কমনওয়েলথ গেমসে ২০২৬ সালে যদি ছেলেদের টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তই করতে হয়, তাহলে তাতে শীর্ষ ক্রিকেট খেলুড়ে দেশ ও খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চায় ফেডারেশন। এদিকে ভিক্টোরিয়া রাজ্য সরকার মনে করে, কমনওয়েলথ গেমসে টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটের চেয়ে ফুটবল অন্তর্ভুক্ত করাটাই বেশি বাস্তবসম্মত। ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক সূচি, আইপিএল ইত্যাদির কারণে কমনওয়েলথ গেমসে শীর্ষ দল ও ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ খানিকটা অনিশ্চিত। সে তুলনায় ফুটবল অন্তর্ভুক্ত হলে সেটি বাণিজ্যিক দিক দিয়েও অনেক বেশি লাভজনক।
অলিম্পিক বা গেমস স্পোর্টে এখন ফুটবল অনূর্ধ্ব–২৩ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে জাতীয় দলের সিনিয়র তিনজন একটি দলে খেলতে পারেন। অলিম্পিকে টেলিভিশনের দর্শকদের আগ্রহ ফুটবলকে ঘিরে সব সময়ই বেশি থাকে।
১৯৯৮ সালে কুয়ালালামপুর কমনওয়েলথ গেমসে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেখানে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশসহ অংশ নিয়েছিল ১৬টি দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বদলে জ্যামাইকা, বার্বাডোজ, অ্যান্টিগা, ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগো, নর্দান আইল্যান্ড আলাদা করে অংশ নিয়েছিল। এ ছাড়া কেনিয়া, জিম্বাবুয়ে, কানাডা, মালয়েশিয়া, স্কটল্যান্ড ছিল অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দল। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে কেবল ইংল্যান্ড ছিল অনুপস্থিত। প্রতিযোগিতায় পূর্ণ শক্তির দক্ষিণ আফ্রিকা দল সোনা জিতেছিল। রুপা জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। ব্রোঞ্জ জেতে নিউজিল্যান্ড। শচীন টেন্ডুলকার, অজয় জাদেজা স্টিভ ওয়াহ, অনিল কুম্বলে, স্টিফেন ফ্লেমিং, শন পোলক, আকরাম খান, আমিনুল ইসলাম, হাশান তিলকরত্নের মতো ক্রিকেটাররা শোভা বাড়িয়েছিলেন ১৯৯৮ সালে কমনওয়েলথ গেমসের ক্রিকেট প্রতিযোগিতার। ২০০২ সালে ম্যানচেস্টার কমনওয়েলথ গেমসে ক্রিকেট বাদ দিয়ে দেওয়া হয়।