সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আর এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ! কিছুতেই মেলাতে পারছেন না জিওফ বয়কট। গত শতাব্দীর সত্তর ও আশির দশকে ক্রিকেট-বিশ্বে রাজত্ব করা ক্যারিবীয়দের অধঃপতন দেখে শুধু দুঃখই ঝরছে ইংল্যান্ড কিংবদন্তির কণ্ঠে। ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে ক্রিকেটে জড়িয়ে থাকা বয়কট ওয়েস্ট ইন্ডিজের পতনকে তুলনা করলেন ‘ট্র্যাজেডি’র সঙ্গে।

ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম দিবারাত্রির টেস্টটা তিন দিনের মধ্যেই হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তৃতীয় দিনেই ১৯ উইকেট হারিয়েছে জেসন হোল্ডারের দল। হারের ধরনটাই বেশি পোড়াচ্ছে বয়কটকে। ইংল্যান্ডের দ্য টেলিগ্রাফ-এ লেখা কলামে বয়কট বললেন তাঁর দেখা সবচেয়ে দুর্বল টেস্ট দল এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ‘দেখে, খেলে ও ধারাভাষ্য দিয়ে ক্রিকেটে ৫০ বছরের বেশি সময় পার করে ফেললাম। এই সময়ে আমার দেখা সবচেয়ে বাজে টেস্ট দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই দলটা। ওরা না পারে ব্যাট করতে, না পারে বল করতে। এই কথা বলতে গিয়ে আমার মোটেও আনন্দ হচ্ছে না। অথচ আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজের কী দলটার বিপক্ষেই না খেলেছি, ইতিহাসের অন্যতম সেরা কিছু খেলোয়াড়ের মাথায় তখন ছিল মেরুন টুপি।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুর্দশার কারণে ইংল্যান্ডের জয় নিয়েও উচ্ছ্বসিত হতে পারছেন না বয়কট, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এভাবে দেখাটা ক্রিকেটীয় ট্র্যাজেডি। ওদের হারতে দেখায় আনন্দের কিছু নেই। একসময়ের গর্বিত এক টেস্ট দলকে এতটা তলানিতে দেখতে পাওয়াটা খুব দুঃখের।’ সিরিজের পরের দুই টেস্টেও অন্য কিছু হবে বলে মনে করছেন না বয়কট। বলে দিলেন কারণটাও, ‘ওদের কোনো প্রতিভা নেই।’

এজবাস্টন টেস্ট শুরুর আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ফাস্ট বোলার কার্টলি অ্যামব্রোস বলে দিয়েছিলেন, জেসন হোল্ডারের এই দলের কোনো সুযোগ নেই। তবে যা হয়েছে, সেটি তাঁর যেন অনুমানকেও ছাড়িয়ে গেছে, ‘এটা পুরোপুরি লজ্জাকর। তিন দিনে এক মুহূর্তের জন্যও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো খেলোয়াড়ের মধ্যে এক ফোঁটা আগ্রাসী মনোভাব দেখতে পেলাম না। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় দূরের কথা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মানসিকতাই তো ওদের নেই। ওরা ইংলিশদের ভুলের অপেক্ষায় বসে ছিল। এ রকম খেলা দেখা রীতিমতো যন্ত্রণাদায়ক।’

২৫ আগস্ট ও ৭ সেপ্টেম্বর হেডিংলি ও লর্ডসে শুরু পরের দুই টেস্টেও না ওয়েস্ট ইন্ডিজ এই যন্ত্রণাই ‘উপহার’ দেয়! এএফপি।