অভিষেকে ব্যাটিংয়ের অবশ্য কোনো সুযোগ ছিল না এই ব্যাটসম্যানের। কোনো ক্যাচ ধরেননি বা রান আউটও করেননি। ফলে অভিষেকে কিছুই না করার ছোট এক তালিকায় ঢুকে পড়েছেন জন্ডো। ওদিকে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা পেসার স্টুরম্যানকে বল করার সুযোগ দেয়নি বাংলাদেশের ব্যাটিং।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে করোনার কারণে বদলি খেলোয়াড় নামানোর প্রথম উদাহরণ এটি। ক্লাব ক্রিকেটে অবশ্য নিউজিল্যান্ডের প্লাঙ্কেট শিল্ড ও ইংল্যান্ডের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে করোনা বদলির উদাহরণ আগেই দেখা গেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একই ম্যাচে দুই বদলি খেলোয়াড় নামানোর দ্বিতীয় ঘটনা এটি। এর আগে ২০১৯ সালে ভারতের বিপক্ষে কনকাশনের (মাথায় আঘাতজনিত সমস্যা) কারণে দুই বদলি খেলোয়াড় নামিয়েছিল বাংলাদেশ।
করোনার সংক্রমণ এভাবে ছড়িয়ে পড়া হয়তো একেবারে অকল্পনীয়ও নয়। বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার এই সিরিজের জন্য কোনো জৈব সুরক্ষাবলয়ের ব্যবস্থা নেই, বরং নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় হচ্ছে টেস্টটা। নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাটা কী? এর মানে হচ্ছে, হোটেলের কক্ষ ছেড়ে যাওয়া বা বাইরে বেরোনোর ক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের জন্য কোনো বিধিনিষেধ নেই, তবে তাঁদের জন্য পরামর্শ থাকছে, যাতে তাঁরা খোলা রেস্টুরেন্ট বা খোলা পরিবেশেই থাকেন। বাইরের মানুষের সঙ্গে মেশাও নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
‘এই অবস্থাটা দুর্ভাগ্যজনক, তবে আগের মতো কঠোর জৈব সুরক্ষাবলয়ের ব্যবস্থা না রেখে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ রাখার নিয়মে এই সিরিজ আয়োজনের সিদ্ধান্তের পর পরিস্থিতিটা একেবারে অপ্রত্যাশিত নয়’—ক্রিকইনফোতে বলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শুয়াইব মাঞ্জরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার করোনানীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই অবশ্য সিরিজে জৈব সুরক্ষাবলয়ের বদলে এই নিয়ন্ত্রিত গমনাগমনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকায় কোনো ধরনের লকডাউন নেই। আবদ্ধ পরিবেশে মাস্ক পরা আর জনসমাগমে নিয়ন্ত্রণ ছাড়া করোনাবিষয়ক কোনো বিধিনিষেধও জারি নেই।
মুল্ডার ও এরউইর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এ সিরিজে করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঘটনা। গত সপ্তাহে করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো এই টেস্টে নেই। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং কোচ শার্ল ল্যাঙ্গেভেল্ট ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা জুনাইদ ওয়াদেও গত শুক্রবার করোনা পজিটিভ হওয়ায় এই টেস্টে নেই।