ম্যাচ সেরার পুরস্কার আড়াই কেজির মাছ

ম্যাচ সেরার পুরস্কার হিসেবে হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে মাছ।
ছবি: টুইটার

ম্যাচ সেরার পুরস্কার কী হতে পারে? সাধারণত বড় অঙ্কের অর্থের রেপ্লিকা চেক বা স্মারক সূচক কোনো ট্রফি। এর ব্যতিক্রমও ঘটে। ২০১৩ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) খেলতে এসে ম্যাচ সেরার পুরস্কার হিসেবে ব্লেন্ডার পেয়েছিলেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান লুক রাইট। সেবার আবাহনী লিমিটেডের জার্সিতে খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন তিনি। পুরস্কারের সেই ব্লেন্ডার হাতে ছবি ফেসবুকেও পোস্ট করেছিলেন রাইট।

সে পুরস্কার পেয়ে ফেসবুকে আনন্দিত  ও বিস্মিত রাইট লিখেছিলেন, ‘আবাহনীর হয়ে প্রথম ম্যাচ জিতে আনন্দিত। তবে বলতেই হচ্ছে এর আগে কখনো ম্যাচ সেরা হয়ে ব্লেন্ডার পাইনি।’ সে মৌসুমে টুর্নামেন্ট সেরাকে ফ্রিজ উপহার দেওয়ার কথাও জানা গিয়েছিল। রাইটের মতো চমক উপহার পেয়েছিলেন ভারত দলের পেসার যশপ্রীত বুমরাও। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ সেরার পুরস্কার হিসেবে বুমরাকে দেওয়া হয়েছিল ছোট এক ট্রাক। সে সময়ে এই নিয়ে হাস্যরস কম হয়নি। তবু কাশ্মীরের এক টুর্নামেন্ট সেসব ঘটনাকেও পেছনে ফেলল।  

দৃষ্টিকটু হলেও পুরস্কার হিসেবে ব্লেন্ডারকে চালিয়ে নেওয়া যায়। তবে কাশ্মীরের এক ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ম্যাচ সেরার পুরস্কার যা দেওয়া হয়েছে, এর আগে কখনো দেওয়া হয়েছে বলে মনে হয় না। ম্যাচ সেরার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে আড়াই কেজির একটি মাছ। শুনতে অবাক লাগলেও এমন ঘটনা ঘটেছে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ক্রিকেটে। কাশ্মীরের তেকিপোরা কুপওয়ারাতে স্থানীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টে এমন অভিনব পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। টুইটারে সেই ছবি পোস্ট করতেই ছড়িয়ে পড়েছে। মন্তব্যে জমা হচ্ছে হাস্যরস।

ফিরদোস হাসান নামের একজন ছবিটি টুইট করে লিখেছেন, ‘সম্প্রতি টেকিপোরা কুপাওয়ারায় অনুষ্ঠিত একটি ক্রিকেট ম্যাচ ম্যাচ সেরার পুরস্কার হিসেবে আড়াই কেজি ওজনের মাছ দেওয়া হয়েছে।’ স্থানীয় লিগটির জনপ্রিয়তা বাড়ানো ও মাঠের খারাপ অবস্থা তুলে ধরার জন্য এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। সেখানকার পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে খেলোয়াড়দের পকেটের পয়সা খরচ করে খেলতে হয়।

বুমরার ট্রাক চালাচ্ছেন ধোনি, সতীর্থরাও সেটায় চড়ার সুযোগটা হাতছাড়া করছেন না।
রয়টার্স ফাইল ছবি

এক রসিক পাঠক মন্তব্য করেছেন, খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্যের প্রতি এমন নজর দেওয়াটা ইতিবাচকভাবে দেখা উচিত, ‘ট্রফি শোকেসে সাজিয়ে রাখার জন্য আর যে কোনো খেলোয়াড়ের জন্য খাবারের প্রয়োজন। উদ্যোগটি ভালো।’ অন্য একজন বিষয়টিকে বলছেন মজাদার, ‘হ্যাঁ... সাধারণত দেখা না গেলেও বিষয়টি মজাদার।’
করোনার সময় চলছে। এই সময়ে এসে রোগ প্রতিরোধ শব্দটি বহুল ব্যবহৃত। সে কথাটিই একজন স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, ‘খেলোয়াড়দের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। টুর্নামেন্ট আয়োজকদের ভালো সিদ্ধান্ত।’ একজন বলছেন এই পুরস্কারকে ম্যাচ সেরা না বলে অন্য কিছু বলা, ‘এটাকে বলা উচিত ক্যাচ (মাছ ধরা বোঝাতে) অব দ্য ম্যাচ।’