১৯ পজিটিভ। সংবাদমাধ্যমকে শানাকা বলেছেন, ‘দলের বেশ কিছু সিনিয়র খেলোয়াড় ও ব্যাটিং কোচকে ছাড়াই আমরা ভারতের মুখোমুখি হচ্ছি। আমরা এই চ্যালেঞ্জ জয়ের চেষ্টা করব। আমরা হয়তো জয়ের নিশ্চয়তা দিতে পারব না কিন্তু ভালো লড়াইয়ের নিশ্চয়তা দিচ্ছি।’
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এ যেন ‘সর্বাঙ্গে ব্যথা, ওষুধ দেব কোথা!’