৬ বলের ব্যবধানে আউট সাকিব–মুশফিক

জিম্বাবুয়ে ছড়ি ঘোরাচ্ছে বাংলাদেশের ওপরছবি: এএফপি

বিরতির পর মুমিনুল হকের ফিফটিতে বাংলাদেশ ভালো একটা অবস্থানের দিকেই এগোচ্ছিল। কিন্তু ৬ বলের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়ে দলের দুই অভিজ্ঞ তারকা সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহিমকে হারিয়ে আবার বিপর্যয়ে দল।

ব্লেসিং মুজারাবানির বলে এলবিডব্লু হয়েছেন মুশফিকুর রহিম, পরের ওভারে ভিক্টর নিয়াউচির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান।

মুমিনুল মধ্যাহ্ন বিরতিতে গিয়েছিলেন ৩২ রান নিয়ে, ফিফটি করতে এরপর বেশি সময় নেননি। এক ফ্লিক শটেই পৌঁছে যান ক্যারিয়ারের ১৪তম ফিফটিতে।

ফ্লিকটা খেলেছিলেন ব্লেসিং মুজারাবানির বলে, ফিফটিতে পৌঁছান ৬৪ বলে। মধ্যাহ্নবিরতির পর বেশ আক্রমণাত্মক ছিলেন তিনি। ফিফটি পর্যন্ত সব মিলিয়ে মেরেছেন ১০টি চার, এর মাঝে ৮টিই ফ্লিক করে। এ প্রতিবেদন লেখার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১২৪। উইকেটে মুমিনুলের সঙ্গী হয়ে আছেন লিটন দাস।

জিম্বাবুইয়ান পেসার মুজারাবানি পরীক্ষা নিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের।
ছবি: এএফপি

বিরতির পর প্রথম ৪ ওভারে ২৯ রান তুলেছে বাংলাদেশ। অবশ্য ফিফটির পরপরই একটা ক্যাচ তুলেছিলেন মুমিনুল, তবে মিড-অনে থাকা রিচার্ড এনগারাভা সেটি বুঝতেই পারেননি। শেষ পর্যন্ত তারা নাগালের বাইরে পড়ে সে ক্যাচ।

এর পরপরই ব্রেক থ্রু পেয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। আঙুলের চোট নিয়ে একটু অস্বস্তিতে থাকা মুশফিক এর আগে ড্রাইভ করতে গিয়ে প্রায় আউট হয়েই গিয়েছিলেন। বল তাঁর ব্যাটের কানায় লেগে ফিল্ডারের নাগালের বাইরে দিয়ে বাউন্ডারি হয়ে যায়। তিনি আউট হন মুজারাবানির বাইরে থেকে ঢোকা বল ছেড়ে দিয়ে। বল লাগে পেছনের পায়ে। যদিও খোলা চোখে বেশ উঁচু মনে হচ্ছিল সেটিকে, তবে আম্পায়ার ল্যাংটন রুজেরে দিয়েছেন আউট। স্বাভাবিকভাবেই সেটি সহজে মানতে পারেননি মুশফিক, মুখভঙ্গি বলছিল— অবাকই হয়েছেন তিনি। তবে এ টেস্ট ডিআরএস নেই বলে কিছু করারও ছিল না তার। আউট হওয়ার আগে তিনি করেছেন ৩০ বলে ১১ রান।

মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই আউট সাদমান ইসলাম।
ছবি: এএফপি

সাকিব অবশ্য হাঁটা দিয়েছেন নিজে থেকেই। নিয়াউচির বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়েছিলেন তিনি, হয়েছেন কট-বিহাইন্ড। ক্রিজে এসেই একটা ক্যাচের মতো তুলেছিলেন, সে দফা বাঁচলেও টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার দিনে ৫ বলে ৩ রান করেই শেষ হলো তাঁর ইনিংস।