অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক ও হাসিব হামিদের চোয়ালবদ্ধ প্রতিরোধ ভেঙে গিয়েছিল চতুর্থ দিন শেষবেলাতেই। আর পঞ্চম দিনে এসে যেন তাসের ঘর ইংল্যান্ডের ব্যাটিং! কুক-হামিদের পর জো রুট সামান্য লড়াই করলেও বাকিদের অসহায়ই দেখাল ভারতীয় বোলারদের সামনে। মধ্যাহ্নবিরতির আগেই রুটসহ পাঁচ ব্যাটসম্যানকে ফেরত পাঠিয়ে কাজটা এগিয়ে রেখেছিল ভারত। দ্বিতীয় সেশনে খুব দ্রুতই সারা হলো বাকি কাজটা। দেড় দিনে ৪০৪ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নামা ইংলিশরা গুটিয়ে গেল ১৫৮ রানেই। বিশাখাপট্টনম টেস্টে ২৪৬ রানে জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বিরাট কোহলির দল।
পঞ্চম দিনে রুটের ব্যাট থেকেই এসেছে সর্বোচ্চ রান। ১০৭ বলে ২৫ রানের বাইরে জনি বেয়ারস্টো (৪০ বলে অপরাজিত ৩৪) কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছিলেন। কিন্তু রবিচন্দ্রন অশ্বিন, জয়ন্ত যাদব ও মোহাম্মদ শামির দারুণ বোলিংয়ের সামনে সেটা যথেষ্ট ছিল না। দুই স্পিনার অশ্বিন আর জয়ন্ত নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। শামি ২টি। রবীন্দ্র জাদেজা পেয়েছেন ১ উইকেট।
দিনের শুরুতেই আউট হয়ে ফেরেন বেন ডাকেট—শূন্য রানে। অশ্বিনের বলে সুইপ করতে গিয়ে উইকেট কিপার ঋদ্ধিমান সাহার ক্যাচ হয়ে। এই সিরিজে তৃতীয়বারের মতো অশ্বিনের শিকার হলেন ডাকেট। মঈন আলীও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৬ রানে তিনি জাদেজার বলে ব্যাকওয়ার্ড শর্টলেগে কোহলির হাতে ধরা পড়েন তিনি। বেন স্টোকসের ওপর ভরসা ছিল ইংলিশ শিবিরের। কিন্তু ব্যর্থ হন তিনিও। জয়ন্ত যাদবের বলে বোল্ড হন তিনি। রুটকে এলবিডব্লিউ করেন শামি। আম্পায়ার রড টাকারের মাঠের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিভিউ করেছিলেন রুট। কিন্তু শামির ইন সুইঙ্গারটি যে রুটের জায়গামতোই লেগেছিল, সেটি হক-আই প্রযুক্তি নিশ্চিত করে দেয়। সূত্র: স্টার স্পোর্টস।