আগের দিন প্রথম আফগান বোলার হিসেবে যুব টেস্টে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন বিলাল সামি। আজ নিজেদের ইতিহাসে প্রথম যুব টেস্ট সেঞ্চুরিয়ানও পেয়ে গেল আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে ডানহাতি আফগান ব্যাটসম্যান বিলাল সায়েদি দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে অপরাজিত আছেন ১০১ রান করে।
একসময় ৮৪ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে আফগানরা। তবে ৭ম উইকেটে কামরান হোটাক ও সায়েদির জুটিতে ভর করে সিলেটে একমাত্র যুব টেস্টে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে তারা প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ২২৬ রান তোলে। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের চেয়ে এগিয়ে ৬৪ রানে।
২ উইকেটে ৪০ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেন আফগান যুবারা। ব্যাটিংয়ে নামতে না নামতেই ধাক্কা খান তাঁরা। দিনের পঞ্চম ওভারে ডানহাতি পেসার মুশফিক হাসানের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন অধিনায়ক ইজাজ আহমেদ। এরপর অফ স্পিনার আশরাফুল ইসলামের বলে ব্যাট-প্যাড হয়ে ধরা পড়েন বিলাল আহমেদ, যদিও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে খুব একটা সন্তুষ্ট মনে হয়নি তাঁকে। এরপর বাঁহাতি স্পিনার আহসান হাবীবের বলে বোল্ড হয়েছেন জাহিদুল্লাহ সালিমি।
সায়েদিকে একটু সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতে। তবে বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেরব হাসানের বলে তিনি ক্যাচ দিলে মধ্যাহ্নবিরতির আগেই আফগানদের স্কোর হয়ে যায় ৬ উইকেটে ৮৪ রান। ৪০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েন হোটাক ও সায়েদি। দ্বিতীয় সেশনে এ দুজনের জুটি ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ। চা-বিরতির আগে সায়েদি অপরাজিত ছিলেন ৭৩ রানে, হোটাকের রান ছিল ৩৩।
বিরতির পর এ দুজনের জুটি ভাঙতে আরও ২৩ ওভার অপেক্ষা করতে হয় বাংলাদেশকে। হোটাকের ফিফটির পর সেঞ্চুরি পেয়ে যান সায়েদি। আশরাফুলের বলে সিঙ্গেল নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পরপরই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
সায়েদির মাঠ ছাড়ার পর আউট হয়ে ফেরেন হোটাক। নিজের চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে এসে তাঁকে ফিরিয়েছেন আইচ মোল্লা। তাঁর বলে লাইন মিস করে এলবিডব্লু হয়েছেন হোটাক, ১৭৫ বলে ৬৬ রানের ইনিংসে যিনি মেরেছেন ৮টি চার। ৪ ওভার পর ইজাহারুলহক নাভিদকে বোল্ড করেছেন আশরাফুল, এ অফ স্পিনারের সেটা তৃতীয় শিকার।
এরপর আবারও ব্যাটিংয়ে নেমেছেন সায়েদি। দিন শেষে ১০১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি ২৯৯ বল খেলে। ইনিংসটিতে তিনি ১টি ছয়ের সঙ্গে মেরেছেন ১২টি চার।