শারজায় এসব হচ্ছে কী?

আইয়ার-ঝড় নেমেছিল মরুর বুকে।ছবি: আইপিএল

আগের চার ইনিংসে রান ছাড়িয়েছে ২০০ রান। আজও হলো তাই। এবারের আইপিএলে শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়াম যেন বোলারদের মৃত্যুকূপ। পেসারদের বল এক চুল নড়ে না। স্পিনারদের এক ডিগ্রিও ঘুরে না। বল ব্যাটে আসে কী দারুণ গতিতে। আর চারপাশে ছোট্ট বাউন্ডারি তো আছেই।

কোনো মাঠের এক পাশের বাউন্ডারি একটু ছোট থাকতে পারে। শারজায় সব পাশেই ছোট। ব্যাটসম্যানরা শুধু লাইন-লেংথে চোখ রাখতে পারলেই হলো। রান আসবেই। আজ দিল্লি ক্যাপিটালস ২২৮ রান করল এভাবেই। সেই রান তাড়া করতে গিয়ে ২১০ রানে থামে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ইনিংস।

কলকাতার হয়ে বড় ভুলটা করছেন অধিনায়ক দিনেশ কার্তিক। ব্যাটিং স্বর্গে আগ্রাসী ব্যাটসম্যানে ঠাসা দিল্লিকে পাঠান ব্যাটিংয়ে। ওপেনিং জুটিতে দ্রুত কিছু রান তুলে দিয়ে শেখর ধাওয়ান দ্রুত আউট হন। কিন্তু পৃথ্বী শ অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারের সঙ্গে জুটি বেঁধে দ্রুত রান তোলেন। ৪টি চার ও ৪টি ছক্কা মেরে ৪১ বলে ৬৬ রান করেন শ। দলের স্কোর তখন ১৩তম ওভারে ১২৯ রান।

তখনো মরুর বুকে দিল্লির ঝড় শুরু হয়নি। শ আউট হওয়ায় যেন খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন অধিনায়ক আইয়ার। ইনিংসের শেষে তাণ্ডব চালান আরেক তরুণ ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্তকে নিয়ে। মাত্র ৩৮ বল খেলে ৭টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৮৮ রান করেন আইয়ার। ১৭ বলে ৩৮ যোগ করেন পন্ত। চোখের পলকে দিল্লিকে ২২৮ রানে নিয়ে যান এই দুই তরুণ।

কম যাননি পৃথ্বী শ।
ছবি: আইপিএল

এই রান তাড়া করতে নেমে মাঝপথে খেই হারিয়ে বসে কলকাতা। রান রেটের চাপে এলোমেলো শট খেলে মাঝের ওভারে বেশি উইকেট হারিয়ে বসে কার্তিকেরা। ১৪তম ওভারেই ওপরের সারির ৬ ব্যাটসম্যান আউট। শেষের ওভার কাজে লাগানোর জন্য বাকি থাকলেন শুধুই এউইন মরগান। শেষ পর্যন্ত তিনি একাই টানলেন কলকাতার ইনিংস। শেষের ওভারগুলো কাজে লাগিয়ে ১৮ বলে ৪৪ রান করেন। শেষ ওভার পর্যন্ত ক্রিজে থাকলে হয়তো দিল্লির জয় ছিনিয়েও নিতে পারতেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৮ রানে জিতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে চলে গেল দিল্লি।