ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর। আজ সকালে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দোলেশ্বরের জয়ের রাস্তাটা করে দিয়েছেন মূলত দুই পেসার শফিকুর ইসলাম আর রেজাউর রহমান।
শেখ জামালের ব্যাটসম্যানরা এই দুই তরুণ পেসারের বলে ছিলেন রীতিমতো অসহায়। তাঁদের ৮ ওভার থেকে শেখ জামাল নিতে পেরেছে মাত্র ৩৬ রান। দুই পেসার তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট।
ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়েই শেখ জামালের অধিনায়ক নুরুল হাসান ২৪ বলে ৪২ রানের ইনিংসটি খেলে দলের মুখ কিছুটা রক্ষা করেছেন। তাঁর ইনিংসের ওপরই মূলত দাঁড়িয়ে শেখ জামালের সংগ্রহ (১২৩)। এ রান তাড়া করে জিততে খুব কষ্ট হয়নি দোলেশ্বরের। অধিনায়ক সাইফ হাসান করেছেন ৬০।
শেখ জামাল নিজেদের ইনিংসে পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে তোলে মাত্র ১১ রান। ম্যাচের দিক নির্ধারিত হয়ে যায় সে সময়ই। ইমরুল কায়েস আর ইলিয়াস সানি এসে জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও রানের গতি বাড়াতে পারেননি কেউই। শুরুর ছোট্ট ধসের পর মাঝের ওভারে আরেকটি ধসের মুখে পড়ে শেখ জামাল। ৪৫ রানে ইলিয়াস আউট হওয়ার পর ২০ রানে পড়ে আরও ৩ উইকেট।
নুরুলের হাত খোলা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। যেভাবে খেলছিলেন তাতে মনে হচ্ছিল শেখ জামালের রানটা ১৪০–এর কাছাকাছি নিয়ে যাবেন তিনি। কিন্তু ১৯তম ওভারে ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ আউটের শিকার হতে হয় তাঁকে। দৌড়ে রান নিতে গিয়ে পা দিয়ে বল আটকে ফেলায় আউট দেওয়া হয় তাঁকে। নুরুলের ইনিংসটি ছিল ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজানো।
ছোট্ট লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে শেখ জামালের ভুলটা করেনি দোলেশ্বরের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। ওপেনিং জুটিতেই ইমরানুজ্জামান ও সাইফ হাসান যোগ করেন ৬৫ রান। ৩৩ বলে ৭টি চার ও ৩ ছক্কায় ৬০ রান করে সাইফ যখন আউট হন, তখন ম্যাচের ফলাফল মোটামুটি জানা হয়ে গেছে সবারই। মোহাম্মদ আশরাফুলের বোলিংয়ে ফজলে মাহমুদ ও মার্শাল আইয়ুবের ফেরা ম্যাচটাকে দীর্ঘায়িতই করেছে। পরে শামীম হোসেন ও শরিফুল্লাহ ১৪ বল বাকি থাকতে ম্যাচ শেষ করে আসেন।