শাস্ত্রী ও কোহলিকে বাগে রাখতেই টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মেন্টর ছিলেন ধোনি

ভারতের সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে বিরাট কোহলিফাইল ছবি: এএফপি

সর্বশেষ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য মহেন্দ্র সিং ধোনিকে যখন ভারত দলের মেন্টর করা হলো, আনন্দে নেচে উঠেছিল যেন পুরো দেশ। কিন্তু তাদের সেই আনন্দ খুব বেশি স্থায়ী হয়নি। ভারত যে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়েছে সেমিফাইনালের আগেই।

ধোনিকে মেন্টর করার কারণ হিসেবে তখন ভারতের সংবাদমাধ্যম প্রশ্ন করেছিল বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী ও সেক্রেটারি জয় শাহকে। দুজনই তখন বলেছিলেন, আইসিসি টুর্নামেন্টে ধোনির সাফল্য আর রেকর্ড, তাঁর ক্রিকেটের জ্ঞান ভারতের ক্রিকেটের জন্য খুব কাজে আসবে। কিন্তু ভারতের সাবেক পেস বোলার অতুল ওয়াসান মনে করেন, ধোনিকে মেন্টর হিসেবে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাঠানোর উদ্দেশ্য ছিল অন্য।

টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোহলিদের মেন্টর হিসেবে ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি
ফাইল ছবি

সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই ছিল ভারতের কোচ হিসেবে রবি শাস্ত্রীর শেষ টুর্নামেন্ট। এ বিশ্বকাপের পর টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন বিরাট কোহলিও। ভারতের জাতীয় দলকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করছিল এই শাস্ত্রী–কোহলি জুটি।

শাস্ত্রী আর কোহলিকে বাগে রাখতেই ধোনিকে মেন্টর হিসেবে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাঠানো হয়েছিল, ভারতের সংবাদমাধ্যম সিএনএন–নিউজ এইটিনের সঙ্গে কথোপকথনে এমনটাই দাবি করেছেন অতুল ওয়াসান, ‘আমি আপনাদের বলছি, ধোনিকে কিছুটা ভারসাম্য আনার জন্য নেওয়া হয়েছিল। কারণ, সবাই মনে করছিল, দলটাকে পুরোপুরি বিরাট ও রবি শাস্ত্রী নিয়ন্ত্রণ করছে। সবার ধারণা ছিল, তারা যে খেলোয়াড়কে খেলাতে চায়, তাদেরই নির্বাচন করে আর নিজেদের ইচ্ছেমতো দল চালায়।’

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী
ফাইল ছবি

অতুল ওয়াসান এখানেই থামেন না। তিনি আরও বলেন, বিশ্বকাপে ভারত দলের এভাবে হোঁচট খাওয়ার একটা কারণ এটাই, ‘এটা ঠিক যে তারা (কোহলি ও শাস্ত্রী) ভারতের ক্রিকেটকে নিয়ন্ত্রণ করছিল। এ কারণেই বিসিসিআই ভাবল নামডাকওয়ালা কাউকে এনে ভারসাম্য আনতে হবে। সে কিছু বিষয় দেখভাল করবে। আমার মনে হয়, তারা বিশ্বকাপে পুরো বিষয়টি গুলিয়ে ফেলেছে।’

সাদা বলের ক্রিকেটে কোহলিকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পক্ষেই কথা বলেছেন অতুল ওয়াসান, ‘ভারতে একবার আপনি অনেক বেশি ক্রিকেট খেলে ফেললে অবতার হয়ে যান। খেলোয়াড়েরা বাড়তি অর্থ চাইবে, বাড়তি মনোযোগ চাইবে। এর একটা পরিবর্তন দরকার।’