'অ্যাকশন' প্রশ্নে কঠোর হতে বললেন তামিম

বোলারদের অবৈধ অ্যাকশন বাংলাদেশের ক্রিকেটের ক্ষতি মনে করেন তামিম। ছবি: প্রথম আলো
বোলারদের অবৈধ অ্যাকশন বাংলাদেশের ক্রিকেটের ক্ষতি মনে করেন তামিম। ছবি: প্রথম আলো

রাজশাহী কিংসের আফিফ হোসেনের বলে কাল এলবিডব্লিউ হয়েছেন চিটাগং ভাইকিংসের জহুরল ইসলাম। কিন্তু টিভি রিপ্লেতে পরিষ্কার দেখা যায়, বলটা জহুরুলের ব্যাট ছুঁয়ে প্যাডে লেগেছে। হয়তো বিষয়টি জানাতেই দ্রুত ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে বাউন্ডারির কাছে থাকা রিজার্ভ আম্পায়ারের কাছে ছুটে যান চিটাগং অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

আম্পায়ারদের ভুল সিদ্ধান্তের বলি হচ্ছেন ব্যাটসম্যান কিংবা বোলার—বিপিএলে এটি নিয়মিত ছবি। আচরণবিধির কারণে তামিম আম্পায়ারিং নিয়ে কোনো কথা বলতে চান না। তাঁকে ভাবাচ্ছে অন্য একটি বিষয়। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত প্রশ্ন উঠছে বোলারদের অ্যাকশন নিয়ে। এই বিপিএলেও উঠেছে। বোলিং অ্যাকশন শুদ্ধতার ছাড়পত্র পাওয়ার দুই মাসের মধ্যে আবারও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে আরাফাত সানির বোলিং। অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন খুলনা টাইটানসের কেভন কুপারেরও।

ঘরোয়া ক্রিকেটে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের বোলার সংখ্যা যেন কমছেই না। বিষয়টি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন তামিম। কাল বললেন, ‘কিছু কিছু বোলার এমন অ্যাকশনে বোলিং করছে, এভাবে আমাদের লিগে খেলা উচিত না। আম্পায়াররা রিপোর্টও দিচ্ছে। বিসিবি কয়েকজনের বিরুদ্ধে অ্যাকশনও নিয়েছে। কিছু বোলারের অ্যাকশনের ওপর খেয়াল রাখা উচিত। বিশ্বের অন্য বড় টুর্নামেন্টে কেউ পার পায় না। এখানে হয়তো সবাই পার পেয়ে যাচ্ছে। যদিও এবার বিসিবি শুরু থেকেই বেশ কয়েকজন বোলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এই ব্যাপারে আরও কঠোর হওয়া উচিত।’

সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে পাঁচজন বোলারের বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এই ধারাটা বিপিএলেও দেখে বেশ চিন্তিত তামিম, ‘গত প্রিমিয়ার লিগেও বেশ কয়েকজনের অ্যাকশন রিপোর্ট হয়েছে। এরপর পরীক্ষা দিয়ে অনেকে পাসও করেছে। এটা ভিন্ন সংস্করণের ক্রিকেটে। পুরো বিশ্ব দেখে। এসেই জাস্ট বল করে চলে যাবে, এটা হতে পারে না। টুর্নামেন্টের জন্যও এটিও ভালো না। এতে একটা দল অতিরিক্ত সুবিধা পেয়ে যায়। আমি নিশ্চিত বিষয়টি বিসিবি দেখছে। না দেখলে নিশ্চয়ই কয়েকজন রিপোর্ট হতো না। তারপরও আমার মনে হয় আরও কঠোর হওয়ার উচিত এ বিষয়ে।’