লিটনের সেঞ্চুরি—এত কাছে তবু এত দূর
সেঞ্চুরির এত কাছে এর আগে কখনোই আসেননি লিটন দাস। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা যখন একটা শট দূরে, তখনই ডোনাল্ড তিরিপানোকে পুল করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিলেন তিনি। এর আগে তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৯৪ রানের, এদিন থামলেন ৯৫ রানে।
একটা অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড থেকে তাই এখনো মুক্তি মিলল না লিটনের। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সবচেয়ে বেশি ফিফটি, কিন্তু কোনো সেঞ্চুরি নেই— এমন তালিকায় সবার ওপরে ছিলেন তিনি। রাজিন সালেহর ছিল ৭টি ফিফটি, কিন্তু ছিল না সেঞ্চুরি।
রাজিনকে লিটন ফিফটিসংখ্যায় ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন আরও আগেই। আজ ফিফটির সংখ্যাকেই আরও এক বাড়িয়ে নিলেন তিনি।
এর আগে লিটন ফিফটি পেরিয়েছিলেন ৮ বার, এর মাঝে সত্তর-পেরোনো ইনিংস ছিল ৩টি। ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এসেছিল তার এর আগের সর্বোচ্চ ৯৪ রান।
সেবার রঙ্গনা হেরাথকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলেছিলেন।
এদিন যখন ক্রিজে আসেন, ১০৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ৬ বলের ব্যবধানে আউট হয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান।
লিটন এরপর মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে গড়লেন প্রতিরোধ। দুজনের সেঞ্চুরি জুটিতেই বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ানোর পথে এগিয়ে গেল অনেকটা।
শুরুতে নেমেই দারুণ দুটি কাভার ড্রাইভ খেলেছিলেন। লিটনের অন্যান্য শটের মতোই সেসব ছিল দৃষ্টিনন্দন। লিটন এরপর থামেননি শিগগিরই।
ফিফটি পূর্ণ করেছিলেন ৮৬তম বলে, মিলটন শুমবাকে স্লগ সুইপ করে চার মেরে। ঠিক পরের বলেই পুল করে চার মেরেছিলেন আরেকটি। লিটন এদিন ড্রাইভ করেছেন, স্কয়ার কাট করেছেন। সুযোগ বুঝে করেছেন পুল। ইনফ্রন্ট অফ স্কয়ারে লিটন যেমন দারুণ ছিলেন, তেমনি বিহাইন্ড দ্য স্কয়ারেও ছিলেন কার্যকর।
৮৯ থেকে নড়বড়ে নব্বইয়ে গিয়েছিলেন তিরিপানোকে পুল করে। দুটি সিঙ্গেল নিয়ে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রানও হয়ে গিয়েছিল তার। তবে থমকে গেলেন সেখানেই।