৩৮ বছর বয়সেই অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক বেইলি
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এবার ৩৮ বছর বয়সে প্রধান নির্বাচকও হয়ে গেলেন জর্জ বেইলি। নির্বাচক প্যানেলের চেয়ারম্যান পদ থেকে ট্রেভর হনসের সরে দাঁড়ানোর পর বেইলিকে দায়িত্ব দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১২৫টি ম্যাচ খেলেছেন বেইলি। নেতৃত্ব দিয়েছেন ৫৭ ম্যাচে। বেইলি অবশ্য এর আগেও নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেছেন, ২০১৯ সালে।
হনস ও হেড কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। হনস সরে যাওয়ার পর বেইলি ও ল্যাঙ্গারের সঙ্গে তৃতীয় আরেকজনকে শিগগিরই নিয়োগ দেবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
২০২০ সাল পর্যন্ত বিগব্যাশ লিগে খেলা বেইলির অভিজ্ঞতা প্রধান নির্বাচক হিসেবেও কাজে লাগবে বলে মনে করেন অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দল ও হাই পারফরম্যান্স দলের নির্বাহী ব্যবস্থাপক বেন অলিভার, ‘নেতা হিসেবে বেইলিকে সবাই সম্মান করে। ল্যাঙ্গারের পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচক প্যানেলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে সে। সাম্প্রতিক সময়ে খেলার অভিজ্ঞতা আছে তার। এ কারণে খেলাটা বেশ ভালো বুঝতে পারে। সে উন্মুক্ত মানসিকতার, কাজ করার ধরনটাও সবার সঙ্গে মানায়। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় উন্নতি করার লক্ষ্যও আছে।’
দায়িত্ব পেয়ে বেইলি ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁর পূর্বসূরি হনসকে, ‘প্রথমে আমি দারুণ কাজের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের দীর্ঘদিনের উন্নতিতে সহায়তা করা ট্রেভর হনসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি যখন খেলোয়াড় ছিলাম, অধিনায়ক ছিলাম, তখনো নির্বাচক ছিল সে।’
প্রধান নির্বাচক হিসেবে বেইলির চ্যালেঞ্জ শুরু হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সফরে পাঁচ টি-টোয়েন্টির সিরিজ দিয়েই। প্রথম সারির বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে এবার পাচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া। অ্যারন ফিঞ্চের অনুপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এখন পর্যন্ত অধিনায়কের ঘোষণাও দেয়নি তারা। এ সিরিজের পর বেইলির সামনে আছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, অ্যাশেজের দল নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ।
হনস প্রধান নির্বাচক থাকার সময়ই নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন বেইলি। তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছেন এবং ভবিষ্যতে সেসব কাজে লাগাবেন বলেও জানিয়েছেন নতুন প্রধান নির্বাচক, ‘কঠিন একটা কাজ ট্রেভর খুবই শান্ত থেকে ধারাবাহিকভাবে করে গেছে। খেলোয়াড় থেকে আমার নির্বাচক হওয়ার পথটাও মসৃণ করেছে সে। ট্রেভরের কাজ করার ধরন থেকে অনেক কিছুই শিখেছি আমি। সামনেও সেসব কাজে লাগবে আমার।’
দুই দফায় প্রায় ২১ বছর দায়িত্ব পালন করার পর সম্প্রতি সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন হনস। প্রথম দফা ১৯৯১-২০০৫ সাল পর্যন্ত নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। ২০০৫ সালের ঐতিহাসিক অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার হারের পর সরে দাঁড়ানো হনস আবারও যোগ দিয়েছিলেন ২০১৪ সালে। দায়িত্বের ২১ বছরের মধ্যে ১৬ বছরই প্রধান নির্বাচক ছিলেন হনস।
বিদায়বেলায় ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসার কথা আরেকবার জানিয়ে গেছেন হনস, ‘এ খেলা থেকে অনেক কিছুই পেয়েছি আমি। ভালো-খারাপ প্রতি মুহূর্তই উপভোগ করেছি। অসাধারণ কিছু অস্ট্রেলিয়া দল এবং খেলোয়াড়ের সঙ্গে কাজ করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি।’